কক্সবাজারে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ

  • Update Time : ০৮:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
  • / 48

কক্সবাজার প্রতিনিধি :-

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভোররাত থেকে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়েছিলো।
বৃষ্টি ও নদীতে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধির ফলে মহেশখালীর ৪টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

রোববার (২৬ মে) দুপুর দিকে মহেশখালী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে সিকদার পাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে বন্যা কবলিত এলাকার সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়’রা জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণকারী মূল বাঁধের বেশ কিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পাড়ের মানুষ।
তারা আরো জানান, কোহেলিয়া নদীর পাশে যে বেড়িবাঁধটি আছে সেটি ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে একটানা মেরামতের কাজ করছেন শ্রমিকরা বলে জানান মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়া।

তিনি জানান, মহেশখালী বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। তাদের সহায়তায় আমাদের পৌরসভার লোক কাজ করছে।
এই বিষয়ে, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীকি চাকমা বলেন, বেড়িবাঁধের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। পানি কমলে তা মেরামত করা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদ স্থানেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কক্সবাজারে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ

Update Time : ০৮:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

কক্সবাজার প্রতিনিধি :-

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভোররাত থেকে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়েছিলো।
বৃষ্টি ও নদীতে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধির ফলে মহেশখালীর ৪টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

রোববার (২৬ মে) দুপুর দিকে মহেশখালী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে সিকদার পাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে বন্যা কবলিত এলাকার সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়’রা জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণকারী মূল বাঁধের বেশ কিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পাড়ের মানুষ।
তারা আরো জানান, কোহেলিয়া নদীর পাশে যে বেড়িবাঁধটি আছে সেটি ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে একটানা মেরামতের কাজ করছেন শ্রমিকরা বলে জানান মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়া।

তিনি জানান, মহেশখালী বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। তাদের সহায়তায় আমাদের পৌরসভার লোক কাজ করছে।
এই বিষয়ে, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীকি চাকমা বলেন, বেড়িবাঁধের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। পানি কমলে তা মেরামত করা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদ স্থানেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।