বগুড়া শেরপুরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় বিপাকে ১০ গ্রামের মানুষ

  • Update Time : ০৩:৫৮:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 13

শাহীন শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুরের তেতুলিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ১০টি গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছে। বন্ধ হয়েছে শেরপুর ও নন্দীগ্রামে দুটি উপজেলায় মানুষের চলাচল। ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে তেঁতুলিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।

জানা যায়, ১৯২৪ সালের একটি ম্যাপে রাস্তাটি দেখা যায়। সেখানে ধারনা করা হচ্ছে প্রায় ১৫ ফিট রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়ে শেরপুর ও নন্দীগ্রামের তেতুলিয়া, বংশধর, জামুর, খুরতা, তুলাশন, বড়পুকিরিয়া, ধুনধর, কদমপুরি, বীরপলী, শরিষাবাদের লোকজন নিয়মিত যাতায়াত করে। এটিই কৃষকদের ফসল নিয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা। হঠাৎ করেই গত বৃহস্পতিবার তেতুলিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের হাফিজার হাজি, শাহাদত মাষ্টার, মোজাম ও আশরাফ আলী খ্ূঁটি ও নেট দিয়ে বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। 

গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত প্রায় ২ বছর হয়েছে রাস্তার পাশে আলহাজ আলী রাস্তা দখল করে ইট দিয়ে বাড়ির করে। তার বাড়ীর মধ্যে প্রায় ৯ফিট রাস্তা নিয়েছে। বাকি ৬ ফিটের মধ্যে দিয়ে তালগাছ রোপন করায় রাস্তাটি বন্ধ হয়ে আছে।

আলহাজ আলী জানান, আমি বাড়ি করেছি আমার জায়গায়। তারপর মাপযোগ করে বাড়ি ছাড়াও কিছু অংশ থাকায় সেটাও ইট দিয়ে স্থাপনা করে বাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত করে নিয়েছি।

অভিযুক্ত হাফিজার হাজি, শাহাদত মাষ্টার, মোজাম জানান, আমাদের পুকুরে পার বেঁধে দিয়ে আমরা মানুষের দুর্ভোগ কমাতে রাস্তা দিয়েছিলাম। আলহাজ আলী রাস্তা দখল করে বাড়ি করায় গ্রামবাসি নিয়ে বৈঠক বসা হয়। ভূমি অফিস থেকে লোকজন এসে মাপযোগ করেছে তার বাড়ির মধ্যে ৯ ফিট রাস্তা গেছে কিছুটা ছেড়ে দিতে বলা হলেও সে ছাড়ছেনা। তাই আমাদের সীমানা বরাবর আমরা বেড়া দিয়েছি। রাস্তাটি প্রায় সম্পূর্ণ আমার জায়গায়। আলহাজ আলী সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করে বাড়ি করেছে। সরকারি জায়গা থাকতে আমি কি করে আমার নিজের জায়গা ছাড়বো।  

এ বিষয়ে বিশালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ১৯২৪ সালের একটি ম্যাপে রাস্তাটি দেখা যায়। তবে কতটুকু তা নির্ধারণ করা যাচ্ছেনা। তবে অধিকাংশ গ্রামবাসী বলেন রাস্তা বেশিরভাগ বাড়ির মধ্যে গেছে। তবে মাপযোগ করতে হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী জানান, সেখানে মাপযোগ করে দেখা গেছে রাস্তার কিছু অংশ বাড়ির মধ্যে ঢুকে গেছে। স্থাপনা সরানোর জন্য তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দির্ঘদিনের বাড়ী বা স্থাপনা হওয়ায় তারা জানিয়েছেন গ্রামবাসীকে নিয়ে তারা আপোষের মধ্যে দিয়ে বিষয়টি সমাধান করবে। তাই একটু সময় লাগবে। আমি আশা করি আগামী ৭ দিনের মধ্যে এর সমাধান হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বগুড়া শেরপুরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় বিপাকে ১০ গ্রামের মানুষ

