মিরসরাইয়ে স্কুল ছাত্রীকে পুলিশি হেনস্তার বিচার চেয়ে ভূক্তভোগির সংবাদ সম্মেলন

  • Update Time : ০৪:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • / 257

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
মিরসরাইয়ে পুলিশের হেনস্তার প্রতিকার চেয়ে স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যগণ মিরসরাই উপজেলা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার ২০ মে সকাল ১০ টায় প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ৭নং কাঁটাছার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাড়িয়খালী গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব হাজী বাড়ির মেজবা উদ্দিনের স্ত্রী রোখসানা আক্তার (৩৫)। এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী একজন ফার্নিচারের নির্মাণ শ্রমিক। গত ১৪ মে ২০২৩ ইং, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় তাদের বসত ঘরে জোরারগঞ্জ থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা- ১। সজীব ২। সঞ্জয় ৩। সরওয়ার এবং তাদের সাথে থাকা অজ্ঞাত পুলিশ সদস্যগণ হঠাৎ বাহির থেকে দরজা খোলার জন্য চিৎকার চেঁছামেছি শুরু করে। তাদের চিৎকারে আতংকিত হয়ে ঘরের দরজা খোলার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, এখানে মাদক উদ্ধারে আমরা অভিযানে আসছি। পুলিশ ঘরের চারপাশ ঘিরে রাখে। কারো বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট না থাকলেও মহিলা পুলিশ ছাড়া তারা ঘরের পেছনে গিয়ে রান্না ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরের কোমরির টিন খুলে ঘরে প্রবেশ করে।
এসময় কয়েকজনের গায়ে পুলিশের পোষাক থাকলেও আরো কয়েকজনের গায়ে পুলিশের পোষাক ছিলো না। এসময় তারা ঘরের বিভিন্ন জিনিষপত্র এলোমোলো করে ছুড়ে পেলে দেয়। ঘরের আলমিরা খুলে ভিবিন্ন জিনসপত্র বের করে ঘরের মেঝেতে ফেলে দেয়। এসময় আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় আমার কিশোরী কন্যা বামন সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মায়মুনা নুসরাত ইলমা (১৫)। ঘরের ব্যবহৃত এনড্রয়েড মোবাইল দিয়ে পুলিশের এমন আচরনের ভিড়িও চিত্র ধারণ করতে চাইলে পুলিশ তার থেকে মোবাই কেড়ে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমার মেয়ের গালে, পিঠে এবং কাঁধে সজোরে কয়েকটা থাপ্পর মারে। থাপ্পরের আঘাতে আমার মেয়ে মাথা ঘুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ফ্রীজের উপর পা দিয়ে ঘরের দমদমায় উঠে ফ্রীজটিও ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। আমার ছোট ঝা লায়লা বেগম (৩২) এর প্রতিবাদ করলে তাকেও অকথ্য ভাাষায় গালিগালাজ করে অপমানিত ও অপদস্থ করে। পরে কোন কিছু না পেয়ে তারা আমার একটি এনড্রয়েড মোবাইল এবং ঘরে থানা নগদ অনুমান ২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বলে এসব ঘটনা কাউকে জানালে সবাইকে মামলা দিয়ে জেল খাটাবে। পুলিশ আমাকে এবং আমার কিশোরী মেয়েকে রাস্ট্রের কোন আইনের ক্ষমতা বলে এমন শারীরিক ও মানসিক ভাবে হেনস্থা করেছে আমি এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। সংবাদ সম্মেলনে রোখসানার স্বামী মেজবা উদ্দিন এবং তাদের কন্যা মায়মুনা নুসরাত ইলমা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে রোখসানা আক্তার বাদী হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল এএসপি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার মিরসরাই (সার্কেল এএসপি) ইফতেখার হাসান পিপিএিম বার বলেন, আমি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে দায়িত্বপালন করছি। এধরনের কোন অভিযোগ সম্পর্কে আমার জানা নেই।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মিরসরাইয়ে স্কুল ছাত্রীকে পুলিশি হেনস্তার বিচার চেয়ে ভূক্তভোগির সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০৪:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
