রাণীনগরে অভাব-অনটনে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ, শ্রমিকের মৃত্যু

  • Update Time : ০৫:৩১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • / 102

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে আর্থিক অভাব-অনটন ও মানসিক যন্ত্রনার কারণে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে কয়সের সরদার (৫০) নামে এক মাদুর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল পৌনে ৯ টায় রাণীনগর রেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। পবিবারের দাবি- হতাশাগ্রস্থ হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। নিহত কয়সের সরদার উপজেলার পারইল ইউনিয়নের বোদলা গ্রামের মৃত বাহার সরদারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, কয়সের সরদার অর্থিক অভাব-অনটনের কারণে মানসিক যন্ত্রনায় হতাশাগ্রস্থ ছিলেন। তার অসুস্থ স্ত্রী এক মেয়ের বাড়িতে থাকেন। তার জায়গা-জমিও নেই। যা ছিল কয়েক বছর আগে বিক্রি করেছেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় অন্যের বাড়িতে থেকে জীবনযাপন করতেন। বেশ কিছুদিন থেকে তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে কয়সের একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে রাণীনগর রেল স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে বসে ছিলেন। সকাল পৌনে ৯ টার দিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটীগামী তীতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন রাণীনগর স্টেশন অতিক্রম করছিল। এ সময় হাতের ব্যাগ ও পায়ের জুতা লাইনের পাশে রেখে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে মৃত্যু হয়।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাণীনগরে অভাব-অনটনে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ, শ্রমিকের মৃত্যু

Update Time : ০৫:৩১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে আর্থিক অভাব-অনটন ও মানসিক যন্ত্রনার কারণে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে কয়সের সরদার (৫০) নামে এক মাদুর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল পৌনে ৯ টায় রাণীনগর রেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। পবিবারের দাবি- হতাশাগ্রস্থ হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। নিহত কয়সের সরদার উপজেলার পারইল ইউনিয়নের বোদলা গ্রামের মৃত বাহার সরদারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, কয়সের সরদার অর্থিক অভাব-অনটনের কারণে মানসিক যন্ত্রনায় হতাশাগ্রস্থ ছিলেন। তার অসুস্থ স্ত্রী এক মেয়ের বাড়িতে থাকেন। তার জায়গা-জমিও নেই। যা ছিল কয়েক বছর আগে বিক্রি করেছেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় অন্যের বাড়িতে থেকে জীবনযাপন করতেন। বেশ কিছুদিন থেকে তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে কয়সের একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে রাণীনগর রেল স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে বসে ছিলেন। সকাল পৌনে ৯ টার দিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটীগামী তীতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন রাণীনগর স্টেশন অতিক্রম করছিল। এ সময় হাতের ব্যাগ ও পায়ের জুতা লাইনের পাশে রেখে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে মৃত্যু হয়।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।