আসুন পৃথিবীটাকে বাঁচিয়ে রাখি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১
  • / ২০৬ Time View

 

রবিউল হাসান সুজন:

“পানির অপর নাম জীবন”- প্রচলিত এই প্রবাদটির জন্য দুঃখিত৷ এখন থেকে বলুন, “বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন” ৷ রাসায়নিকভাবে পানি হলো H2O যা আমরা অনেকেই জানি। পানি পরিবেশের এমন একটি উপাদান যা ছাড়া সমস্ত পৃথিবীর প্রাণীকুলের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।পৃথিবীপৃষ্ঠ প্রায় ৭৫% পানি দ্বারা আবৃত। এই ৭৫% পানি সম্পূর্ণটাই পানযোগ্য নয়। পৃথিবীর ১০০% পানির মধ্যে ৯৭% সামুদ্রিক লবণাক্ত পানি, পোলার আইস ক্যাপে সঞ্চিত ২% পানি এবং স্বাদু পানি, নদী, পুকুর ঝরণা, ভূ-গর্ভস্থ পানি ১%।

বিশ্বে WHO অনুমোদিত পানির গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড:

১. P→ 5.5-8.5.

২. Dissolved Oxygen → 5.0-6.0.

৩. Biological Oxygen Demand → 6.0 ppm.

৪. Chemical Oxygen Demand → 10.0 ppm.

৫. Total Dissolved Solid → 500 ppm.

বর্তমান পৃথিবীর ৯০% লোক এমন সব এলাকায় বসবাস করে যার কমপক্ষে ১০ কি.মি এর মধ্যে নদী বা হ্রদ অথবা মিঠা পানির ব্যবস্থা রয়েছে ৷ পৃথিবীর সভ্যতাগুলো গড়ে উঠেছিল নদী কেন্দ্রিক ৷ বিগত শতকে বিশ্বে প্রায় ৭ গুণ পানির ব্যবহার বেড়েছে । মিঠা পানির ব্যবহার বাংলাদেশে ৫০% তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনে, কৃষিকাজে ৩০%, শিল্পে ১০% এবং গৃহস্থলি কাজে ৭% ৷

এইসব কাজে পানির চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পরছি৷ বেশি বেশি ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তলোনের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে এবং অনেক এলাকার ভূমি নিচে ধ্বসে যাচ্ছে। পৃথিবীর সকল অঞ্চলেই পানির অধিক ব্যবহারের কারণে আর কিছুদিনের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ পানি শেষ হয়ে যেতে পারে। সমগ্র পৃথিবীতেই বৃষ্টি ও তুষারপাত অনেক কমে গেছে ৷ ফলে বিশ্বের সকল অঞ্চলের নদী এবং হ্রদ শুকিয়ে যাচ্ছে ৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক এলাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে খরা দেখা দিচ্ছে ৷

গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমান বিশ্বে প্রতি ৭ জনের বাড়িতেই পানির লাইনের সংযোগ রয়েছে ৷ এভাবে আমরা খুব সহজেই পানি পেয়ে যাচ্ছি ফলে পানির সঠিক ব্যবহার আমরা কেউই করছি না। বিনা করাণে পানির অপচয় করছি ৷ এভাবে পানির অপচয় হতে থাকলে অচিরেই দেশে বিশুদ্ধ মিঠা পানির অভাব দেখা দিবে ৷ আমাদের দেশের মেট্রোপলিটন শহর গুলোতে বিশুদ্ধ মিঠা পানির খুবই অভাব এমনকি সেইসব শহরের নদ নদীর পানিও দূষিত ৷ আমাদের দেশের রাজধানী শহর ঢাকায় পান যোগ্য পানির প্রাচুর্যতা আরও ভয়াবহ৷

