১০ ফুট পানির নিচে সুন্দরবন, প্রাণীদের নিয়ে বনবিভাগের দুশ্চিন্তা

  • Update Time : ০৭:২৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
  • / 52

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন এলাকা।

বিশেষ করে কটকা, কচিখালি, নীলকমল, মান্দারবারি, হলদিবুনিয়া এলাকা সবচেয়ে বেশি পানির নিচে নিমজ্জিত। এসব এলাকার বণ্যপ্রাণী বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে বন বিভাগ।

রোববার (২৬ মে) বিকেলের দিকে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা ১০ ফুট পর্যন্ত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এর আগে দুপুর থেকেই পানির চাপ বাড়তে থাকে।

সুন্দরবন বন বিভাগের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সুন্দরবনের যেসব মিঠা পানির পুকুর রয়েছে যা বন্যপ্রাণী, বনজীবী এবং বনকর্মীদের খাবার পানির একমাত্র উৎস, প্রতিটি পুকুরই লোনা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া পানির উচ্চতা সেখানে ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত হয়েছে। বনে বাঘ শাবক, হরিণ শাবক কিংবা শকুন শাবক এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণী আছে। বন্যপ্রাণীরা এখানে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কটকা, কচিখালি, নীলকমল, মান্দারবারি, হলদিবুনিয়া- এসব স্থানে পানির যে উচ্চতা, পানির যে তীব্র স্রোত হচ্ছে তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বন্যপ্রাণীদের যথেষ্ট ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর প্রভাবে দেশজুড়ে দমকা হাওয়াসহ ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে জলোচ্ছাসের কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। এ অবস্থায় রোববার থেকে সোমবার (২৭ মে) বিকেল পর্যন্ত বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম ও সাতক্ষীরায় ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


১০ ফুট পানির নিচে সুন্দরবন, প্রাণীদের নিয়ে বনবিভাগের দুশ্চিন্তা

Update Time : ০৭:২৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন এলাকা।

বিশেষ করে কটকা, কচিখালি, নীলকমল, মান্দারবারি, হলদিবুনিয়া এলাকা সবচেয়ে বেশি পানির নিচে নিমজ্জিত। এসব এলাকার বণ্যপ্রাণী বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে বন বিভাগ।

রোববার (২৬ মে) বিকেলের দিকে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা ১০ ফুট পর্যন্ত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এর আগে দুপুর থেকেই পানির চাপ বাড়তে থাকে।

সুন্দরবন বন বিভাগের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সুন্দরবনের যেসব মিঠা পানির পুকুর রয়েছে যা বন্যপ্রাণী, বনজীবী এবং বনকর্মীদের খাবার পানির একমাত্র উৎস, প্রতিটি পুকুরই লোনা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া পানির উচ্চতা সেখানে ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত হয়েছে। বনে বাঘ শাবক, হরিণ শাবক কিংবা শকুন শাবক এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণী আছে। বন্যপ্রাণীরা এখানে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কটকা, কচিখালি, নীলকমল, মান্দারবারি, হলদিবুনিয়া- এসব স্থানে পানির যে উচ্চতা, পানির যে তীব্র স্রোত হচ্ছে তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বন্যপ্রাণীদের যথেষ্ট ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর প্রভাবে দেশজুড়ে দমকা হাওয়াসহ ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে জলোচ্ছাসের কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। এ অবস্থায় রোববার থেকে সোমবার (২৭ মে) বিকেল পর্যন্ত বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম ও সাতক্ষীরায় ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।