নীলফামারীর ডোমারে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী ও সন্তান খুন, আহত ২

  • Update Time : ১১:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • / 169

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও তিন বছরের শিশু ইয়াসমিনকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে জিয়ারুল (৩৪) নামে এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানি বাকডোরা নিমজখানা এলাকায়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের চান্দিনাপাড়া এলাকার সমারু মামুদের ছেলে ও পেশায় কাঠমিস্ত্রী জিয়ারুল (৩৪) নিমজখানা এলাকায় তার স্ত্রী রতনা বেগম ও তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিল। এমতাবস্থায় তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া কলহ চলতেছিল। বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ঝগড়ার জের ধরে পাসুন্ড জিয়ারুল এলোপাতাড়ি তার স্ত্রী রতনা (২৫) ও ৩ বছরের শিশু কন্যা ইয়াসমিনকে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকেন। এদিকে ১৪ মাসের আরেক শিশু সন্তান ইয়াসিনকে পানিতে ফেলে দেন। এসময় জিয়ারুলের শ্বাশুড়ি বিলকিস বানু তার মেয়ে রতনা ও নাতনি ইয়াসমিনকে রক্ষা করতে আসলে জিয়ারুল তাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। অতঃপর জিয়ারুল নিজে আত্মহত্যা করার জন্য তার পেটে ছুরি চালান। এদিকে রতনা ও ৩ বছরের কন্যা ইয়াসমিন বাঁচার জন্য পালাতে গিয়ে পরে যায় এবং একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরে এলাকাবাসী ডোমার থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে এবং আত্মহনন কারী জিয়ারুল ও আঘাতপ্রাপ্ত শ্বাশুড়ি বিলকিস বানুকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। জিয়ারুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সাংবাদিকদের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, পারিবারিক ঝগড়া কলহ থেকে এই হত্যাকান্ড। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দাফন করা হবে। হত্যাকারী জিয়ারুলের চিকিৎসা শেষে তাকে আটক করা হবে। তাকে পুলিশ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নীলফামারীর ডোমারে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী ও সন্তান খুন, আহত ২

Update Time : ১১:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও তিন বছরের শিশু ইয়াসমিনকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে জিয়ারুল (৩৪) নামে এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানি বাকডোরা নিমজখানা এলাকায়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের চান্দিনাপাড়া এলাকার সমারু মামুদের ছেলে ও পেশায় কাঠমিস্ত্রী জিয়ারুল (৩৪) নিমজখানা এলাকায় তার স্ত্রী রতনা বেগম ও তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিল। এমতাবস্থায় তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া কলহ চলতেছিল। বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ঝগড়ার জের ধরে পাসুন্ড জিয়ারুল এলোপাতাড়ি তার স্ত্রী রতনা (২৫) ও ৩ বছরের শিশু কন্যা ইয়াসমিনকে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকেন। এদিকে ১৪ মাসের আরেক শিশু সন্তান ইয়াসিনকে পানিতে ফেলে দেন। এসময় জিয়ারুলের শ্বাশুড়ি বিলকিস বানু তার মেয়ে রতনা ও নাতনি ইয়াসমিনকে রক্ষা করতে আসলে জিয়ারুল তাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। অতঃপর জিয়ারুল নিজে আত্মহত্যা করার জন্য তার পেটে ছুরি চালান। এদিকে রতনা ও ৩ বছরের কন্যা ইয়াসমিন বাঁচার জন্য পালাতে গিয়ে পরে যায় এবং একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরে এলাকাবাসী ডোমার থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে এবং আত্মহনন কারী জিয়ারুল ও আঘাতপ্রাপ্ত শ্বাশুড়ি বিলকিস বানুকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। জিয়ারুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সাংবাদিকদের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, পারিবারিক ঝগড়া কলহ থেকে এই হত্যাকান্ড। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দাফন করা হবে। হত্যাকারী জিয়ারুলের চিকিৎসা শেষে তাকে আটক করা হবে। তাকে পুলিশ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।