ক্যাম্পের হাটেই বছরে শত কোটি টাকার পান উৎপাদন
- Update Time : ১২:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / 208
লক্ষীপুর প্রতিনিধি:
ধান, পাট, গম, চা, সয়াবিনের মতই বর্তমানে পানও বাংলাদেশে আরেকটি অর্থকারী ফসল। দেশের অনেকে এলাকার মতো বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলেও নারিকেল-সুপারীর পাশাপাশি পান চাষ বাড়ছে।
বিশেষ করে লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার অনেক কৃষকেই এখন পান চাষে ঝুঁকেছেন। এই উপজেলার ক্যাম্পের হাট গ্রামের শতকরা ৯০ ভাগ লোকই কোননা কোনভাবে পান চাষের সাথে সম্পৃক্ত। তারা বছরে শত কোটি টাকার বেশি পান বিক্রি করে থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, ক্যাম্পের হাটের এই পান বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়েও বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হয়ে থাকে। বর্তমানে এখানে প্রতি বিঁড়া পান ৩০ থেকে ৩৫ টাকা করে পাইকারি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে,আর খুচরা বাজারে বর্তমান সময়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে। আবার শীতের মৌসুমে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হয়। রায়পুর উপজেলায় প্রায় ৪৮০ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়ে থাকে, কিন্ত শুধুমাত্র ক্যাম্পের হাটের পানই বছরে বিক্রি হচ্ছে প্রায় শতকোটি টাকার পান।
এখানকার পান অত্যন্ত সুমিষ্ট হওয়ায় এর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক।
ক্যম্পের হাটের পান চাষী কৃষ্ণ বিশ্বাস জানান, বর্তমানে বাজারে উৎপাদন বেশি হওয়ায় পানের দাম কম। তাতে পান চাষে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ, সার কীটনাশক, খৈলসহ ইত্যাদি কিনতে তাদেরকে হিমশীম খেতে হচ্ছে। এছাড়া পানের বরজের প্রতিদিনই দুই তিন জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তাদের মজুরি দিতে হয় ৫০০ টাকা করে।
এই অবস্থায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা পান চাষে অধিক লাভবান হতে পারবেন বলে জানান কৃষ্ণ।