রাণীনগরে ইউএনও’কে ফোন করে নিজের বাল্যবিবাহ বন্ধ করলো স্কুল ছাত্রী

  • Update Time : ০৯:০৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • / 175

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে মিম আক্তার (১৬) নামে নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী নিজেই ইউএনও’কে ফোন করে নিজের বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে। ওই শিক্ষার্থী রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্রী এবং উপজেলার পূর্ব বালুভরা গ্রামের বাবু মন্ডলের মেয়ে।

বুধবার সকালে মিম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মুঠোফোনে ফোন করে। ফোন পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন উপজেলার পূর্ব বালুভরা গ্রামে গিয়ে বাল্যবিবাহের সকল আয়োজন পন্ড করে দেন।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন জানান, ছাত্রীটি নিজেই আমাকে ফোন করে জানায়, তাকে জোর করে বাবা-মা বিয়ে দিচ্ছেন। এরপর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীর অভিযোগের সত্যতা পাই এবং সাথে সাথে বিবাহের সকল আয়োজন বন্ধ করে দেই।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে মেয়ের পরিবার ও স্থানীয়দের বাল্যবিবাহ দেওয়ার কুফল সম্পর্কে জানায়। পরবর্তিতে যদি কেউ এই ধরনের বাল্যবিবাহের আয়োজন করেন তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাণীনগরে ইউএনও’কে ফোন করে নিজের বাল্যবিবাহ বন্ধ করলো স্কুল ছাত্রী

Update Time : ০৯:০৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে মিম আক্তার (১৬) নামে নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী নিজেই ইউএনও’কে ফোন করে নিজের বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে। ওই শিক্ষার্থী রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্রী এবং উপজেলার পূর্ব বালুভরা গ্রামের বাবু মন্ডলের মেয়ে।

বুধবার সকালে মিম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মুঠোফোনে ফোন করে। ফোন পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন উপজেলার পূর্ব বালুভরা গ্রামে গিয়ে বাল্যবিবাহের সকল আয়োজন পন্ড করে দেন।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন জানান, ছাত্রীটি নিজেই আমাকে ফোন করে জানায়, তাকে জোর করে বাবা-মা বিয়ে দিচ্ছেন। এরপর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীর অভিযোগের সত্যতা পাই এবং সাথে সাথে বিবাহের সকল আয়োজন বন্ধ করে দেই।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে মেয়ের পরিবার ও স্থানীয়দের বাল্যবিবাহ দেওয়ার কুফল সম্পর্কে জানায়। পরবর্তিতে যদি কেউ এই ধরনের বাল্যবিবাহের আয়োজন করেন তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।