যবিপ্রবি প্রতিনিধি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাময়িকভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এইচ. এম. জাকির হোসেন। আজ রোববার বিকেলে যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীবের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিকালীন সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের অদ্য ০১.০৯.২০২৪ খ্রি. তারিখের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তমূলে মনোনীত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এইচ. এম. জাকির হোসেন-কে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ডিনদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সাময়িকভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রদান করা হলো।’

এদিকে প্রফেসর ড. এইচ. এম. জাকির হোসেনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের একাংশ জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিনের অফিসের সামনে অবস্থান নেন । শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ করায় তাকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে শিক্ষার্থীদের আরেক অংশ ড. এইচ. এম. জাকির হোসেনের প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রাপ্তের বিষয়কে সমর্থন করেন। পরবর্তীতে ড. এইচ. এম. জাকির হোসেন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কাছে পূর্বের খারাপ আচরনের জন্য ক্ষমা চান ও পরবর্তীতে কোন শিক্ষার্থীর সাথে অসদাচরণ করবেন না মর্মে স্বীকৃতি দিলে শিক্ষার্থীরা তাকে মেনে নেন।

প্রফেসর ড. এইচ. এম. জাকির হোসেন বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তির অনুষদের ডিন ছাড়াও পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে জাপানের সিমানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাটমস্ফেয়ার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পোস্ট-ডক সম্পন্ন করেন। তিনি যবিপ্রবির পিএমই বিভাগে ২০১০ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৭ সালে তিনি সহযোগী অধ্যাপক ও ২০২১ সালের মে মাসে একই বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা সাময়িকীতে তাঁর ৫৫টিরও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি ৫০টিরও বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষণা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।