তিউনিসিয়া উপকূলে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্ত

  • Update Time : ০৭:১৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 75

উদ্ধার করা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। ছবি: লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৫ জন মাদারীপুরের বাকি ৩ জন গোপালগঞ্জের। আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে নৌকায় সাগর পাড়ি দেয়ার সময় তারা এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।।

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: বিএনপি
নিহত মাদারীপুরের পাঁচজনের সবাই রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তারা হলেন– শেনদিয়া গ্রামের সজল; তার বাবার নাম জানা যায়নি। কদমবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের নয়ন বিশ্বাস, সরমঙ্গল গ্রামের মামুন সেখ; তার বাবার নাম জানা যায়নি, তেলিকান্দি গ্রামের কাজী মিজানুরের ছেলে কাজী সজীব এবং কেশরদিয়া গ্রামের কায়সার।

গোপালগঞ্জের তিনজনের সবাই মুকসুদপুর উপজেলার বাসিন্দা। তারা হলেন- বড়দিয়া গ্রামের দাদনের ছেলে রিফাত, ফতেহপট্রি গ্রামের রাসেল; তার বাবার নাম জানা যায়নি এবং গয়লাকান্দি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পথে তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত ৪টা ৩০ মিনিটে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিলেন নৌকার চালক।

দুর্ঘটনার পর ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিসরের ৩ জন ও নৌকা চালক রয়েছেন (মিশরীয় নাগরিক)।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যাক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।

এছাড়া মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার আমগ্রাম ইউনিয়নের মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে মনতোষ সরকার। পাসপোর্টবিহীন বাংলাদেশি রয়েছেন ৭ জন।

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌ-দুর্ঘটনায় উদ্ধারকৃত বাংলাদেশিদের সার্বিক কল্যাণ ও মৃত্যুবরণকারীদের তথ্য নিশ্চিত করতে লিবিয়ার ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল তিউনিসিয়ার জারজিস শহরে অবস্থান করছেন। নিহত বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত এবং স্থানীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাস কাজ করছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


তিউনিসিয়া উপকূলে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্ত

Update Time : ০৭:১৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

উদ্ধার করা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। ছবি: লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৫ জন মাদারীপুরের বাকি ৩ জন গোপালগঞ্জের। আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে নৌকায় সাগর পাড়ি দেয়ার সময় তারা এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।।

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: বিএনপি
নিহত মাদারীপুরের পাঁচজনের সবাই রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তারা হলেন– শেনদিয়া গ্রামের সজল; তার বাবার নাম জানা যায়নি। কদমবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের নয়ন বিশ্বাস, সরমঙ্গল গ্রামের মামুন সেখ; তার বাবার নাম জানা যায়নি, তেলিকান্দি গ্রামের কাজী মিজানুরের ছেলে কাজী সজীব এবং কেশরদিয়া গ্রামের কায়সার।

গোপালগঞ্জের তিনজনের সবাই মুকসুদপুর উপজেলার বাসিন্দা। তারা হলেন- বড়দিয়া গ্রামের দাদনের ছেলে রিফাত, ফতেহপট্রি গ্রামের রাসেল; তার বাবার নাম জানা যায়নি এবং গয়লাকান্দি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পথে তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত ৪টা ৩০ মিনিটে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিলেন নৌকার চালক।

দুর্ঘটনার পর ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিসরের ৩ জন ও নৌকা চালক রয়েছেন (মিশরীয় নাগরিক)।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যাক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।

এছাড়া মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার আমগ্রাম ইউনিয়নের মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে মনতোষ সরকার। পাসপোর্টবিহীন বাংলাদেশি রয়েছেন ৭ জন।

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌ-দুর্ঘটনায় উদ্ধারকৃত বাংলাদেশিদের সার্বিক কল্যাণ ও মৃত্যুবরণকারীদের তথ্য নিশ্চিত করতে লিবিয়ার ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল তিউনিসিয়ার জারজিস শহরে অবস্থান করছেন। নিহত বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত এবং স্থানীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাস কাজ করছে।