বেনাপোলে ৪৫৬ বোতল ফেন্সিডিল সহ ৫ মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার
- Update Time : ০৫:৩৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
- / 11
মো.সাহিদুল ইসলাম শাহীনঃ-
আনুমানিক ১৪ লক্ষ টাকা মূল্যমানের চারশত ছাপান্ন (৪৫৬) বোতল ফেন্সিডিল সহ যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকা থেকে পাঁচজন কুখ্যাত মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬, যশোর।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৬ সিপিসি-৩, বকচর, যশোরেরর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক ফ্লা. লে. মো. রাসেল এক “প্রস রিলিজ” এ জানিয়েছেন- “এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। জঙ্গিবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট রয়েছে। এছাড়াও র্যাব বিভিন্ন সময়ে ফেনসিডিল, দেশী-বিদেশী মদ, গাঁজা ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতঃ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে”।
“সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিল মাদকের বড় বড় চালান দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছে। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট স্থাপন করে যানবাহন তল্লাশীসহ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে”।
“এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১১ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ৩’৫৫ মিনিটের দিকে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ০৫ নং পুটখালী ইউনিয়ন এর দৌলতপুর গ্রামের মো. আলতাফ হোসেন (৫০), পিতা- মৃত ইসমাইল হোসেন এর বাড়িতে কতিপয় মাদক বিক্রেতা বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যের চালান সরবরাহের জন্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করেছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর র্যাব-৬, যশোর এর আভিযানিক দল উক্ত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে”।
“উক্ত অভিযানে মাদক বিক্রেতা আসামী মো. আলতাফ হোসেন (৫০) কে গ্রেফতার করে র্যাব। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশীকালে তার স্বীকারোক্তি মতে বাড়ির পার্শ্বের খড়ের গাদার মধ্য হইতে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, তারই গ্রামের মো. আরিফ হোসেন (৩৫), মো. নয়ন হোসেন (২৬) এবং মো. আরিফুল ইসলাম (৪০) গনদের সহযোগীতায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আরও ফেনসিডিল তাদের নিকট মজুদ রেখেছে”।
“তাৎক্ষনিক তার দেওয়া তথ্য মতে মো. আরিফ হোসেন (৩৫) এর বসত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আরিফ হোসেন, পিতা- মো. খোরসেদ আলী ও মো. শফিকুর রহমান ওরফে ডালিম (৩৪), পিতা- মৃত বরকত আলী, উভয় সাং- দৌলতপুর, থানা- বেনাপোল পোর্ট, জেলা- যশোরদ্বয়’কে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে মো. শফিকুর রহমান ওরফে ডালিম এর বিল্ডিং বাড়ির চাউলের ড্রামের মধ্য হইতে ২৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়”।
“তাদের স্বীকারোক্তিতে আসামী মো. আরিফুর হোসেন (৩৫), পিতা- মৃত সাহেব আলী, সাং- দৌলতপুর, থানা- বেনাপোল পোর্ট, জেলা- যশোর এর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে তার বাড়ি হইতে ০৬ বোতল ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার করা হয় এবং আসামী মো. নয়ন হোসেন (২৬), পিতা- মো. ফজের আলী, সাং- দৌলতপুর, থানা- বেনাপোল পোর্ট, জেলা- যশোর এর বসত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে তার বাড়ি হইতে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার করা হয়”।
সর্বমোট (৫০+২৫০+৬+১৫০)= ৪৫৬ (চারশত ছাপান্ন) বোতল ফেনসিডিল, যার আনুমানিক বাজার মুল্য ১৩,৬৮,০০০/- (তের লাখ আটষট্টি হাজার) টাকা।
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা পেশাদার মাদক বিক্রেতা। তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য যশোর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ/বিক্রয় করে আসছিল। আটককৃত ২নং আসামী মো. আরিফ হোসেন এর বিরুদ্ধে ০১ টি মাদক মামলা এবং ৪নং আসামী মো. আরিফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ০৩ টি মাদক মামলা,০১ টি হত্যা চেষ্টা ও ০১ টি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা সহ মোট ০৫ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে”।
গ্রেফতারকৃত ০৫ আসামী’র বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু পূর্বক বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে “প্রেস রিলিজ” এ জানানো হয়েছে।