মিথ্যা-বানোয়াট-ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

  • Update Time : ০৮:২৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • / 173

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় মিথ্যা-বানোয়াট-ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্র মূলক সংবাদের প্রতিবাদে বেগুনবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বনি আমিন এমন তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকালে ওই চেয়ারম্যন বেগুনবাড়ি ইউপি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, কৃষক এনাজউদ্দীন আহম্মেদ, বালাপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন, কৃষক বিনদ কুমার প্রমুখ।

ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ‘ইউপি সদস্যদের মারধর করেছেন চেয়ারম্যানের ভাড়াটে লোক’ শিরোনামে একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা সম্পূন্ন মিথ্যা-বানোয়াট-ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্র মূলক এবং মানহানীকর।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাসায়নিক সার বাইরে বিক্রির প্রতিবাদ করা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোট না করায় ভাড়াটে লোক দিয়ে চার ইউপি সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান বনি আমিনের বিরুদ্ধে, যা খবরে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদে কোন ধরনের সার বিতরণ করা হয়নি এবং মার ধরেরও ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন সংবাদ কর্মীরা সমাজের দর্পণ কিন্তু একজন সংবাদকর্মী হয়ে কি ভাবে অসত্য, মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেছেন। যা আমাকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে এবং যা মানহানিকর বলে আমি মনে করছি। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন গত ১০ নভেম্বর ইউপি কার্যালয়ে ভি ডাব্লিউ বি কার্ড নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় সকল ইউপি সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রকাশিত সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান তার নেতাকর্মীদের ২০ থেকে ৩০টা করে সারের বস্তা দিচ্ছে বাইরে বিক্রি করার জন্য। এতে তিনি বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা করে পান। তখন আমরা প্রতিবাদ জানাই। এধরনের বিষয় যদি কেউ প্রমান দিতে পারেন, তাহলে আমি চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দিব। অথচ ওই চার ইউপি সদস্য চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর সার বিতরণের সময় অনিয়ম করলে স্থানীয়রা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং প্রতিবাদ জানায়।
বনি আমিন বলেন সংবাদে উল্লেখ করা হয় গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান তার পছন্দের প্রার্থী মোশারুল ইসলাম সরকারকে ভোট দিতে বলেন। আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থী দেবাশীষ দত্ত সমীরকে ভোট দিলে তিনি আমাদের খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন ওই টোকাই‍‍ (দেবাশীষ দত্ত সমীর) বাচ্চাকে তোদেরকে ভোট দিতে বলেছে। তখন থেকেই তিনি ইউপি সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন। এখানেও ওই চার ইউপি সদস্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছেন। তারা জামাত-শিবিরের যোগসাজসে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন আমরা সেদিন এই এলাকায় আমরা ছিলাম কিন্তু ইউপি সদস্যকে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। কৃষক এনাজ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন গত ২৫ অক্টোবর সার বিতরণের সময় ওই ইউপি সদস্যরা অনিয়ম করলে আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। এ কথা বলেন বালাপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন, কৃষক বিনদ কুমারসহ অনেকে।
ইউপি চেয়ারম্যান মিথ্যা-বানোয়াট-ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ আইনের আশ্রয় নিবেন বলে মর্মে জানান। এ সময় তিনি উপস্থিত সংবাদকর্মীদের সঠিক তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচারের জোড় আহবান করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মিথ্যা-বানোয়াট-ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০৮:২৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় মিথ্যা-বানোয়াট-ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্র মূলক সংবাদের প্রতিবাদে বেগুনবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বনি আমিন এমন তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকালে ওই চেয়ারম্যন বেগুনবাড়ি ইউপি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, কৃষক এনাজউদ্দীন আহম্মেদ, বালাপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন, কৃষক বিনদ কুমার প্রমুখ।

ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ‘ইউপি সদস্যদের মারধর করেছেন চেয়ারম্যানের ভাড়াটে লোক’ শিরোনামে একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা সম্পূন্ন মিথ্যা-বানোয়াট-ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্র মূলক এবং মানহানীকর।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাসায়নিক সার বাইরে বিক্রির প্রতিবাদ করা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোট না করায় ভাড়াটে লোক দিয়ে চার ইউপি সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান বনি আমিনের বিরুদ্ধে, যা খবরে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদে কোন ধরনের সার বিতরণ করা হয়নি এবং মার ধরেরও ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন সংবাদ কর্মীরা সমাজের দর্পণ কিন্তু একজন সংবাদকর্মী হয়ে কি ভাবে অসত্য, মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেছেন। যা আমাকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে এবং যা মানহানিকর বলে আমি মনে করছি। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন গত ১০ নভেম্বর ইউপি কার্যালয়ে ভি ডাব্লিউ বি কার্ড নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় সকল ইউপি সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রকাশিত সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান তার নেতাকর্মীদের ২০ থেকে ৩০টা করে সারের বস্তা দিচ্ছে বাইরে বিক্রি করার জন্য। এতে তিনি বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা করে পান। তখন আমরা প্রতিবাদ জানাই। এধরনের বিষয় যদি কেউ প্রমান দিতে পারেন, তাহলে আমি চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দিব। অথচ ওই চার ইউপি সদস্য চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর সার বিতরণের সময় অনিয়ম করলে স্থানীয়রা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং প্রতিবাদ জানায়।
বনি আমিন বলেন সংবাদে উল্লেখ করা হয় গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান তার পছন্দের প্রার্থী মোশারুল ইসলাম সরকারকে ভোট দিতে বলেন। আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থী দেবাশীষ দত্ত সমীরকে ভোট দিলে তিনি আমাদের খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন ওই টোকাই‍‍ (দেবাশীষ দত্ত সমীর) বাচ্চাকে তোদেরকে ভোট দিতে বলেছে। তখন থেকেই তিনি ইউপি সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন। এখানেও ওই চার ইউপি সদস্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছেন। তারা জামাত-শিবিরের যোগসাজসে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন আমরা সেদিন এই এলাকায় আমরা ছিলাম কিন্তু ইউপি সদস্যকে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। কৃষক এনাজ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন গত ২৫ অক্টোবর সার বিতরণের সময় ওই ইউপি সদস্যরা অনিয়ম করলে আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। এ কথা বলেন বালাপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন, কৃষক বিনদ কুমারসহ অনেকে।
ইউপি চেয়ারম্যান মিথ্যা-বানোয়াট-ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ আইনের আশ্রয় নিবেন বলে মর্মে জানান। এ সময় তিনি উপস্থিত সংবাদকর্মীদের সঠিক তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচারের জোড় আহবান করেন।