আমরা অনেকেই হয়তো জানি, বিশ্ব উষ্ণায়ন বা Global Warming বিষয়টি সম্পর্কে। আরও জানলে অবাক হবেন যে, দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পোলার আইস ক্যাপে জমানো পানি গলে যাওয়া শুরু করেছে ৷ এই দুই মেরুর বরফ যদি অতিমাত্রায় গলে যায় তাহলে পৃথিবীর পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হতে পারে। এই বরফ গললে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার আশংকা আছে আর সমুদ্রের পানির উচচতা বেড়ে গেলে পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত শহর এমনকি অনেক দ্বীপ দেশ পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। এরকম ঝুঁকির মধ্যে আছে লন্ডন, টোকিও, মুম্বাই, নিউইয়র্ক ইত্যাদি বিখ্যাত শহর এছাড়া মালদ্বীপ এ মতো দেশগুলাও তলিয়ে যেতে পারে। পৃথিবীর তাপমাত্রা যেভাবে বেড়ে চলেছে এখনি এর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অচিরেই হয়তো পৃথিবী বাস যোগ্যতা হারাবে।

এই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী উন্নত বিশ্বের দেশগুলি অত্যাধুনিক জীবন যাপনের কারণে মাত্রাতিরিক্ত CFC গ্যাস, CO2  গ্যাস নিঃস্বরণ করে থাকে যার ফলে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বেড়ে যায়।এছাড়া CFC এর প্রভাবে ওজোন স্তরেও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ওজোনস্তর আমাদের সুর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে রক্ষা করে থাকে ৷ তাই আমাদের এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত৷ প্রয়োজন অনুযায়ী অত্যাধুনিক পণ্য ব্যবহার করা উচিত ৷ পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানোর একটাই উপায় হলো- বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণ করা ৷ সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে সবুজে ভরিয়ে তোলা ৷ প্রতিবছর গাছ লাগানোর মৌসুমে অন্তত তিনটি করে যদি আমরা গাছ লাগাই তবে চিন্তা করুন কত গাছে ভরে যাবে এই বিশ্ব ৷

এছাড়াও আপনারা জেনে থাকবেন যে পৃথিবীতে আমরা সবাই বর্তমানে প্লাস্টিক পণ্যের উপর নির্ভরশীল অনেক হয়ে পরছি ৷ ফলে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্র, নদী, খাল-বিল এমনকি কৃষি জমিতে গিয়ে জমা হচ্ছে ৷ ফলে আবাদি জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে এবং সমুদ্র ও নদীর প্রাণীকুল হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে ৷ তাই আমাদের সকলের উচিত প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য ব্যবহারে সচেতন হওয়া। রিসাইকেল যোগ্য পণ্য ব্যবহার করা আর ব্যবহারের পর নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা। সকলের সচেতনতায় পারে এই পৃথিবীকে সুন্দর বাসযোগ্য করে রাখতে ৷

আমাদের সকলকেই এখনি সচেতন হওয়া প্রয়োজন ৷ পানির অপচয় রোধ করাখুবই জরুরি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা আমাদেরকেই করে দিয়ে যেতে হবে ৷ আমরা অনেকেই অযথা পানির টেপ খুলে রাখি,পানি ট্যাংক ভর্তির পরও পানি উপচে পরতে দেখা যায়, সরবরাহ কৃত পানির পাইপ লাইনের ত্রুটির কারণে প্রচুর পরিমাণে পানির অপচয় হয়। বিশেষ করে বাসা বাড়িতে, স্কুল-কলেজে, বিশ্বিবদ্যালয়ের হল গুলোতে পানির অপচয় আরো বেশি হয় ৷ তাই আমাদের সকলেরইত উচিত কাজ শেষ হয়ে গেলে পানির টেপ বন্ধ রাখা, পাম্প বন্ধ করে দেয়া, সকল প্রকার পানির লাইন বন্ধ করে দেয়া।বিশ্ব উষ্ণায়ন কমাতে প্রয়োজন সচেতনতা ৷ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি যাতে না হয় সে জন্য যেসব গ্যাস দায়ী সেইগুলার ব্যবহার না করা বা কমিয়ে ফেলা। প্লাস্টিকের  তৈরি পণ্য ব্যবহার এমনভাবে করতে হবে যাতে সেগুলা আবার পুনরায় ব্যবহার করা যায় ৷

পৃথিবীতে প্রাণীকুলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিশুদ্ধ পানির কোন বিকল্প নেই ৷ তাই আসুন- নিজে সচেতন হই অন্যকেও সচেতন করার চেষ্টা অব্যাহত রাখি ৷ সেই সাথে পৃথিবীটা সবুজ-শ্যামলীমায় ভরিয়ে বসবাসযোগ্য নির্মল করে গড়ে তুলি

