নীলফামারীর ডোমারে বিয়ে অনুষ্ঠানে গন্ডগোল, আটক ৫

  • Update Time : ০৯:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
  • / 284

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি: 

নীলফামারীর ডোমারে বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে বর পক্ষের সঙ্গে কনে পক্ষের গন্ডগোল ও মারামারি হয়। এতে কনে পক্ষ বরসহ পাঁচ বরযাত্রীকে পুলিশে দেয়।

ঘটনা ঘটেছে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের জামাতপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে লিমা আক্তারকে বিয়ে করতে এসে। জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল তহশিলদার পাড়া এলাকার মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলামের সাথে ডোমার উপজেলার হরিণচরা গ্রামের আজিজুল ইসলামের মেয়ে লিমার বিয়ের অনুষ্ঠানে বর স্টেজে বসার পূর্বে বকশিস ২০টাকা দেওয়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বাধে উভয় পক্ষের। এতে কনে পক্ষ বরসহ পাঁচজনকে আটক করে সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ তাদের ডোমার থানায় নিয়ে আসে এবং বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

আটককৃতরা হলেন, জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল তহশিলদার পাড়া এলাকার মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে বর রবিউল ইসলাম(২৫), তার চাচা মনছুর আলী(৫৫), মনছুর আলীর দুই ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম(২৩) ও আলীমুল ইসলাম(২০) এবং রবিউলের নিকট আত্মীয় পাশ্ববর্তী দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার নুল্লা পাড়া এলাকার মৃত জহুর আলীর ছেলে আল আমীন(২৮)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা জানান, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরকে মালা পড়িয়ে বরণ করে নেয় কনে পক্ষ। এ সময় স্টেজে বরের সাথে বসার যায়গায় বসতে বকশিস দাবী করে কনে পক্ষের লোক। বর পক্ষ ২০টাকা বকশিস দেয়। এতো কম টাকা বকশিস দেওয়ায় কনে পক্ষ নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। বর পক্ষের লোকজন বকশিসের পরিমান বাড়াতে না চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গন্ডোগোল শুরু হয়। এবং মারামারিতে রুপ নেয়। দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেও সমাধান করা সম্ভব না হলে সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে পুলিশ এসে বরসহ পাঁচ বরযাত্রীকে থানায় নিয়ে যায়।

কনের বাবা আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, বর পক্ষের লোকজন বিয়েতে এসে গন্ডোগোল ও মারামারি করেছে। আমাদের বাড়িতে এসে যদি তারা এ রকম আচরণ করে। তাহলে তাদের বাড়িতে আমার মেয়ে গেলে তার সাথে আরো খারাপ ব্যবহার করেবে এবং তাকে নির্যাতন করবে বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন, বরযাত্রী আসার আগে বর পক্ষ আমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়েছে। বিয়ের আয়োজনে আরো এক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি গরীব মানুষ। আমার জমানো সব টাকাগুলো শেষ। এখন আমার মেয়েকে নিয়ে কি করবো?

এবিষয়ে ধর্মপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের জানান বর পক্ষ সমঝোতা করে বিয়ে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কনের বাবা রাজি হননি।

এ বিষয়ে ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবী জানান, বিয়েতে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে গন্ডোগোল হলে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের সেমাবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নীলফামারীর ডোমারে বিয়ে অনুষ্ঠানে গন্ডগোল, আটক ৫

Update Time : ০৯:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি: 

নীলফামারীর ডোমারে বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে বর পক্ষের সঙ্গে কনে পক্ষের গন্ডগোল ও মারামারি হয়। এতে কনে পক্ষ বরসহ পাঁচ বরযাত্রীকে পুলিশে দেয়।

ঘটনা ঘটেছে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের জামাতপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে লিমা আক্তারকে বিয়ে করতে এসে। জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল তহশিলদার পাড়া এলাকার মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলামের সাথে ডোমার উপজেলার হরিণচরা গ্রামের আজিজুল ইসলামের মেয়ে লিমার বিয়ের অনুষ্ঠানে বর স্টেজে বসার পূর্বে বকশিস ২০টাকা দেওয়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বাধে উভয় পক্ষের। এতে কনে পক্ষ বরসহ পাঁচজনকে আটক করে সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ তাদের ডোমার থানায় নিয়ে আসে এবং বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

আটককৃতরা হলেন, জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল তহশিলদার পাড়া এলাকার মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে বর রবিউল ইসলাম(২৫), তার চাচা মনছুর আলী(৫৫), মনছুর আলীর দুই ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম(২৩) ও আলীমুল ইসলাম(২০) এবং রবিউলের নিকট আত্মীয় পাশ্ববর্তী দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার নুল্লা পাড়া এলাকার মৃত জহুর আলীর ছেলে আল আমীন(২৮)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা জানান, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরকে মালা পড়িয়ে বরণ করে নেয় কনে পক্ষ। এ সময় স্টেজে বরের সাথে বসার যায়গায় বসতে বকশিস দাবী করে কনে পক্ষের লোক। বর পক্ষ ২০টাকা বকশিস দেয়। এতো কম টাকা বকশিস দেওয়ায় কনে পক্ষ নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। বর পক্ষের লোকজন বকশিসের পরিমান বাড়াতে না চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গন্ডোগোল শুরু হয়। এবং মারামারিতে রুপ নেয়। দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেও সমাধান করা সম্ভব না হলে সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে পুলিশ এসে বরসহ পাঁচ বরযাত্রীকে থানায় নিয়ে যায়।

কনের বাবা আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, বর পক্ষের লোকজন বিয়েতে এসে গন্ডোগোল ও মারামারি করেছে। আমাদের বাড়িতে এসে যদি তারা এ রকম আচরণ করে। তাহলে তাদের বাড়িতে আমার মেয়ে গেলে তার সাথে আরো খারাপ ব্যবহার করেবে এবং তাকে নির্যাতন করবে বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন, বরযাত্রী আসার আগে বর পক্ষ আমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়েছে। বিয়ের আয়োজনে আরো এক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি গরীব মানুষ। আমার জমানো সব টাকাগুলো শেষ। এখন আমার মেয়েকে নিয়ে কি করবো?

এবিষয়ে ধর্মপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের জানান বর পক্ষ সমঝোতা করে বিয়ে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কনের বাবা রাজি হননি।

এ বিষয়ে ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবী জানান, বিয়েতে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে গন্ডোগোল হলে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের সেমাবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।