কুতুবদিয়ায় মাদ্রাসার ওয়াকফকৃত জমি রক্ষার্থে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মানববন্ধন

  • Update Time : ১০:২৮:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / 5

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

ভূমিদস্যু ও আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক মাদ্রাসার নামে ওয়াক্ফ এস্টেটের ওয়াকফকৃত জমি জবর দখলের প্রতিবাদে কুতুবদিয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৩-অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে ধুরুং ছমদিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ ও শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষকরা আক্ষেপ নিয়ে জানায়, আওয়ামী পন্থি এক শ্রেণীর ভূমিদস্যু দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার নামে ওয়াকফকৃত জমি জবরদখল করে আসছে। গত ৬/৭ বছর ওই জমির বর্গা লাগিয়তের টাকা আত্মসাৎ করায় মাদ্রাসার উন্নয়নমূলক কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। বর্তমানে ভবন সংকটসহ বহু সমস্যায় জর্জরিত এই মাদ্রাসার জমির বর্গা লাগিয়ত বাবদ আত্মসাৎকৃত প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা অবিলম্বে মাদ্রাসা ফান্ডে জমা করার জোর দাবি রাখেন।

ধূরুং ছমদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আবু মুসা জানান, ধুরুং ছমদিয়া আলিম মাদ্রাসা শুধু কুতুবদিয়া নয় জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এ মাদ্রাসায় হাজারের অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের যোগসাজশে তার এক দূর আত্মীয় মাদ্রাসার নামে ওয়াকফকৃত চর ধূরুং মৌজায় বিএস ৬৭ নম্বর খতিয়ানের ৯.৬২ একর জমি জোরপূর্বক দখল করে আসছে। মাদ্রাসার বৈধ জমি ও কর পরিশোধসহ যাবতীয় কাগজপত্র থাকার পরও ভূয়া মোতাওয়াল্লি সেজে যারা মাদ্রাসার জমি ভোগ করার জন্য পাঁয়তারা করছে। তারা মাদ্রাসার সাথে কোনোভাবে সম্পৃক্ত নয়। 

গত (৫-আগষ্ট) ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই জমি লাগিয়ত করলে চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী অধ্যক্ষসহ চাষিদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রতিবাদ করলে বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে। তাই ওই জমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ কর্মসূচির সূচনা হয়। প্রশাসন একটি সঠিক সমাধান দিবেন বলে আশাবাদী তিনি।

এদিকে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাদাত হোসেন বরাবরে মাদ্রাসার জমি দখলের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু মুসা, মাদ্রাসার শিক্ষক জাকের হোসেন, আরবি প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ রমিজ, শিক্ষক আব্দুল হামিদ, আব্দুল হক ইয়াছির, শিক্ষার্থী নেসারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুতুবদিয়ায় মাদ্রাসার ওয়াকফকৃত জমি রক্ষার্থে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মানববন্ধন

Update Time : ১০:২৮:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

ভূমিদস্যু ও আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক মাদ্রাসার নামে ওয়াক্ফ এস্টেটের ওয়াকফকৃত জমি জবর দখলের প্রতিবাদে কুতুবদিয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৩-অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে ধুরুং ছমদিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ ও শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষকরা আক্ষেপ নিয়ে জানায়, আওয়ামী পন্থি এক শ্রেণীর ভূমিদস্যু দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার নামে ওয়াকফকৃত জমি জবরদখল করে আসছে। গত ৬/৭ বছর ওই জমির বর্গা লাগিয়তের টাকা আত্মসাৎ করায় মাদ্রাসার উন্নয়নমূলক কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। বর্তমানে ভবন সংকটসহ বহু সমস্যায় জর্জরিত এই মাদ্রাসার জমির বর্গা লাগিয়ত বাবদ আত্মসাৎকৃত প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা অবিলম্বে মাদ্রাসা ফান্ডে জমা করার জোর দাবি রাখেন।

ধূরুং ছমদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আবু মুসা জানান, ধুরুং ছমদিয়া আলিম মাদ্রাসা শুধু কুতুবদিয়া নয় জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এ মাদ্রাসায় হাজারের অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের যোগসাজশে তার এক দূর আত্মীয় মাদ্রাসার নামে ওয়াকফকৃত চর ধূরুং মৌজায় বিএস ৬৭ নম্বর খতিয়ানের ৯.৬২ একর জমি জোরপূর্বক দখল করে আসছে। মাদ্রাসার বৈধ জমি ও কর পরিশোধসহ যাবতীয় কাগজপত্র থাকার পরও ভূয়া মোতাওয়াল্লি সেজে যারা মাদ্রাসার জমি ভোগ করার জন্য পাঁয়তারা করছে। তারা মাদ্রাসার সাথে কোনোভাবে সম্পৃক্ত নয়। 

গত (৫-আগষ্ট) ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই জমি লাগিয়ত করলে চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী অধ্যক্ষসহ চাষিদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রতিবাদ করলে বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে। তাই ওই জমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ কর্মসূচির সূচনা হয়। প্রশাসন একটি সঠিক সমাধান দিবেন বলে আশাবাদী তিনি।

এদিকে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাদাত হোসেন বরাবরে মাদ্রাসার জমি দখলের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু মুসা, মাদ্রাসার শিক্ষক জাকের হোসেন, আরবি প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ রমিজ, শিক্ষক আব্দুল হামিদ, আব্দুল হক ইয়াছির, শিক্ষার্থী নেসারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।