চাঁদপুরে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১১০ জনকে আসামি করে মামলা

  • Update Time : ১০:৫৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 21

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়ায় রোডে এক নারীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের বাকবিন্ডতা এবং পরবর্তীতে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একই পরিবারের মা, মেয়ে ও ছেলেসহ ১১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে মডেল থানা পুলিশ। মামলা নং-৬।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধ মুলক কাজে উস্কানি ও পুলিশী কাজে বাধা এবং সন্ত্রাসী হামলাসহ নানা অপরাধে চাঁদপুর মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। যার নং-০৬ তাং- ১০/৯/২০২৪ইং। মামলার বাদী উক্ত ঘটনায় আহত মডেল থানার এস আই আঃ ছামাদ। মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন একই থানার এস আই শাহজাহান।

মামলার আসামীরা হচ্ছেন – ১/ উক্ত ঘটনার নেপথ্য কারিগর আহত নারীর মেয়ে ফাতেমা আক্তার পিতা- হারুন ছৈয়াল, ২/ মাসুমা বেগম স্বামী -ঐ ৩/ তাহমিন হোসেন পিতা- ঐ সাং কোড়ালিয়া রোড, ৪/ আল আমীন পিতা- আঃ রশীদ সাং কোড়ালিয়া রোড, ৫/ রাকিব ভুইয়া পিতা- অঞাত সাং ট্রাক রোড, ৬/ আরেফীন আনিফ পিতা- অঞাত সাং চাঁদপুর পৌরসভা, ৭/ সাফায়েত পিতা- অজ্ঞাত ৮/ সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, পিতা- অজ্ঞাত, ৯/ রিফাত পিতা- অজ্ঞাত ১০/ আরাফাত পিতা- অজ্ঞাত সাং চাঁদপুর পৌরসভা। এছাড়াও এই মামলায় আরো ৮০/১০০ জন কে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী এস আই শাহজাহানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে উধ্বতন কতৃপক্ষের পরামর্শে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করা হবে।

উল্লেখ্য গত ৮ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের বাসিন্দা এক নারীকে স্হানীয় বাসিন্দা শাহাদাত হাওলাদার হামলা করেন। এ ঘটনায় ঐদিন রাতেই ঐ নারী চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে ঐ নারীর উপর হামলার ঘটনায় ঐ নারীর ছেলে ও মেয়ে এ ঘটনার বিষয় শিক্ষার্থীদের জানালে এ ঘটনায় ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে যায়। ঐ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সাথে উক্ত ঘটনাকারীদের সাথে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা থানায় এসে পুলিশকে লাঞ্ছিত করে এবং হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ঘটনার বিষয় নিয়ে পুলিশ প্রশাসনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা থানায় গিয়ে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চাঁদপুরে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১১০ জনকে আসামি করে মামলা

Update Time : ১০:৫৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়ায় রোডে এক নারীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের বাকবিন্ডতা এবং পরবর্তীতে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একই পরিবারের মা, মেয়ে ও ছেলেসহ ১১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে মডেল থানা পুলিশ। মামলা নং-৬।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধ মুলক কাজে উস্কানি ও পুলিশী কাজে বাধা এবং সন্ত্রাসী হামলাসহ নানা অপরাধে চাঁদপুর মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। যার নং-০৬ তাং- ১০/৯/২০২৪ইং। মামলার বাদী উক্ত ঘটনায় আহত মডেল থানার এস আই আঃ ছামাদ। মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন একই থানার এস আই শাহজাহান।

মামলার আসামীরা হচ্ছেন – ১/ উক্ত ঘটনার নেপথ্য কারিগর আহত নারীর মেয়ে ফাতেমা আক্তার পিতা- হারুন ছৈয়াল, ২/ মাসুমা বেগম স্বামী -ঐ ৩/ তাহমিন হোসেন পিতা- ঐ সাং কোড়ালিয়া রোড, ৪/ আল আমীন পিতা- আঃ রশীদ সাং কোড়ালিয়া রোড, ৫/ রাকিব ভুইয়া পিতা- অঞাত সাং ট্রাক রোড, ৬/ আরেফীন আনিফ পিতা- অঞাত সাং চাঁদপুর পৌরসভা, ৭/ সাফায়েত পিতা- অজ্ঞাত ৮/ সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, পিতা- অজ্ঞাত, ৯/ রিফাত পিতা- অজ্ঞাত ১০/ আরাফাত পিতা- অজ্ঞাত সাং চাঁদপুর পৌরসভা। এছাড়াও এই মামলায় আরো ৮০/১০০ জন কে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী এস আই শাহজাহানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে উধ্বতন কতৃপক্ষের পরামর্শে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করা হবে।

উল্লেখ্য গত ৮ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের বাসিন্দা এক নারীকে স্হানীয় বাসিন্দা শাহাদাত হাওলাদার হামলা করেন। এ ঘটনায় ঐদিন রাতেই ঐ নারী চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে ঐ নারীর উপর হামলার ঘটনায় ঐ নারীর ছেলে ও মেয়ে এ ঘটনার বিষয় শিক্ষার্থীদের জানালে এ ঘটনায় ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে যায়। ঐ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সাথে উক্ত ঘটনাকারীদের সাথে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা থানায় এসে পুলিশকে লাঞ্ছিত করে এবং হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ঘটনার বিষয় নিয়ে পুলিশ প্রশাসনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা থানায় গিয়ে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে।