ছুটির দিনেও খোলা আশুলিয়ার অনেক পোশাক কারখানা

  • Update Time : ০৩:২৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 18

সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে উৎপাদন ঘাটতি পুষিয়ে নিতে সরকারি ছুটির দিনেও খোলা রয়েছে অনেক পোশাক কারখানা। এতে কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসছে পরিবেশ।

আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে খোলা থাকা কারখানায় কাজে যোগ দেয় শ্রমিকরা। তবে ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি উপলক্ষে নিয়ম মেনে অনেক কারখানা বন্ধ রেখেছে। এদিকে, ১৩/১ ধারায় যে সব কারখানা বন্ধ রয়েছে সেগুলোর দুইটি কারখানায় শ্রমিকরা এসে ফিরে যায়। এ সময় শ্রমিকরা দ্রুত কারখানা খুলো দেয়ার দাবি জানায়।

শিল্পাঞ্চল পুলিশের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, ছুটির দিনেও অনেক কারখানা খোলা রেখেছে। অনেকেই বন্ধ রেখেছে। স্বাভাবিক নিয়মে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলতার খবর পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকের চেয়ে পুরুষ শ্রমিক বেশি নিয়োগ দিতে হবে– এ প্রধান দাবিসহ আরও কিছু দাবি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ চলছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে। এ পরিস্থিতিতে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে গত কয়েক দিন নানা উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

কারখানার মালিক, শ্রমিক নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়েও হয় সমন্বয় সভা।

গবেষণা সংস্থা ম্যাপড ইন বাংলাদেশের (এমআইবি) পরিসংখ্যান বলছে, পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের হার এখন ৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একসময় এ হার প্রায় ৮০ শতাংশ ছিল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ছুটির দিনেও খোলা আশুলিয়ার অনেক পোশাক কারখানা

Update Time : ০৩:২৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে উৎপাদন ঘাটতি পুষিয়ে নিতে সরকারি ছুটির দিনেও খোলা রয়েছে অনেক পোশাক কারখানা। এতে কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসছে পরিবেশ।

আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে খোলা থাকা কারখানায় কাজে যোগ দেয় শ্রমিকরা। তবে ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি উপলক্ষে নিয়ম মেনে অনেক কারখানা বন্ধ রেখেছে। এদিকে, ১৩/১ ধারায় যে সব কারখানা বন্ধ রয়েছে সেগুলোর দুইটি কারখানায় শ্রমিকরা এসে ফিরে যায়। এ সময় শ্রমিকরা দ্রুত কারখানা খুলো দেয়ার দাবি জানায়।

শিল্পাঞ্চল পুলিশের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, ছুটির দিনেও অনেক কারখানা খোলা রেখেছে। অনেকেই বন্ধ রেখেছে। স্বাভাবিক নিয়মে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলতার খবর পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকের চেয়ে পুরুষ শ্রমিক বেশি নিয়োগ দিতে হবে– এ প্রধান দাবিসহ আরও কিছু দাবি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ চলছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে। এ পরিস্থিতিতে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে গত কয়েক দিন নানা উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

কারখানার মালিক, শ্রমিক নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়েও হয় সমন্বয় সভা।

গবেষণা সংস্থা ম্যাপড ইন বাংলাদেশের (এমআইবি) পরিসংখ্যান বলছে, পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের হার এখন ৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একসময় এ হার প্রায় ৮০ শতাংশ ছিল।