কুতুবদিয়ায় সাড়ে ৮ হাজার কিশোরী পাবে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা

  • Update Time : ১০:৩৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / 3

আবুল কাশেম, কুতুবদিয়া।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম ২৪ অক্টোবর শুরু হচ্ছে। টিকা গ্রহণের জন্য জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে ইতোমধ্যে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এ উপলক্ষে দুই দফায় সংশ্লিষ্টদের সাথে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচেতনতামূলক সভা সম্পন্ন করেছে। কুতুবদিয়ায় ৮ হাজারের ৭১৮
অধিক কিশোরীকে এই টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সভায় জানিয়েছেন কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা নাদিম।

তিনি জানান, জরায়ুমুখ ক্যান্সার হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস জনিত একটি প্রাণঘাতী প্রতিরোধযোগ্য রোগ। এই রোগ বাংলাদেশের নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুতে দ্বিতীয়। অতিরিক্ত সাদা প্রাব, দুর্গন্ধযুক্তার্ব, অনিয়মিত রক্তর্ব, শারীরিক মিলনের পর রক্তপাত, মাসিক বন্ধ হওয়ার পর পুনরায় রক্তপাত, কোমর, তলপেট, উরুতে ব্যথা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ।

বাল্য বিবাহ, ঘন-ঘন সন্তান প্রসাব, ধূমপায়ী, এইডস রোগী, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন নন- এমন নারীরা এই রোগের ঝুঁকিতে থাকেন। কিশোরী বয়সে এইচপিভি টিকা নিলে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।

এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নয় এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। টিকা নিতে ছাত্রীদের নিবন্ধন করা হচ্ছে। নিবন্ধন কার্যক্রমে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছেন। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে কিশোরীদের ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর। নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত কিশোরীরাই বিনামূল্যে এই টিকা পাবে।

এইচপিভি টিকা পাওয়ার যোগ্য ছাত্রী বা কিশোরীরা নিজেদের উদ্যোগে অথবা বিদ্যালয়ের সহযোগিতায় নিবন্ধন করতে পারবে। নিবন্ধনের পর ২৪ অক্টোবর থেকে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পিং থেকে এবং যারা অধ্যয়নরত নয় তারা উপজেলার ৫৬টি ওয়ার্ডের ১৪৪টি স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাদাত হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. রেজাউল হাছানসহ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান,সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুতুবদিয়ায় সাড়ে ৮ হাজার কিশোরী পাবে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা

Update Time : ১০:৩৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

আবুল কাশেম, কুতুবদিয়া।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম ২৪ অক্টোবর শুরু হচ্ছে। টিকা গ্রহণের জন্য জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে ইতোমধ্যে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এ উপলক্ষে দুই দফায় সংশ্লিষ্টদের সাথে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচেতনতামূলক সভা সম্পন্ন করেছে। কুতুবদিয়ায় ৮ হাজারের ৭১৮
অধিক কিশোরীকে এই টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সভায় জানিয়েছেন কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা নাদিম।

তিনি জানান, জরায়ুমুখ ক্যান্সার হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস জনিত একটি প্রাণঘাতী প্রতিরোধযোগ্য রোগ। এই রোগ বাংলাদেশের নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুতে দ্বিতীয়। অতিরিক্ত সাদা প্রাব, দুর্গন্ধযুক্তার্ব, অনিয়মিত রক্তর্ব, শারীরিক মিলনের পর রক্তপাত, মাসিক বন্ধ হওয়ার পর পুনরায় রক্তপাত, কোমর, তলপেট, উরুতে ব্যথা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ।

বাল্য বিবাহ, ঘন-ঘন সন্তান প্রসাব, ধূমপায়ী, এইডস রোগী, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন নন- এমন নারীরা এই রোগের ঝুঁকিতে থাকেন। কিশোরী বয়সে এইচপিভি টিকা নিলে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।

এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নয় এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। টিকা নিতে ছাত্রীদের নিবন্ধন করা হচ্ছে। নিবন্ধন কার্যক্রমে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছেন। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে কিশোরীদের ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর। নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত কিশোরীরাই বিনামূল্যে এই টিকা পাবে।

এইচপিভি টিকা পাওয়ার যোগ্য ছাত্রী বা কিশোরীরা নিজেদের উদ্যোগে অথবা বিদ্যালয়ের সহযোগিতায় নিবন্ধন করতে পারবে। নিবন্ধনের পর ২৪ অক্টোবর থেকে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পিং থেকে এবং যারা অধ্যয়নরত নয় তারা উপজেলার ৫৬টি ওয়ার্ডের ১৪৪টি স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাদাত হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. রেজাউল হাছানসহ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান,সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।