ইরানের সামান্য শক্তি ব্যবহৃত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:২১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৭ Time View

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে তার দেশের প্রতিশোধমূলক হামলা ছিল ‘সীমিত’ এবং এতে কোনো বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করা হয়নি। তারা সশস্ত্র বাহিনী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের সেই বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে যেখানে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান রাখা আছে। ওই ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে এসব জঙ্গিবিমান দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে আঘাত হেনেছিল।

তেহরানে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক বৈঠকে একথা জানান তিনি। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি বিমান হামলার জবাবে শনিবার মধ্যরাতে ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অসংখ্য ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। ‘সত্য প্রতিশ্রুতি’ শীর্ষক ওই অভিযানে ইসরাইলের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরাইলে চালানো হামলা সম্পর্কে মার্কিন প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে এবং তাকে জানানো হয়েছে যে, দখলদার ইসরাইলকে শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, আমরা রবিবার সকালে হোয়াইট হাউজের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছি যে, আমাদের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার চর্চা করতে এবং ইসরাইলকে শাস্তি দিতে আমরা সীমিত অভিযান চালিয়েছি এবং ওই অভিযানে আমাদের ন্যুনতম শক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। আত্মরক্ষা ও ইহুদিবাদী সরকারকে শাস্তি দেয়ার লক্ষ্যে সীমিত অভিযান চালানোর অর্থ হচ্ছে, আমরা কোনো বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করিনি। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী কোনো অর্থনৈতিক বা জনবহুল লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করেনি। এমনকি সামরিক লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করার ক্ষেত্রেও দামেস্কের ইরান কনস্যুলেটে হামলায় জড়িত সামরিক ঘাঁটিগুলোকেই কেবল টার্গেট করা হয়েছে।

ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক জানান, ইরান কখনও আঞ্চলিক অঙ্গনে উত্তেজনা চায়নি এবং এ কারণেই গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের গত ছয় মাসের আগ্রাসন মুখ বুজে সহ্য করেছে। পার্সটুডে

Please Share This Post in Your Social Media

ইরানের সামান্য শক্তি ব্যবহৃত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Update Time : ১০:২১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে তার দেশের প্রতিশোধমূলক হামলা ছিল ‘সীমিত’ এবং এতে কোনো বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করা হয়নি। তারা সশস্ত্র বাহিনী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের সেই বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে যেখানে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান রাখা আছে। ওই ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে এসব জঙ্গিবিমান দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে আঘাত হেনেছিল।

তেহরানে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক বৈঠকে একথা জানান তিনি। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি বিমান হামলার জবাবে শনিবার মধ্যরাতে ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অসংখ্য ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। ‘সত্য প্রতিশ্রুতি’ শীর্ষক ওই অভিযানে ইসরাইলের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরাইলে চালানো হামলা সম্পর্কে মার্কিন প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে এবং তাকে জানানো হয়েছে যে, দখলদার ইসরাইলকে শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, আমরা রবিবার সকালে হোয়াইট হাউজের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছি যে, আমাদের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার চর্চা করতে এবং ইসরাইলকে শাস্তি দিতে আমরা সীমিত অভিযান চালিয়েছি এবং ওই অভিযানে আমাদের ন্যুনতম শক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। আত্মরক্ষা ও ইহুদিবাদী সরকারকে শাস্তি দেয়ার লক্ষ্যে সীমিত অভিযান চালানোর অর্থ হচ্ছে, আমরা কোনো বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করিনি। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী কোনো অর্থনৈতিক বা জনবহুল লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করেনি। এমনকি সামরিক লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করার ক্ষেত্রেও দামেস্কের ইরান কনস্যুলেটে হামলায় জড়িত সামরিক ঘাঁটিগুলোকেই কেবল টার্গেট করা হয়েছে।

ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক জানান, ইরান কখনও আঞ্চলিক অঙ্গনে উত্তেজনা চায়নি এবং এ কারণেই গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের গত ছয় মাসের আগ্রাসন মুখ বুজে সহ্য করেছে। পার্সটুডে