কুমিল্লায় নারী শিক্ষিকার ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়

  • Update Time : ০১:৫৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
  • / 355

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা প্রতিনিধি: 

মুরগী গু খায়, সাংবাদিক মুরগী খায়, সুতরাং সাংবাদিক গু খায়” এমন একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে কুমিল্লা জুড়ে এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

রবিবার(১৪ আগস্ট) ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এমন একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা শারমিন জাহান নামে এক নারী।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই লেখাটি ভাইরাল হলে অনেকে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য করেন।

এক ব্যক্তি লিখেন,তিনি বরুড়ার গর্ব এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই, কিন্ত একজন বিসিএস ক্যাডার হয়ে, তার মতো দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তি, সাংবাদিকদের নিয়ে এ ধরণের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন না, তার এই মন্তব্যে আমি খবুই মর্মাহত হলাম, সকল কলম সৈনিকদের পক্ষে আমি তার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে তার এই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রত্যাহারের আহবান জানাচ্ছি।

আরেকজন লিখেন, উনি যথার্থই বলেছেন। বরং আরেকটু বাদ দিয়েছেন। আমাদের সমাজের অনেক শিক্ষিত লোকও ফেইজবুকে এ বিষয়টি নিয়ে ভদ্র মহিলার রুচি,শিক্ষা,জ্ঞান, জাত নিয়ে বাজে ভাবে আক্রমন করেছিলেন। সাংবাদিকদের সাথে ঐ সকল ফেইসবুকারকেও যোগ করতে পারতেন।

আরেক ব্যক্তি লিখেন,আসলে উনি ভুলে গেছেন উনি নিজের চিকেন ভক্ত তাহলে উনি নিজে মনে হয় গু খায় তা না হলে উনার মুরগির সঙ্গে ঝামেলা আছে। ওনাদের বাড়ির মুরগি গুলো ডিম দেয়নি তাই যত দোষ মুরগির।

আবার এক নারী লিখেন,এখানে সে উস্কানিমূলক কথা লিখেছে।তার জন্য এই নারীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

এরকম পক্ষে বিপক্ষে অনেক লিখালিখি হলে পরবর্তীতে তিনি তার ফেইসবুক ওয়ালের ঐ পোস্টটিতে আবার কিছু লিখা সংযোজন করেন।

এ বিষয়ে ঐ নারী শিক্ষিকা শারমিন জাহান বলেন,আমার বক্তব্য কে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমার পুরো পোস্ট টা পড়লে বুঝবেন,আমি বলতে চেয়েছি,যেসব সাংবাদিক রা নিউজ করেছিলো “কলেজ ছাত্রকে শিক্ষিকার বিয়ে,” তাদের লজিক টা এমন হলো- যেহেতু সে কোন এক কলেজে পড়ে সেহেতু সে কলেজ ছাত্র, যেহেতু তিনি শিক্ষিকা সেহেতু তিনি ছাত্র বিয়ে করে ভুল করেছেন। ব্যাপারটা যেন,সব ছাত্র ই ছাত্র,সব শিক্ষক ই শিক্ষক, তাই বাংলাদেশের কোন ছাত্র কে বাংলাদেশের কোন শিক্ষক বিয়ে করতে পারবে না।

তাদের লেখা হেডলাইন টা এমন হলো বুঝাতে আমি “মুরগী গু খায়, সাংবাদিক মুরগী খায়, সুতরাং সাংবাদিক গু খায়” প্যারালাল বা সমান্তরাল করে এন্টি লজিক দিয়েছি। কেউ কেউ এটাকে পার্সোনালি নিচ্ছে কেন? আল্লাহ ভালো জানে।

কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জামাল নাসের বলেন,তিনি আমার কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা।তিনি অল্প বয়স্ক হওয়াতে অনেক কথা বলে থাকতে পারে।তবে এই বিষয়টি আমার অবগত ছিলো না।এই বক্তব্যের ব্যাপারে ওনার সাথে কথা বলবো।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুমিল্লায় নারী শিক্ষিকার ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়

