নির্বাচনী সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

  • Update Time : ০৭:২৩:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • / 43

জেলা প্রতিনিধি

কক্সবাজার ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ছপুর আহমদ (২৭) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেল ৪টার দিকে ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম মালমোরাপাড়া কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ছপুর আহমদ টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেবের কর্মী।

এ বিষয়ে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী আবু তালেব বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শামসুল আলম সকাল থেকে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করেন। একপর্যায়ে আমার ওপর হামলার চেষ্টা করেন। ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে আমার এক কর্মী ভোটারদের কাছ থেকে ভোট চাইলে শামসু আলমের স্বজনরা আমার কর্মীর ওপর হামলা করেন এবং ছুরিকাঘাত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঈদগাও মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শামসুল আলম বলেন, তারাই আমার ওপর হামলা করছে। তবে কীভাবে কি হয়েছে সেটি আমি জানি না।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরঞ্জন চাকমা বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে টেলিফোন প্রতীকের কর্মী সফুর আলম ও মোটরসাইকেল প্রতীকের এজেন্ট মাসুদের ভাই সাইদুলের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি মাসুদ জানতে পারার পর সাইদুলের সঙ্গে সফুর আলমের ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে সফুর আলমকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঈদগাঁও মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর নিহতের স্বজন ও টেলিফোনের সমর্থকরা মাসুদের ঘর ভাঙচুর করে। এসময় অন্তত ৬/৭ জন আহত হয়েছে।

এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ওসি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নির্বাচনী সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

Update Time : ০৭:২৩:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি

কক্সবাজার ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ছপুর আহমদ (২৭) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেল ৪টার দিকে ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম মালমোরাপাড়া কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ছপুর আহমদ টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেবের কর্মী।

এ বিষয়ে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী আবু তালেব বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শামসুল আলম সকাল থেকে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করেন। একপর্যায়ে আমার ওপর হামলার চেষ্টা করেন। ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে আমার এক কর্মী ভোটারদের কাছ থেকে ভোট চাইলে শামসু আলমের স্বজনরা আমার কর্মীর ওপর হামলা করেন এবং ছুরিকাঘাত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঈদগাও মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শামসুল আলম বলেন, তারাই আমার ওপর হামলা করছে। তবে কীভাবে কি হয়েছে সেটি আমি জানি না।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরঞ্জন চাকমা বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে টেলিফোন প্রতীকের কর্মী সফুর আলম ও মোটরসাইকেল প্রতীকের এজেন্ট মাসুদের ভাই সাইদুলের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি মাসুদ জানতে পারার পর সাইদুলের সঙ্গে সফুর আলমের ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে সফুর আলমকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঈদগাঁও মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর নিহতের স্বজন ও টেলিফোনের সমর্থকরা মাসুদের ঘর ভাঙচুর করে। এসময় অন্তত ৬/৭ জন আহত হয়েছে।

এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ওসি।