তিস্তার ভাঙনে নিঃস্ব ৫শতাধিক পরিবার
- Update Time : ০৪:৪০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / 173
এনামুল হক,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গনের তীব্রতা কখনো বাড়ে, কখনো কমে কিন্তু ভাঙ্গন বন্ধ হয়না।
গত কয়েকদিন থেকে নদী ভাঙ্গন রোধে ফেলা জিও ব্যাগসহ নদীতীর ডেবে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ। বর্তমানে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের পাড়াসাদুয়া, কাপাসিয়া ইউনিয়নের পাগলারচর, বাদামেরচর, ভাটি কাপাসিয়া ও উজান বুড়াইল, চন্ডিপুর ও শ্রীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গনে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের ভিটে-মাটি, জমা-জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
জানা যায়, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড পাড়াসাদুয়া গ্রামে নদী ভাঙ্গন তীব্রতর হয়েছে। গত এক সপ্তাহে পাড়াসাদুয়া গ্রামে ২৫/৩০ টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে শুধু পাড়াসাদুয়া গ্রামেই প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার বিলীন হয়েছে তিস্তা নদীগর্ভে। হরিপুর ইউনিয়নের পাড়াসাদুয়া ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তফা বলেন, ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো তাদের ভরণ-পোষণের চিন্তায় দিশেহারা।
হরিপুর ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান মিন্টু বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধকল্পে যে জিও ব্যাগ দেওয়া হয়েছে, সে জিও ব্যাগ নদীর তীরসহ ডেবে যাচ্ছে।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম বলেন গত দুই মাসে শুধু পাড়াসাদুয়া গ্রামের চার ভাগের তিন ভাগ নদীতে ভেঙ্গে গেছে। এতে ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে ৪ শতাধিক পরিবার।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনজু মিয়া বলেন, তার ইউনিয়নের পাগলারচর, বাদামেরচর, ভাটি কাপাসিয়া ও উজান বুড়াইল এলাকায় নদী ভাঙ্গন রয়েছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ৫০ টি পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালিফ মন্ডল জানান, হরিপুর ইউনিয়নে ৩৫০, চন্ডিপুরে ৪০, শ্রীপুরে ৪০ ও কাপাসিয়ায় ৫০ পরিবার নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।
জিও ব্যাগসহ নদীর তীর ডেবে যাওয়ার ব্যাপারে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মুঠোফোনে বলেন, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি। যেখানে জিও ব্যাগসহ নদীর তীর ডেবে গেছে, সেখানে কাজ করেছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে বলেন, গত বছর কাজ করেছি। বর্তমান অবস্থা জানা নাই।