Update Time : ০১:৫৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা প্রতিনিধি: 

মুরগী গু খায়, সাংবাদিক মুরগী খায়, সুতরাং সাংবাদিক গু খায়” এমন একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে কুমিল্লা জুড়ে এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

রবিবার(১৪ আগস্ট) ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এমন একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা শারমিন জাহান নামে এক নারী।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই লেখাটি ভাইরাল হলে অনেকে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য করেন।

এক ব্যক্তি লিখেন,তিনি বরুড়ার গর্ব এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই, কিন্ত একজন বিসিএস ক্যাডার হয়ে, তার মতো দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তি, সাংবাদিকদের নিয়ে এ ধরণের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন না, তার এই মন্তব্যে আমি খবুই মর্মাহত হলাম, সকল কলম সৈনিকদের পক্ষে আমি তার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে তার এই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রত্যাহারের আহবান জানাচ্ছি।

আরেকজন লিখেন, উনি যথার্থই বলেছেন। বরং আরেকটু বাদ দিয়েছেন। আমাদের সমাজের অনেক শিক্ষিত লোকও ফেইজবুকে এ বিষয়টি নিয়ে ভদ্র মহিলার রুচি,শিক্ষা,জ্ঞান, জাত নিয়ে বাজে ভাবে আক্রমন করেছিলেন। সাংবাদিকদের সাথে ঐ সকল ফেইসবুকারকেও যোগ করতে পারতেন।

আরেক ব্যক্তি লিখেন,আসলে উনি ভুলে গেছেন উনি নিজের চিকেন ভক্ত তাহলে উনি নিজে মনে হয় গু খায় তা না হলে উনার মুরগির সঙ্গে ঝামেলা আছে। ওনাদের বাড়ির মুরগি গুলো ডিম দেয়নি তাই যত দোষ মুরগির।

আবার এক নারী লিখেন,এখানে সে উস্কানিমূলক কথা লিখেছে।তার জন্য এই নারীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

এরকম পক্ষে বিপক্ষে অনেক লিখালিখি হলে পরবর্তীতে তিনি তার ফেইসবুক ওয়ালের ঐ পোস্টটিতে আবার কিছু লিখা সংযোজন করেন।

এ বিষয়ে ঐ নারী শিক্ষিকা শারমিন জাহান বলেন,আমার বক্তব্য কে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমার পুরো পোস্ট টা পড়লে বুঝবেন,আমি বলতে চেয়েছি,যেসব সাংবাদিক রা নিউজ করেছিলো “কলেজ ছাত্রকে শিক্ষিকার বিয়ে,” তাদের লজিক টা এমন হলো- যেহেতু সে কোন এক কলেজে পড়ে সেহেতু সে কলেজ ছাত্র, যেহেতু তিনি শিক্ষিকা সেহেতু তিনি ছাত্র বিয়ে করে ভুল করেছেন। ব্যাপারটা যেন,সব ছাত্র ই ছাত্র,সব শিক্ষক ই শিক্ষক, তাই বাংলাদেশের কোন ছাত্র কে বাংলাদেশের কোন শিক্ষক বিয়ে করতে পারবে না।

তাদের লেখা হেডলাইন টা এমন হলো বুঝাতে আমি “মুরগী গু খায়, সাংবাদিক মুরগী খায়, সুতরাং সাংবাদিক গু খায়” প্যারালাল বা সমান্তরাল করে এন্টি লজিক দিয়েছি। কেউ কেউ এটাকে পার্সোনালি নিচ্ছে কেন? আল্লাহ ভালো জানে।

কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জামাল নাসের বলেন,তিনি আমার কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা।তিনি অল্প বয়স্ক হওয়াতে অনেক কথা বলে থাকতে পারে।তবে এই বিষয়টি আমার অবগত ছিলো না।এই বক্তব্যের ব্যাপারে ওনার সাথে কথা বলবো।