সার সংকটের গুজব: বাজার মনিটরিং করছেন উপজেলা প্রশাসন

  • Update Time : ০৪:৩৮:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
  • / 152

এনামুল হক,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ইউরিয়া সারসহ কৃষি উপকরণের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিন-রাত বাজার মনিটরিং করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

গত শনিবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন দোকানে মনিটরিং করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশিদুল কবির, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সাদেক হোসেন ও সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ইউরিয়া, এমওপি, জিবসাম, টিএসপিসহ সকল কৃষি উপকরণের সরকারি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করণে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন মনিটরিং টিম। মনিটরিং এর সময় সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি না নেওয়ার জন্য সারের ডিলারগণকে আহবান জানান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এসময় সার পাইকারি ক্রয় মূল্য এবং বিক্রয় মূল্য সঠিকভাবে নেওয়া হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা হয়। অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রি না করতে ব্যবসায়ী নেতাদের ও ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়। সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণের বিষয়ে সার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং মূল্য নিয়ে কারসাজি করতে নিষেধ করা হয়। উর্ধ্বগতিরোধে বাজারে ইউরিয়া সার মজুদ বন্ধে ও নির্ধারিত মূল্য বাস্তবায়ন করতে নিয়মিত এই মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান মনিটরিং টিম এদিকে বাজারে সারের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেন উপজেলার কৃষক সমাজ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল কবির জানান, ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে বিসিআইসি ডিলার আছে ১৬ জন। বিএডিসি ডিলার আছে ১৮ জন। খুচরা সার বিক্রেতা ৩১৮ জন। চলতি আগষ্ট মাসে বরাদ্দ রয়েছে ১২ শত ১০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। পর্যাপ্ত পরিমাণে সার রয়েছে। তিনি আরও বলেন বাজার মনিটরিং এর কারণে সারের মূল্য বেশি নেওয়ার আর কোন সুযোগ নেই। বর্তমানে সারের বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন ধোপাডাঙ্গা, শান্তিরাম ও শ্রীপুর ইউনিয়নের বিসিআইসি রাসায়নিক সার ডিলার পরিদর্শন, মজুদ যাচাই ও সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রির নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কৃষকদেরকে প্রতি ইউনিয়নে অবস্থিত বিসিআইসি সার ডিলারের দোকান হতে সরাসরি সরকার নির্ধারিত মূল্যে ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাজারে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সারের কোন সংকট নেই।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সার সংকটের গুজব: বাজার মনিটরিং করছেন উপজেলা প্রশাসন

Update Time : ০৪:৩৮:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২

এনামুল হক,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ইউরিয়া সারসহ কৃষি উপকরণের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিন-রাত বাজার মনিটরিং করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

গত শনিবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন দোকানে মনিটরিং করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশিদুল কবির, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সাদেক হোসেন ও সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ইউরিয়া, এমওপি, জিবসাম, টিএসপিসহ সকল কৃষি উপকরণের সরকারি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করণে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন মনিটরিং টিম। মনিটরিং এর সময় সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি না নেওয়ার জন্য সারের ডিলারগণকে আহবান জানান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এসময় সার পাইকারি ক্রয় মূল্য এবং বিক্রয় মূল্য সঠিকভাবে নেওয়া হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা হয়। অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রি না করতে ব্যবসায়ী নেতাদের ও ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়। সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণের বিষয়ে সার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং মূল্য নিয়ে কারসাজি করতে নিষেধ করা হয়। উর্ধ্বগতিরোধে বাজারে ইউরিয়া সার মজুদ বন্ধে ও নির্ধারিত মূল্য বাস্তবায়ন করতে নিয়মিত এই মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান মনিটরিং টিম এদিকে বাজারে সারের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেন উপজেলার কৃষক সমাজ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল কবির জানান, ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে বিসিআইসি ডিলার আছে ১৬ জন। বিএডিসি ডিলার আছে ১৮ জন। খুচরা সার বিক্রেতা ৩১৮ জন। চলতি আগষ্ট মাসে বরাদ্দ রয়েছে ১২ শত ১০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। পর্যাপ্ত পরিমাণে সার রয়েছে। তিনি আরও বলেন বাজার মনিটরিং এর কারণে সারের মূল্য বেশি নেওয়ার আর কোন সুযোগ নেই। বর্তমানে সারের বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন ধোপাডাঙ্গা, শান্তিরাম ও শ্রীপুর ইউনিয়নের বিসিআইসি রাসায়নিক সার ডিলার পরিদর্শন, মজুদ যাচাই ও সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রির নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কৃষকদেরকে প্রতি ইউনিয়নে অবস্থিত বিসিআইসি সার ডিলারের দোকান হতে সরাসরি সরকার নির্ধারিত মূল্যে ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাজারে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সারের কোন সংকট নেই।