Update Time : ০৩:৫৮:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শাহীন শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুরের তেতুলিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ১০টি গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছে। বন্ধ হয়েছে শেরপুর ও নন্দীগ্রামে দুটি উপজেলায় মানুষের চলাচল। ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে তেঁতুলিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।

জানা যায়, ১৯২৪ সালের একটি ম্যাপে রাস্তাটি দেখা যায়। সেখানে ধারনা করা হচ্ছে প্রায় ১৫ ফিট রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়ে শেরপুর ও নন্দীগ্রামের তেতুলিয়া, বংশধর, জামুর, খুরতা, তুলাশন, বড়পুকিরিয়া, ধুনধর, কদমপুরি, বীরপলী, শরিষাবাদের লোকজন নিয়মিত যাতায়াত করে। এটিই কৃষকদের ফসল নিয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা। হঠাৎ করেই গত বৃহস্পতিবার তেতুলিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের হাফিজার হাজি, শাহাদত মাষ্টার, মোজাম ও আশরাফ আলী খ্ূঁটি ও নেট দিয়ে বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। 

গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত প্রায় ২ বছর হয়েছে রাস্তার পাশে আলহাজ আলী রাস্তা দখল করে ইট দিয়ে বাড়ির করে। তার বাড়ীর মধ্যে প্রায় ৯ফিট রাস্তা নিয়েছে। বাকি ৬ ফিটের মধ্যে দিয়ে তালগাছ রোপন করায় রাস্তাটি বন্ধ হয়ে আছে।

আলহাজ আলী জানান, আমি বাড়ি করেছি আমার জায়গায়। তারপর মাপযোগ করে বাড়ি ছাড়াও কিছু অংশ থাকায় সেটাও ইট দিয়ে স্থাপনা করে বাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত করে নিয়েছি।

অভিযুক্ত হাফিজার হাজি, শাহাদত মাষ্টার, মোজাম জানান, আমাদের পুকুরে পার বেঁধে দিয়ে আমরা মানুষের দুর্ভোগ কমাতে রাস্তা দিয়েছিলাম। আলহাজ আলী রাস্তা দখল করে বাড়ি করায় গ্রামবাসি নিয়ে বৈঠক বসা হয়। ভূমি অফিস থেকে লোকজন এসে মাপযোগ করেছে তার বাড়ির মধ্যে ৯ ফিট রাস্তা গেছে কিছুটা ছেড়ে দিতে বলা হলেও সে ছাড়ছেনা। তাই আমাদের সীমানা বরাবর আমরা বেড়া দিয়েছি। রাস্তাটি প্রায় সম্পূর্ণ আমার জায়গায়। আলহাজ আলী সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করে বাড়ি করেছে। সরকারি জায়গা থাকতে আমি কি করে আমার নিজের জায়গা ছাড়বো।  

এ বিষয়ে বিশালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ১৯২৪ সালের একটি ম্যাপে রাস্তাটি দেখা যায়। তবে কতটুকু তা নির্ধারণ করা যাচ্ছেনা। তবে অধিকাংশ গ্রামবাসী বলেন রাস্তা বেশিরভাগ বাড়ির মধ্যে গেছে। তবে মাপযোগ করতে হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী জানান, সেখানে মাপযোগ করে দেখা গেছে রাস্তার কিছু অংশ বাড়ির মধ্যে ঢুকে গেছে। স্থাপনা সরানোর জন্য তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দির্ঘদিনের বাড়ী বা স্থাপনা হওয়ায় তারা জানিয়েছেন গ্রামবাসীকে নিয়ে তারা আপোষের মধ্যে দিয়ে বিষয়টি সমাধান করবে। তাই একটু সময় লাগবে। আমি আশা করি আগামী ৭ দিনের মধ্যে এর সমাধান হবে।