মিরসরাইয়ে পুলিশের হেনস্তার প্রতিকার চেয়ে স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যগণ মিরসরাই উপজেলা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার ২০ মে সকাল ১০ টায় প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ৭নং কাঁটাছার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাড়িয়খালী গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব হাজী বাড়ির মেজবা উদ্দিনের স্ত্রী রোখসানা আক্তার (৩৫)। এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী একজন ফার্নিচারের নির্মাণ শ্রমিক। গত ১৪ মে ২০২৩ ইং, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় তাদের বসত ঘরে জোরারগঞ্জ থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা- ১। সজীব ২। সঞ্জয় ৩। সরওয়ার এবং তাদের সাথে থাকা অজ্ঞাত পুলিশ সদস্যগণ হঠাৎ বাহির থেকে দরজা খোলার জন্য চিৎকার চেঁছামেছি শুরু করে। তাদের চিৎকারে আতংকিত হয়ে ঘরের দরজা খোলার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, এখানে মাদক উদ্ধারে আমরা অভিযানে আসছি। পুলিশ ঘরের চারপাশ ঘিরে রাখে। কারো বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট না থাকলেও মহিলা পুলিশ ছাড়া তারা ঘরের পেছনে গিয়ে রান্না ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরের কোমরির টিন খুলে ঘরে প্রবেশ করে।
এসময় কয়েকজনের গায়ে পুলিশের পোষাক থাকলেও আরো কয়েকজনের গায়ে পুলিশের পোষাক ছিলো না। এসময় তারা ঘরের বিভিন্ন জিনিষপত্র এলোমোলো করে ছুড়ে পেলে দেয়। ঘরের আলমিরা খুলে ভিবিন্ন জিনসপত্র বের করে ঘরের মেঝেতে ফেলে দেয়। এসময় আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় আমার কিশোরী কন্যা বামন সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মায়মুনা নুসরাত ইলমা (১৫)। ঘরের ব্যবহৃত এনড্রয়েড মোবাইল দিয়ে পুলিশের এমন আচরনের ভিড়িও চিত্র ধারণ করতে চাইলে পুলিশ তার থেকে মোবাই কেড়ে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমার মেয়ের গালে, পিঠে এবং কাঁধে সজোরে কয়েকটা থাপ্পর মারে। থাপ্পরের আঘাতে আমার মেয়ে মাথা ঘুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ফ্রীজের উপর পা দিয়ে ঘরের দমদমায় উঠে ফ্রীজটিও ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। আমার ছোট ঝা লায়লা বেগম (৩২) এর প্রতিবাদ করলে তাকেও অকথ্য ভাাষায় গালিগালাজ করে অপমানিত ও অপদস্থ করে। পরে কোন কিছু না পেয়ে তারা আমার একটি এনড্রয়েড মোবাইল এবং ঘরে থানা নগদ অনুমান ২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বলে এসব ঘটনা কাউকে জানালে সবাইকে মামলা দিয়ে জেল খাটাবে। পুলিশ আমাকে এবং আমার কিশোরী মেয়েকে রাস্ট্রের কোন আইনের ক্ষমতা বলে এমন শারীরিক ও মানসিক ভাবে হেনস্থা করেছে আমি এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। সংবাদ সম্মেলনে রোখসানার স্বামী মেজবা উদ্দিন এবং তাদের কন্যা মায়মুনা নুসরাত ইলমা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে রোখসানা আক্তার বাদী হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল এএসপি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার মিরসরাই (সার্কেল এএসপি) ইফতেখার হাসান পিপিএিম বার বলেন, আমি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে দায়িত্বপালন করছি। এধরনের কোন অভিযোগ সম্পর্কে আমার জানা নেই।