ঈদুল আযহা উপলক্ষে মিরসরাইয়ের কামারপাড়ায় ব্যস্ততা

  • Update Time : ০৫:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
  • / 190

কমল পাটোয়ারি,মিরসরাই প্রতিনিধিঃ

আগামী জুলাই আগস্ট সারাদেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আযহা। কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ের কামারদের মাঝে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। কোরবানির পশু জবাই এবং কাটাকুটির জন্য দা, বিভিন্ন সাইজের চাকু, ছোড়া ও বটি তৈরীর কাজ চলছে পুরোদমে। ফলে রাত-দিন কাজ চলছে কামারের দোকানগুলোতে। আগুনকে শিখায় তাপ দিয়ে, হাতুড়ি পিটিয়ে তৈরি হচ্ছে দা-বটিঁ, চাপাতি ও ছুরি।

নতুন দা-বটি তৈরী ছাড়াও কামাররা সমান ব্যস্ত পুরনো দা-বঁটি, ছুরি ও চাপাতিতে শাণ দিতে। বর্তমানে মোটরচালিত মেশিনে শান দেওয়ার কাজও চলছে। তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। অন্য সময়ের চেয়ে দোকানে মৌসুমী কর্মচারীর সংখ্যাও বেড়েছে।

উপজেলার মিঠাছরা বাজারের গৌতম কর্মকার জানান, গত বছরের চেয়ে এবার বেচাকেনা একটু কম হচ্ছে। সাধারণত স্প্রিং লোহা ও কাঁচা লোহা ব্যবহার করে দা-বটিঁ ও ছুরি তৈরি করা হয়। স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণের মান ভালো, দামও বেশি। আর কাঁচা লোহার তৈরি উপকরণগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে। লোহার মানভেদে পশুর চামড়া ছাড়ানোর ছুরি ১০০ থেকে ২০০, দা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বটি ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়।

সুমন নামে এক কামার জানান, বছরের ১১ মাসে ব্যবসা হয় এক রকম আর কোরবানির ঈদের আগের এক মাসে ব্যবসা হয় আরেক রকম। ঈদুল আযহা উপলক্ষে মিরসরাইয়ের প্রতিটি বাজারে বেচা-বিক্রি ও ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ক্রেতারাও প্রয়োজন মত দেখে শুনে-কিনছে তাদের কোরবানির সরঞ্জাম।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঈদুল আযহা উপলক্ষে মিরসরাইয়ের কামারপাড়ায় ব্যস্ততা

Update Time : ০৫:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২

কমল পাটোয়ারি,মিরসরাই প্রতিনিধিঃ

আগামী জুলাই আগস্ট সারাদেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আযহা। কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ের কামারদের মাঝে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। কোরবানির পশু জবাই এবং কাটাকুটির জন্য দা, বিভিন্ন সাইজের চাকু, ছোড়া ও বটি তৈরীর কাজ চলছে পুরোদমে। ফলে রাত-দিন কাজ চলছে কামারের দোকানগুলোতে। আগুনকে শিখায় তাপ দিয়ে, হাতুড়ি পিটিয়ে তৈরি হচ্ছে দা-বটিঁ, চাপাতি ও ছুরি।

নতুন দা-বটি তৈরী ছাড়াও কামাররা সমান ব্যস্ত পুরনো দা-বঁটি, ছুরি ও চাপাতিতে শাণ দিতে। বর্তমানে মোটরচালিত মেশিনে শান দেওয়ার কাজও চলছে। তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। অন্য সময়ের চেয়ে দোকানে মৌসুমী কর্মচারীর সংখ্যাও বেড়েছে।

উপজেলার মিঠাছরা বাজারের গৌতম কর্মকার জানান, গত বছরের চেয়ে এবার বেচাকেনা একটু কম হচ্ছে। সাধারণত স্প্রিং লোহা ও কাঁচা লোহা ব্যবহার করে দা-বটিঁ ও ছুরি তৈরি করা হয়। স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণের মান ভালো, দামও বেশি। আর কাঁচা লোহার তৈরি উপকরণগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে। লোহার মানভেদে পশুর চামড়া ছাড়ানোর ছুরি ১০০ থেকে ২০০, দা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বটি ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়।

সুমন নামে এক কামার জানান, বছরের ১১ মাসে ব্যবসা হয় এক রকম আর কোরবানির ঈদের আগের এক মাসে ব্যবসা হয় আরেক রকম। ঈদুল আযহা উপলক্ষে মিরসরাইয়ের প্রতিটি বাজারে বেচা-বিক্রি ও ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ক্রেতারাও প্রয়োজন মত দেখে শুনে-কিনছে তাদের কোরবানির সরঞ্জাম।