কক্সবাজার পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ এসিল্যান্ড হিসেবে খুলনায় বদলী

  • Update Time : ১০:১৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 184

কক্সবাজার প্রতিনিধি ;

এসিল্যান্ড হিসাবে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন থেকে বিদায় নিলেন সৈয়দ মুরাদ ইসলাম,তিনি ৩৭ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন সদস্য। ২০১৯ সাল থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ১ বছর ৭ মাস সহ মোট ৩ বছর ৫ মাস সফলতার সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন।

বিশেষ করে পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার বীচকে পর্যটক বান্ধব করতে তার ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয়।
দক্ষতা ও কঠোরতার সাথে সমুদ্র সৈকতে অপরাধ দমন ও অবৈধ স্থাপনার দৌরাত্ম্য বন্ধে কাজ করেছেন সফলতার সাথে।
সম্প্রতি খুলনা বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিসাবে পদায়ন হয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করা এ নন্দিত কর্মকর্তা। সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতা দিয়ে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মন জয় করে বিদায়লগ্নে প্রশংসায় ভাসলেন তিনি।

বিশেষ করে করোনাকালীন সমুদ্র সৈকতের ক্ষুদ্র হকার পর্যটন শিল্পে জড়িত অসহায় মানুষের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে পাশে দাঁড়ানো। কক্সবাজার বীচে বেড়াতে আসা পর্যটকরা বিভিন্ন সময় সৈকতে গোসল করতে নেমে ডেউয়ের সাথে ভেসে যান এসময় বীচ কর্মী ও লাইফ গার্ড নিয়ে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে পরিবারের কাছে পৌছে দেওয়ার নজির অসংখ্য এবং বীচে ফটোগ্রাফার কর্তৃক পর্যটক হয়রানি ইভটিজিং প্রতিরোধে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

জেলা প্রশাসনের অর্পিত দায়িত্ব পালনে তিনি সচেষ্ট ছিলেন। করেনাকালে পর্যটকদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, করোনায় মৃতদের স্বাস্থ্য বিধি মানা সহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। এবং সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের করোনা কালীন সময়ে পর্যাপ্ত ত্রান ও সহযোগিতার করেছিলেন।

সৈকতের ব্যবসায়ীরা বলেন সাধারণ ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের সঙ্গে প্রশাসনের সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম।

নতুন কর্মস্থলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদানের জন্য গত কাল কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা থাকে বিদায় জানান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কক্সবাজার পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ এসিল্যান্ড হিসেবে খুলনায় বদলী

Update Time : ১০:১৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

কক্সবাজার প্রতিনিধি ;

এসিল্যান্ড হিসাবে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন থেকে বিদায় নিলেন সৈয়দ মুরাদ ইসলাম,তিনি ৩৭ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন সদস্য। ২০১৯ সাল থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ১ বছর ৭ মাস সহ মোট ৩ বছর ৫ মাস সফলতার সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন।

বিশেষ করে পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার বীচকে পর্যটক বান্ধব করতে তার ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয়।
দক্ষতা ও কঠোরতার সাথে সমুদ্র সৈকতে অপরাধ দমন ও অবৈধ স্থাপনার দৌরাত্ম্য বন্ধে কাজ করেছেন সফলতার সাথে।
সম্প্রতি খুলনা বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিসাবে পদায়ন হয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করা এ নন্দিত কর্মকর্তা। সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতা দিয়ে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মন জয় করে বিদায়লগ্নে প্রশংসায় ভাসলেন তিনি।

বিশেষ করে করোনাকালীন সমুদ্র সৈকতের ক্ষুদ্র হকার পর্যটন শিল্পে জড়িত অসহায় মানুষের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে পাশে দাঁড়ানো। কক্সবাজার বীচে বেড়াতে আসা পর্যটকরা বিভিন্ন সময় সৈকতে গোসল করতে নেমে ডেউয়ের সাথে ভেসে যান এসময় বীচ কর্মী ও লাইফ গার্ড নিয়ে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে পরিবারের কাছে পৌছে দেওয়ার নজির অসংখ্য এবং বীচে ফটোগ্রাফার কর্তৃক পর্যটক হয়রানি ইভটিজিং প্রতিরোধে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

জেলা প্রশাসনের অর্পিত দায়িত্ব পালনে তিনি সচেষ্ট ছিলেন। করেনাকালে পর্যটকদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, করোনায় মৃতদের স্বাস্থ্য বিধি মানা সহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। এবং সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের করোনা কালীন সময়ে পর্যাপ্ত ত্রান ও সহযোগিতার করেছিলেন।

সৈকতের ব্যবসায়ীরা বলেন সাধারণ ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের সঙ্গে প্রশাসনের সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম।

নতুন কর্মস্থলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদানের জন্য গত কাল কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা থাকে বিদায় জানান।