ইরানের সাথে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ইসরায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:০৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২৭ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরানের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঘিরে যেকোনও ধরনের সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসরায়েল প্রস্তুত রয়েছে। রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এই মন্তব্য করেছেন বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, শত্রু ইরানের সাথে তৈরি হতে পারে এমন যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার দেশ প্রস্তুত। ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে এক ‌‌বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর দেওয়া বিবৃতিতে ওই মন্তব্য করেছেন গ্যালান্ত।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান। হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেলসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাত কর্মকর্তার প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কমান্ডারও রয়েছেন। হামলায় কনস্যুলেট ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন যে, ইরানের সাথে সংশ্লিষ্ট যেকোনও ধরনের পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

রোববার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেছেন, ইসরায়েলের কোনও দূতাবাসই আর নিরাপদ নয়। তেহরান ইসরায়েলের সাথে সংঘাতকে একটি ‘‘ন্যায় ও আইনি অধিকার’’ হিসেবে দেখে।

ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ রোববার একটি চিত্র প্রকাশ করেছে। এতে ইরানের হাতে থাকা ৯টি ভিন্ন ভিন্ন ধাঁচের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে।

যদিও দামেস্কে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে দেশটির নেতারা বলেছেন, তারা ইরানের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। কারণ গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহকে সহায়তা করছে ইরান। গত ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে হামাস ও হিজবুল্লাহ।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরায়েলি ও আমেরিকান স্বার্থে ইরানের সম্ভাব্য হামলার হুমকিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ১৯৯৪ সালে আর্জেন্টিনার রাজধানীতে ইহুদিদের একটি প্রার্থনা কেন্দ্রে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ইরান জড়িত বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। ওই হামলায় অন্তত ৮৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে বুয়েন্স আয়ার্সে সেই হামলায় জড়িত থাকার কথা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান।

সূত্র: রয়টার্স।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ইরানের সাথে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ইসরায়েল

Update Time : ০৮:০৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরানের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঘিরে যেকোনও ধরনের সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসরায়েল প্রস্তুত রয়েছে। রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এই মন্তব্য করেছেন বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, শত্রু ইরানের সাথে তৈরি হতে পারে এমন যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার দেশ প্রস্তুত। ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে এক ‌‌বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর দেওয়া বিবৃতিতে ওই মন্তব্য করেছেন গ্যালান্ত।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান। হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেলসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাত কর্মকর্তার প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কমান্ডারও রয়েছেন। হামলায় কনস্যুলেট ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন যে, ইরানের সাথে সংশ্লিষ্ট যেকোনও ধরনের পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

রোববার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেছেন, ইসরায়েলের কোনও দূতাবাসই আর নিরাপদ নয়। তেহরান ইসরায়েলের সাথে সংঘাতকে একটি ‘‘ন্যায় ও আইনি অধিকার’’ হিসেবে দেখে।

ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ রোববার একটি চিত্র প্রকাশ করেছে। এতে ইরানের হাতে থাকা ৯টি ভিন্ন ভিন্ন ধাঁচের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে।

যদিও দামেস্কে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে দেশটির নেতারা বলেছেন, তারা ইরানের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। কারণ গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহকে সহায়তা করছে ইরান। গত ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে হামাস ও হিজবুল্লাহ।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরায়েলি ও আমেরিকান স্বার্থে ইরানের সম্ভাব্য হামলার হুমকিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ১৯৯৪ সালে আর্জেন্টিনার রাজধানীতে ইহুদিদের একটি প্রার্থনা কেন্দ্রে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ইরান জড়িত বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। ওই হামলায় অন্তত ৮৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে বুয়েন্স আয়ার্সে সেই হামলায় জড়িত থাকার কথা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান।

সূত্র: রয়টার্স।