প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি সিলেটে এসে মিশ্র অনুভূতি মঈন আলীর

  • Update Time : ০৩:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 163

স্পোর্টস ডেস্কঃ

এমন ভাগ্যও কপালে জোটে কোনো ক্রিকেটারের জীবনে? ক্রিকেট খেলার সুবাদে চলে এলেন শ্বশুরবাড়ি, তাও আবার প্রথমবার! বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে এসে মঈন আলী পেয়ে গেলেন সেই সুযোগ। ইংলিশ অলরাউন্ডারের শ্বশুরবাড়ি সিলেটে। মঈনের স্ত্রী ফিরোজা হোসেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত। জন্ম-বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডে হলেও তার বাবার বাড়ি সিলেটে।

সিলেট শহরের পীর মহল্লা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ফিরোজার বাবা এম হোসেন। এরপর সপরিবারে ইংল্যান্ডে থিতু হন। সেখানেই জন্ম ফিরোজার। ওখানেই মঈনের সঙ্গে তার পরিচয়, বন্ধুত্ব ও বিয়ে। সেই সুবাদে মঈন হয়েছেন সিলেটের জামাই।

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে না পেলেও ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বে ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার একটি ম্যাচ খেলেছেন। বিপিএল এখন সিলেটে। সোমবার থেকে শুরু হবে ম্যাচ। রোববার দলের সঙ্গে অনুশীলনে হাজির হন মঈন।

সিলেটে প্রথমবার এসে মিশ্র অনুভূতি তার। এর আগে পরিবারের অনেক জোরাজুরিতেও সিলেটে আসা হয়নি তার। আন্তর্জাতিক সূচি, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ব্যস্ততা সব মিলিয়ে কখনো চা-এর শহরে আসা হয়নি তার। এবার এসে খুশি তিনি। তবে পরিবারের কেউ সঙ্গে না থাকায় আক্ষেপও করলেন।

মঈন বললেন, ‘আমার স্ত্রী এখানকার (বাংলাদেশি)। পরিবারের অনেকেই এসেছে। আমার স্ত্রী এখানে। তার বোন এখানেই থাকে, শ্বশুরবাড়ি ঢাকায়। দুয়েকদিনের মধ্যেই তারা সিলেটে আসছে। আমার শ্বশুরবাড়ি এখানে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, সম্মান। সিলেটে প্রথমবার এলাম। আমার পরিবার সব সময়ই বলে, চলো সিলেট বেড়িয়ে আসি। কিন্তু আমি সময় বের করতে পারিনি। এখানে এসে ভালো লাগছে।’

সিলেটে পা রেখে কিছু শব্দও আয়ত্ত করার চেষ্টা করছেন কুমিল্লার এই ক্রিকেটার, ‘আমি কিছু সিলেটী শব্দ পারি। আরো কিছু জানতে পারলে খুশি হতাম। আশা করছি নতুন কিছু শব্দ শিখতে পারব। হোটেলে যারা আছে, তারা আমার সঙ্গে সিলেটী ভাষায় কথা বলে। এজন্য আমাকে চেষ্টা করে শিখতে হবে।’

বাংলাদেশের সংস্কৃতি, এখানকার মানুষ কতটা অতিথিপরায়ণ তা খুব ভালো করেই জানেন মঈন। তাইতো ৩৪ বছর বয়সী পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত ক্রিকেটার বাংলাদেশকে তার হৃদয়েই রেখেছেন, ‘আমার কাছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ঘরের মতো। প্রত্যেকটি জায়গা আমি এক করেই দেখি।‘

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি সিলেটে এসে মিশ্র অনুভূতি মঈন আলীর

Update Time : ০৩:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

স্পোর্টস ডেস্কঃ

এমন ভাগ্যও কপালে জোটে কোনো ক্রিকেটারের জীবনে? ক্রিকেট খেলার সুবাদে চলে এলেন শ্বশুরবাড়ি, তাও আবার প্রথমবার! বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে এসে মঈন আলী পেয়ে গেলেন সেই সুযোগ। ইংলিশ অলরাউন্ডারের শ্বশুরবাড়ি সিলেটে। মঈনের স্ত্রী ফিরোজা হোসেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত। জন্ম-বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডে হলেও তার বাবার বাড়ি সিলেটে।

সিলেট শহরের পীর মহল্লা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ফিরোজার বাবা এম হোসেন। এরপর সপরিবারে ইংল্যান্ডে থিতু হন। সেখানেই জন্ম ফিরোজার। ওখানেই মঈনের সঙ্গে তার পরিচয়, বন্ধুত্ব ও বিয়ে। সেই সুবাদে মঈন হয়েছেন সিলেটের জামাই।

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে না পেলেও ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বে ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার একটি ম্যাচ খেলেছেন। বিপিএল এখন সিলেটে। সোমবার থেকে শুরু হবে ম্যাচ। রোববার দলের সঙ্গে অনুশীলনে হাজির হন মঈন।

সিলেটে প্রথমবার এসে মিশ্র অনুভূতি তার। এর আগে পরিবারের অনেক জোরাজুরিতেও সিলেটে আসা হয়নি তার। আন্তর্জাতিক সূচি, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ব্যস্ততা সব মিলিয়ে কখনো চা-এর শহরে আসা হয়নি তার। এবার এসে খুশি তিনি। তবে পরিবারের কেউ সঙ্গে না থাকায় আক্ষেপও করলেন।

মঈন বললেন, ‘আমার স্ত্রী এখানকার (বাংলাদেশি)। পরিবারের অনেকেই এসেছে। আমার স্ত্রী এখানে। তার বোন এখানেই থাকে, শ্বশুরবাড়ি ঢাকায়। দুয়েকদিনের মধ্যেই তারা সিলেটে আসছে। আমার শ্বশুরবাড়ি এখানে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, সম্মান। সিলেটে প্রথমবার এলাম। আমার পরিবার সব সময়ই বলে, চলো সিলেট বেড়িয়ে আসি। কিন্তু আমি সময় বের করতে পারিনি। এখানে এসে ভালো লাগছে।’

সিলেটে পা রেখে কিছু শব্দও আয়ত্ত করার চেষ্টা করছেন কুমিল্লার এই ক্রিকেটার, ‘আমি কিছু সিলেটী শব্দ পারি। আরো কিছু জানতে পারলে খুশি হতাম। আশা করছি নতুন কিছু শব্দ শিখতে পারব। হোটেলে যারা আছে, তারা আমার সঙ্গে সিলেটী ভাষায় কথা বলে। এজন্য আমাকে চেষ্টা করে শিখতে হবে।’

বাংলাদেশের সংস্কৃতি, এখানকার মানুষ কতটা অতিথিপরায়ণ তা খুব ভালো করেই জানেন মঈন। তাইতো ৩৪ বছর বয়সী পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত ক্রিকেটার বাংলাদেশকে তার হৃদয়েই রেখেছেন, ‘আমার কাছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ঘরের মতো। প্রত্যেকটি জায়গা আমি এক করেই দেখি।‘