আতংকের আরেক নাম হলুদ ক্যাম্পাস সাংবাদিক

  • Update Time : ০৫:২১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • / 415

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

সাংবাদিকতা একটা মহান পেশা হলেও হলুদ ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা যেনো আতংক হয়ে উঠেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এমন সব নিউজ করে যা যেকোনো সময় ছাত্র বা শিক্ষকের মানহানির কারণ হয়ে উঠে। কোনটা নিউজের বিষয় আর কোনটা নয় তা যেনো বুঝতে অপারগ এই হলুদ সাংবাদিকরা। অনেক শিক্ষক এবং ছাত্রদের দাবী ব্যাক্তিগত আক্রোশে এমন নিউজ করা হয় যা সম্পুর্ন রুপে সত্য নয়। কিন্তু নিউজ হওয়ার পর আসল সত্যি যাচাই-বাছাই না করে নেতিবাচক যে একটা প্রভাব ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পরে সেটা ছাত্র/ শিক্ষকের জন্য মানসিক বিপর্যয়ের কারন হয়ে উঠে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, “হুটহাট যে কারো নামে যেকোনো নিউজ করে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাইের কোনো প্রয়োজন মনে করেন নাহ কিছু সংখ্যক নামধারী ক্যাম্পাস সাংবাদিক।
এর ফলে সবার মধ্যে যে ভুল ধারণা তৈরি হয় তা অনেকাংশেই আর ভুলেই থেকে যায়”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষক বলেন, ” ক্যাম্পাসে কিছু কিছু হলুদ সাংবাদিক দেখলেই যেনো আতংক লাগে। তারা কখন কি যে করে তা নিজেরাও জানে নাহ। যে কাউকে মানহানি করতে তাদের একটা নিউজ ই যথেষ্ট। কারন একটা নিউজ প্রকাশের পর যেভাবে ছড়িয়ে পরে পরবর্তীতে এর সততা না থাকলেও নিউজের কারণে মানহানি যা হবার হয়ে যায়।
মানে কাউকে মানহানি করতে তাদের একটা হলুদ নিউজ ই যথেষ্ট ”
তবে অন্যান্য আরো শিক্ষকরা বলেন ক্যাম্পাসে অনেক ভালো মানেরও সাংবাদিক রয়েছে। তারা ক্যাম্পাসের সত্য ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরে। তবে কিছু সংখ্যক নামধারী হলুদ সাংবাদিকদের জন্য আজ ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে যা মোটেও কাম্য নয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আতংকের আরেক নাম হলুদ ক্যাম্পাস সাংবাদিক

Update Time : ০৫:২১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

সাংবাদিকতা একটা মহান পেশা হলেও হলুদ ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা যেনো আতংক হয়ে উঠেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এমন সব নিউজ করে যা যেকোনো সময় ছাত্র বা শিক্ষকের মানহানির কারণ হয়ে উঠে। কোনটা নিউজের বিষয় আর কোনটা নয় তা যেনো বুঝতে অপারগ এই হলুদ সাংবাদিকরা। অনেক শিক্ষক এবং ছাত্রদের দাবী ব্যাক্তিগত আক্রোশে এমন নিউজ করা হয় যা সম্পুর্ন রুপে সত্য নয়। কিন্তু নিউজ হওয়ার পর আসল সত্যি যাচাই-বাছাই না করে নেতিবাচক যে একটা প্রভাব ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পরে সেটা ছাত্র/ শিক্ষকের জন্য মানসিক বিপর্যয়ের কারন হয়ে উঠে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, “হুটহাট যে কারো নামে যেকোনো নিউজ করে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাইের কোনো প্রয়োজন মনে করেন নাহ কিছু সংখ্যক নামধারী ক্যাম্পাস সাংবাদিক।
এর ফলে সবার মধ্যে যে ভুল ধারণা তৈরি হয় তা অনেকাংশেই আর ভুলেই থেকে যায়”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষক বলেন, ” ক্যাম্পাসে কিছু কিছু হলুদ সাংবাদিক দেখলেই যেনো আতংক লাগে। তারা কখন কি যে করে তা নিজেরাও জানে নাহ। যে কাউকে মানহানি করতে তাদের একটা নিউজ ই যথেষ্ট। কারন একটা নিউজ প্রকাশের পর যেভাবে ছড়িয়ে পরে পরবর্তীতে এর সততা না থাকলেও নিউজের কারণে মানহানি যা হবার হয়ে যায়।
মানে কাউকে মানহানি করতে তাদের একটা হলুদ নিউজ ই যথেষ্ট ”
তবে অন্যান্য আরো শিক্ষকরা বলেন ক্যাম্পাসে অনেক ভালো মানেরও সাংবাদিক রয়েছে। তারা ক্যাম্পাসের সত্য ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরে। তবে কিছু সংখ্যক নামধারী হলুদ সাংবাদিকদের জন্য আজ ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে যা মোটেও কাম্য নয়।