নীলফামারীতে ট্রেন থামিয়ে নীলফামারীবাসীর মানববন্ধন

  • Update Time : ১২:৩০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩
  • / 282

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি:

গত ২৯ মে বাংলাদেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আহসান উল্লা ভুঞা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ঢাকা – চিলাহাটি রেলপথে নতুন ট্রেনের নাম করা হয় ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’। নীলফামারী এক্সপ্রেস করায় নীলফামারীর সর্বস্তরের মানুষ আনন্দিত ও আহ্লাদিত। কিন্তু গত ৩০মে রেলপথ মন্ত্রণালয় ট্রেনটির নাম পরিবর্তন করে ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ নাম দিয়ে রেলওয়ে দপ্তরকে চিঠি দেয়।
এরই প্রতিবাদে গত ৩১ মে নীলফামারীবাসীর আয়োজনে নীলফামারীর চৌরঙ্গী মোড়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
নীলফামারী এক্সপ্রেস” নাম পুনঃ বহালের দাবিতে আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের পুরাতন স্টেশনে খুলনাগামী “রুপসা এক্সপ্রেস” ট্রেন থামিয়ে দ্বিতীয় দিনের মত ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করে নীলফামারীর সর্বস্তরের মানুষজন৷
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তিভূষণ কুন্ডু, নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোর্শেদ আজম, জেলা ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেইফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাসেল আমিন প্রমুখ৷

বক্তারা বলেন, গত ২৯ মে বাংলাদেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে নতুন ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয় ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’। ৩০ মে রেলপথ মন্ত্রণালয় ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ নাম চূড়ান্ত করে রেলওয়ে দপ্তরকে চিঠি দেয়। তাঁরা এর প্রতিবাদ জানান। প্রস্তাবিত নাম অনুযায়ী তাঁদের জেলার নামে ওই ট্রেনের নামকরণ চান।

বক্তারা বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’, লালমনিরহাট থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম ‘লালমনি এক্সপ্রেস’, রংপুর থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম ‘রংপুর এক্সপ্রেস’, পঞ্চগড় থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নামকরণ হয়েছে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’। একইভাবে নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনের নামকরণ ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ নামটি যৌক্তিক।
একইসঙ্গে তাঁরা নতুন এই ট্রেনে নীলফামারী জেলাবাসীর জন্য ৮০ শতাংশ আসন বরাদ্দ করার দাবি জানান।

স্থানীয়রা জানান, “মানববন্ধন কারীরা একটি ট্রেন দীর্ঘক্ষন সময় ধরে আটকিয়ে ট্রেনের সামনে দাড়িয়ে ও শুয়ে পরে বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে প্রস্তাবিত ট্রেনটির নাম নীলফামারী এক্সপ্রেস “এর দাবী করেন৷ পরে যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ট্রেনটিকে ছেড়ে দেয়৷

নতুন ট্রেনের সময়সুচীতে উল্লেখ আছে চিলাহাটি থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে। আবার ঢাকা থেকে ৪.১৫ মিনিটে ছেড়ে চিলাহাটি পৌঁছাবে রাত ২টায়। সপ্তাহে শনিবার বাদে ছয় দিন নিয়মিত চলাচল করবে। ট্রেনের আসন সংখ্যা ৭৯২টি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নীলফামারীতে ট্রেন থামিয়ে নীলফামারীবাসীর মানববন্ধন

Update Time : ১২:৩০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি:

গত ২৯ মে বাংলাদেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আহসান উল্লা ভুঞা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ঢাকা – চিলাহাটি রেলপথে নতুন ট্রেনের নাম করা হয় ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’। নীলফামারী এক্সপ্রেস করায় নীলফামারীর সর্বস্তরের মানুষ আনন্দিত ও আহ্লাদিত। কিন্তু গত ৩০মে রেলপথ মন্ত্রণালয় ট্রেনটির নাম পরিবর্তন করে ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ নাম দিয়ে রেলওয়ে দপ্তরকে চিঠি দেয়।
এরই প্রতিবাদে গত ৩১ মে নীলফামারীবাসীর আয়োজনে নীলফামারীর চৌরঙ্গী মোড়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
নীলফামারী এক্সপ্রেস” নাম পুনঃ বহালের দাবিতে আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের পুরাতন স্টেশনে খুলনাগামী “রুপসা এক্সপ্রেস” ট্রেন থামিয়ে দ্বিতীয় দিনের মত ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করে নীলফামারীর সর্বস্তরের মানুষজন৷
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তিভূষণ কুন্ডু, নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোর্শেদ আজম, জেলা ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেইফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাসেল আমিন প্রমুখ৷

বক্তারা বলেন, গত ২৯ মে বাংলাদেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে নতুন ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয় ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’। ৩০ মে রেলপথ মন্ত্রণালয় ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ নাম চূড়ান্ত করে রেলওয়ে দপ্তরকে চিঠি দেয়। তাঁরা এর প্রতিবাদ জানান। প্রস্তাবিত নাম অনুযায়ী তাঁদের জেলার নামে ওই ট্রেনের নামকরণ চান।

বক্তারা বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’, লালমনিরহাট থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম ‘লালমনি এক্সপ্রেস’, রংপুর থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম ‘রংপুর এক্সপ্রেস’, পঞ্চগড় থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নামকরণ হয়েছে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’। একইভাবে নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনের নামকরণ ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ নামটি যৌক্তিক।
একইসঙ্গে তাঁরা নতুন এই ট্রেনে নীলফামারী জেলাবাসীর জন্য ৮০ শতাংশ আসন বরাদ্দ করার দাবি জানান।

স্থানীয়রা জানান, “মানববন্ধন কারীরা একটি ট্রেন দীর্ঘক্ষন সময় ধরে আটকিয়ে ট্রেনের সামনে দাড়িয়ে ও শুয়ে পরে বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে প্রস্তাবিত ট্রেনটির নাম নীলফামারী এক্সপ্রেস “এর দাবী করেন৷ পরে যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ট্রেনটিকে ছেড়ে দেয়৷

নতুন ট্রেনের সময়সুচীতে উল্লেখ আছে চিলাহাটি থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে। আবার ঢাকা থেকে ৪.১৫ মিনিটে ছেড়ে চিলাহাটি পৌঁছাবে রাত ২টায়। সপ্তাহে শনিবার বাদে ছয় দিন নিয়মিত চলাচল করবে। ট্রেনের আসন সংখ্যা ৭৯২টি।