নীলফামারীর ডোমারে অর্ধগলিত একটা লাশ উদ্ধার

  • Update Time : ১০:২৬:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২
  • / 234

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর ডোমারে এক কিশোরের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে ডোমার থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়রাউতা মাঝাপাড়া এলাকায় বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন সেচ পাম্পের একটি ঘর হতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পায়ের স্যান্ডেল ও পড়নের প্যান্ট দেখে লাশ সনাক্ত করেন নিহতের বড় বোন ঝরনা আক্তার কেয়া। নিহত কিশোরের নাম আরিফ (১৪)। সে ডোমার পৌরসভার ছোট রাউতা (কাজীপাড়া) এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও ৮ম শ্রেণির ছাত্র।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই সেচ পাম্পের আশপাশে র্দুগন্ধ হচ্ছিল। এলাকাবাসী বিষয়টি ডোমার থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে দুর্গন্ধের উৎস খুজতে গিয়ে দেখতে পায় বন্ধ সেচ পাম্প ঘরের ভিতরে মরিচের শুকনা গাছে ঢাকা একটি মরদেহ। মরদেহের পা বেড়িয়ে থাকলেও বাকী অংশ ঢাকা রয়েছে। মরদেহটি পচেঁ গলে যাওয়ায় সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। পুলিশ তাতক্ষণিক ভাবে সেচ পাম্প ঘরটি ঘিরে রাখে এবং ক্রাইমসিন ইউনিট সিআইডি রংপুরকে খবর দেয়। ক্রাইমসিন ইউনিট রংপুর এর টিম বিকাল ছয়টায় এসে লাশ উদ্ধার করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ডোমার থানা ওসি মাহমুদ উন নবী ঘটানাস্থল পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য যে,গত ১৯ আগস্ট শুক্রবার বিকালে বাবার চার্জার অটো নিয়ে বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর বাড়ী ফেরেনি কিশোর আরিফ। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়। ২০ আগস্ট আরিফের বড় বোন ঝরনা আক্তার কেয়া ডোমার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলো।

এব্যাপারে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে প্রক্রিয়া চলছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নীলফামারীর ডোমারে অর্ধগলিত একটা লাশ উদ্ধার

Update Time : ১০:২৬:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর ডোমারে এক কিশোরের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে ডোমার থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়রাউতা মাঝাপাড়া এলাকায় বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন সেচ পাম্পের একটি ঘর হতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পায়ের স্যান্ডেল ও পড়নের প্যান্ট দেখে লাশ সনাক্ত করেন নিহতের বড় বোন ঝরনা আক্তার কেয়া। নিহত কিশোরের নাম আরিফ (১৪)। সে ডোমার পৌরসভার ছোট রাউতা (কাজীপাড়া) এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও ৮ম শ্রেণির ছাত্র।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই সেচ পাম্পের আশপাশে র্দুগন্ধ হচ্ছিল। এলাকাবাসী বিষয়টি ডোমার থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে দুর্গন্ধের উৎস খুজতে গিয়ে দেখতে পায় বন্ধ সেচ পাম্প ঘরের ভিতরে মরিচের শুকনা গাছে ঢাকা একটি মরদেহ। মরদেহের পা বেড়িয়ে থাকলেও বাকী অংশ ঢাকা রয়েছে। মরদেহটি পচেঁ গলে যাওয়ায় সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। পুলিশ তাতক্ষণিক ভাবে সেচ পাম্প ঘরটি ঘিরে রাখে এবং ক্রাইমসিন ইউনিট সিআইডি রংপুরকে খবর দেয়। ক্রাইমসিন ইউনিট রংপুর এর টিম বিকাল ছয়টায় এসে লাশ উদ্ধার করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ডোমার থানা ওসি মাহমুদ উন নবী ঘটানাস্থল পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য যে,গত ১৯ আগস্ট শুক্রবার বিকালে বাবার চার্জার অটো নিয়ে বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর বাড়ী ফেরেনি কিশোর আরিফ। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়। ২০ আগস্ট আরিফের বড় বোন ঝরনা আক্তার কেয়া ডোমার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলো।

এব্যাপারে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে প্রক্রিয়া চলছে।