লেখক: শিক্ষার্থী,ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আসুন পৃথিবীটাকে বাঁচিয়ে রাখি

Update Time : ০৯:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

 

রবিউল হাসান সুজন:

“পানির অপর নাম জীবন”- প্রচলিত এই প্রবাদটির জন্য দুঃখিত৷ এখন থেকে বলুন, “বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন” ৷ রাসায়নিকভাবে পানি হলো H2O যা আমরা অনেকেই জানি। পানি পরিবেশের এমন একটি উপাদান যা ছাড়া সমস্ত পৃথিবীর প্রাণীকুলের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।পৃথিবীপৃষ্ঠ প্রায় ৭৫% পানি দ্বারা আবৃত। এই ৭৫% পানি সম্পূর্ণটাই পানযোগ্য নয়। পৃথিবীর ১০০% পানির মধ্যে ৯৭% সামুদ্রিক লবণাক্ত পানি, পোলার আইস ক্যাপে সঞ্চিত ২% পানি এবং স্বাদু পানি, নদী, পুকুর ঝরণা, ভূ-গর্ভস্থ পানি ১%।

বিশ্বে WHO অনুমোদিত পানির গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড:

১. P→ 5.5-8.5.

২. Dissolved Oxygen → 5.0-6.0.

৩. Biological Oxygen Demand → 6.0 ppm.

৪. Chemical Oxygen Demand → 10.0 ppm.

৫. Total Dissolved Solid → 500 ppm.

বর্তমান পৃথিবীর ৯০% লোক এমন সব এলাকায় বসবাস করে যার কমপক্ষে ১০ কি.মি এর মধ্যে নদী বা হ্রদ অথবা মিঠা পানির ব্যবস্থা রয়েছে ৷ পৃথিবীর সভ্যতাগুলো গড়ে উঠেছিল নদী কেন্দ্রিক ৷ বিগত শতকে বিশ্বে প্রায় ৭ গুণ পানির ব্যবহার বেড়েছে । মিঠা পানির ব্যবহার বাংলাদেশে ৫০% তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনে, কৃষিকাজে ৩০%, শিল্পে ১০% এবং গৃহস্থলি কাজে ৭% ৷

এইসব কাজে পানির চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পরছি৷ বেশি বেশি ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তলোনের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে এবং অনেক এলাকার ভূমি নিচে ধ্বসে যাচ্ছে। পৃথিবীর সকল অঞ্চলেই পানির অধিক ব্যবহারের কারণে আর কিছুদিনের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ পানি শেষ হয়ে যেতে পারে। সমগ্র পৃথিবীতেই বৃষ্টি ও তুষারপাত অনেক কমে গেছে ৷ ফলে বিশ্বের সকল অঞ্চলের নদী এবং হ্রদ শুকিয়ে যাচ্ছে ৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক এলাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে খরা দেখা দিচ্ছে ৷

গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমান বিশ্বে প্রতি ৭ জনের বাড়িতেই পানির লাইনের সংযোগ রয়েছে ৷ এভাবে আমরা খুব সহজেই পানি পেয়ে যাচ্ছি ফলে পানির সঠিক ব্যবহার আমরা কেউই করছি না। বিনা করাণে পানির অপচয় করছি ৷ এভাবে পানির অপচয় হতে থাকলে অচিরেই দেশে বিশুদ্ধ মিঠা পানির অভাব দেখা দিবে ৷ আমাদের দেশের মেট্রোপলিটন শহর গুলোতে বিশুদ্ধ মিঠা পানির খুবই অভাব এমনকি সেইসব শহরের নদ নদীর পানিও দূষিত ৷ আমাদের দেশের রাজধানী শহর ঢাকায় পান যোগ্য পানির প্রাচুর্যতা আরও ভয়াবহ৷

