গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু

  • Update Time : ১২:১৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • / 63

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মনসুর (৩২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে, গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোলাইমান মোল্লা (৪৫)। এ নিয়ে দুজন মারা গেল।

শনিবার (১৬ মার্চ) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মনসুর।

বার্ন ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ডা. হোসাইন ইমাম ইমু মনসুরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মনসুরের শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়েছিল।

মনসুরের বড় ভাই আবু জাফর জানান, তাদের বাড়ি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সালদাহ উত্তরপাড়া গ্রামে। মনসুর কালিয়াকৈরে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন। মনসুরের স্ত্রী দিনা আক্তার ও দুই মেয়ে গ্রামে থাকেন।

এর আগে গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় সিলিন্ডারের ছিদ্র থেকে বের হওয়া গ্যাসে আগুন লেগে অন্তত ৩৬ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮-১০ জনের অবস্থা গুরুতর।

এদিকে রোগীদের প্রায় সবার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, যারা এসেছেন তার মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি বার্ন আছে ১৬ জনের। ৯০ শতাংশ দগ্ধের রোগী ১০ জনের বেশি, তার মধ্যে বাচ্চা আছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু

Update Time : ১২:১৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মনসুর (৩২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে, গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোলাইমান মোল্লা (৪৫)। এ নিয়ে দুজন মারা গেল।

শনিবার (১৬ মার্চ) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মনসুর।

বার্ন ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ডা. হোসাইন ইমাম ইমু মনসুরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মনসুরের শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়েছিল।

মনসুরের বড় ভাই আবু জাফর জানান, তাদের বাড়ি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সালদাহ উত্তরপাড়া গ্রামে। মনসুর কালিয়াকৈরে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন। মনসুরের স্ত্রী দিনা আক্তার ও দুই মেয়ে গ্রামে থাকেন।

এর আগে গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় সিলিন্ডারের ছিদ্র থেকে বের হওয়া গ্যাসে আগুন লেগে অন্তত ৩৬ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮-১০ জনের অবস্থা গুরুতর।

এদিকে রোগীদের প্রায় সবার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, যারা এসেছেন তার মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি বার্ন আছে ১৬ জনের। ৯০ শতাংশ দগ্ধের রোগী ১০ জনের বেশি, তার মধ্যে বাচ্চা আছে।