ইসরায়েল-গাজা নীতি কি বদলাচ্ছে আমেরিকা?

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৪১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৯ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজায় এই মুহূর্তে সংঘর্ষ-বিরতি ঘোষণা করা হোক, নিরাপত্তা পরিষদে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব এসেছে কিন্তু আমেরিকা ভেটো দেওয়ায় তা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। সোমবারের ভোটে আমেরিকা ভেটো দেয়নি। তারা ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদে। আমেরিকার এই অবস্থানে প্রবল ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

গাজায় যেভাবে বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। কিন্তু জাতিসংঘে গাজা সংঘর্ষ নিয়ে আমেরিকা সব সময়ই ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে প্রস্তাবনা এসেছে। কিন্তু আমেরিকা তাতে ভেটো দিয়েছে। কিন্তু সোমবার যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, আমেরিকা সেই ভোটে অংশ নেয়নি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর অর্থ,আমেরিকা চেয়েছে প্রস্তাব গৃহীত হোক। তা-ই তারা ভোটে অংশ নেয়নি।

এই ঘটনার পর নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলের যে প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা ছিল, আপাতত তারা সেখানে যাবে না। প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন।’

LankaBangla securites single page
এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রাফা ছাড়া আর কোন পথে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে।’ তার দাবি, আমেরিকা গাজা নিয়ে তাদের অবস্থান বদলে ফেলেছে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। তারা ভোটে অংশ নেয়নি কারণ, প্রস্তাবে হামাসের যথেষ্ট বিরোধিতা করা হয়নি। তবে প্রস্তাবে পণবন্দিদের ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও তার সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতির দাবি মেলানো হয়নি।

এদিকে নেতানিয়াহু বলেছেন, আমেরিকার এই কাজ স্পষ্ট করে দিল, তারা আগের অবস্থান থেকে সরে আসছে। এর ফলে গাজায় যে অভিযান চলছে তা ব্যাহত হবে এবং বন্দিদের মুক্ত করা আরো সমস্যার হবে বলে মনে করেন তিনি। নেতানিয়াহুর কথায়, ‘এর ফলে সংঘর্ষ-বিরতির সমান্তরালে বন্দিদের মুক্তির যে চাপ হামাসের উপর তৈরি করা হয়েছিল, তা আর ধোপে টিকবে না।’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি, এপি

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ইসরায়েল-গাজা নীতি কি বদলাচ্ছে আমেরিকা?

Update Time : ০৩:৪১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজায় এই মুহূর্তে সংঘর্ষ-বিরতি ঘোষণা করা হোক, নিরাপত্তা পরিষদে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব এসেছে কিন্তু আমেরিকা ভেটো দেওয়ায় তা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। সোমবারের ভোটে আমেরিকা ভেটো দেয়নি। তারা ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদে। আমেরিকার এই অবস্থানে প্রবল ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

গাজায় যেভাবে বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। কিন্তু জাতিসংঘে গাজা সংঘর্ষ নিয়ে আমেরিকা সব সময়ই ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে প্রস্তাবনা এসেছে। কিন্তু আমেরিকা তাতে ভেটো দিয়েছে। কিন্তু সোমবার যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, আমেরিকা সেই ভোটে অংশ নেয়নি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর অর্থ,আমেরিকা চেয়েছে প্রস্তাব গৃহীত হোক। তা-ই তারা ভোটে অংশ নেয়নি।

এই ঘটনার পর নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলের যে প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা ছিল, আপাতত তারা সেখানে যাবে না। প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন।’

LankaBangla securites single page
এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রাফা ছাড়া আর কোন পথে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে।’ তার দাবি, আমেরিকা গাজা নিয়ে তাদের অবস্থান বদলে ফেলেছে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। তারা ভোটে অংশ নেয়নি কারণ, প্রস্তাবে হামাসের যথেষ্ট বিরোধিতা করা হয়নি। তবে প্রস্তাবে পণবন্দিদের ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও তার সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতির দাবি মেলানো হয়নি।

এদিকে নেতানিয়াহু বলেছেন, আমেরিকার এই কাজ স্পষ্ট করে দিল, তারা আগের অবস্থান থেকে সরে আসছে। এর ফলে গাজায় যে অভিযান চলছে তা ব্যাহত হবে এবং বন্দিদের মুক্ত করা আরো সমস্যার হবে বলে মনে করেন তিনি। নেতানিয়াহুর কথায়, ‘এর ফলে সংঘর্ষ-বিরতির সমান্তরালে বন্দিদের মুক্তির যে চাপ হামাসের উপর তৈরি করা হয়েছিল, তা আর ধোপে টিকবে না।’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি, এপি