আমরা অনেকেই হয়তো জানি, বিশ্ব উষ্ণায়ন বা Global Warming বিষয়টি সম্পর্কে। আরও জানলে অবাক হবেন যে, দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পোলার আইস ক্যাপে জমানো পানি গলে যাওয়া শুরু করেছে ৷ এই দুই মেরুর বরফ যদি অতিমাত্রায় গলে যায় তাহলে পৃথিবীর পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হতে পারে। এই বরফ গললে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার আশংকা আছে আর সমুদ্রের পানির উচচতা বেড়ে গেলে পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত শহর এমনকি অনেক দ্বীপ দেশ পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। এরকম ঝুঁকির মধ্যে আছে লন্ডন, টোকিও, মুম্বাই, নিউইয়র্ক ইত্যাদি বিখ্যাত শহর এছাড়া মালদ্বীপ এ মতো দেশগুলাও তলিয়ে যেতে পারে। পৃথিবীর তাপমাত্রা যেভাবে বেড়ে চলেছে এখনি এর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অচিরেই হয়তো পৃথিবী বাস যোগ্যতা হারাবে।

এই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী উন্নত বিশ্বের দেশগুলি অত্যাধুনিক জীবন যাপনের কারণে মাত্রাতিরিক্ত CFC গ্যাস, CO2  গ্যাস নিঃস্বরণ করে থাকে যার ফলে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বেড়ে যায়।এছাড়া CFC এর প্রভাবে ওজোন স্তরেও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ওজোনস্তর আমাদের সুর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে রক্ষা করে থাকে ৷ তাই আমাদের এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত৷ প্রয়োজন অনুযায়ী অত্যাধুনিক পণ্য ব্যবহার করা উচিত ৷ পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানোর একটাই উপায় হলো- বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণ করা ৷ সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে সবুজে ভরিয়ে তোলা ৷ প্রতিবছর গাছ লাগানোর মৌসুমে অন্তত তিনটি করে যদি আমরা গাছ লাগাই তবে চিন্তা করুন কত গাছে ভরে যাবে এই বিশ্ব ৷

এছাড়াও আপনারা জেনে থাকবেন যে পৃথিবীতে আমরা সবাই বর্তমানে প্লাস্টিক পণ্যের উপর নির্ভরশীল অনেক হয়ে পরছি ৷ ফলে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্র, নদী, খাল-বিল এমনকি কৃষি জমিতে গিয়ে জমা হচ্ছে ৷ ফলে আবাদি জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে এবং সমুদ্র ও নদীর প্রাণীকুল হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে ৷ তাই আমাদের সকলের উচিত প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য ব্যবহারে সচেতন হওয়া। রিসাইকেল যোগ্য পণ্য ব্যবহার করা আর ব্যবহারের পর নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা। সকলের সচেতনতায় পারে এই পৃথিবীকে সুন্দর বাসযোগ্য করে রাখতে ৷

আমাদের সকলকেই এখনি সচেতন হওয়া প্রয়োজন ৷ পানির অপচয় রোধ করাখুবই জরুরি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা আমাদেরকেই করে দিয়ে যেতে হবে ৷ আমরা অনেকেই অযথা পানির টেপ খুলে রাখি,পানি ট্যাংক ভর্তির পরও পানি উপচে পরতে দেখা যায়, সরবরাহ কৃত পানির পাইপ লাইনের ত্রুটির কারণে প্রচুর পরিমাণে পানির অপচয় হয়। বিশেষ করে বাসা বাড়িতে, স্কুল-কলেজে, বিশ্বিবদ্যালয়ের হল গুলোতে পানির অপচয় আরো বেশি হয় ৷ তাই আমাদের সকলেরইত উচিত কাজ শেষ হয়ে গেলে পানির টেপ বন্ধ রাখা, পাম্প বন্ধ করে দেয়া, সকল প্রকার পানির লাইন বন্ধ করে দেয়া।বিশ্ব উষ্ণায়ন কমাতে প্রয়োজন সচেতনতা ৷ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি যাতে না হয় সে জন্য যেসব গ্যাস দায়ী সেইগুলার ব্যবহার না করা বা কমিয়ে ফেলা। প্লাস্টিকের  তৈরি পণ্য ব্যবহার এমনভাবে করতে হবে যাতে সেগুলা আবার পুনরায় ব্যবহার করা যায় ৷

পৃথিবীতে প্রাণীকুলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিশুদ্ধ পানির কোন বিকল্প নেই ৷ তাই আসুন- নিজে সচেতন হই অন্যকেও সচেতন করার চেষ্টা অব্যাহত রাখি ৷ সেই সাথে পৃথিবীটা সবুজ-শ্যামলীমায় ভরিয়ে বসবাসযোগ্য নির্মল করে গড়ে তুলি

লেখক: শিক্ষার্থী,ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।