কুমিল্লায় প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে চলছে ছিনতাই

  • Update Time : ০৮:৫৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২
  • / 237

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার নাগরিক জীবনে অন্তহীন সমস্যার মধ্যে ছিনতাই-দস্যুতার উপদ্রবে ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে।নগরীতে অনেক এলাকায় সন্ধ্যা নামলে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। কমবেশি প্রতিদিনই কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও উপকণ্ঠে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন মানুষ। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর অনিরাপদ হয়ে পড়ছে কুমিল্লা শহরের অলিগলি।

আবার দেখা যায়,ছিনতাইকারীর হাতে কেউ মারা গেলে কিংবা লুট হয়ে যাওয়া টাকার পরিমাণ বেশি হলেই শুধু এসব ঘটনা আলোচনায় আসে। ‘ছোটখাটো’ ছিনতাই-দস্যুতা হয়ে পড়ে গুরুত্বহীন। এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাও স্বীকার করছেন,কুমিল্লায় ছিনতাই বেড়ে গেছে। বলা হচ্ছে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর মানুষের চলাচল ও অর্থনৈতিক কর্মকা- বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।সূত্রমতে, কম হলেও কুমিল্লা শহরে চিহ্নিত প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি ছিনতাইয়ের স্পট আছে। যেখানে প্রতিনিয়ত তৎপরতা চালাচ্ছে ছিনতাইকারী চক্র।

ভুক্তভোগী এক শিক্ষিকা তামান্না আক্তার তানিয়া বলেন, রাস্তায় যেভাবেই যাতায়াত করুন না কেন, যথেষ্ট সচেতন থাকার পরেও অনেক মানুষকে নিয়মিত এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।আমি বুধবার কান্দিরপাড় রামঘাটলাস্থলে আমার চাকুরীর প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে রাস্তায় আমাকে এক ছিনতাইকারী ছুরি ধরে আমার গলায় থাকা স্বর্নের চেইন,হাতের চুরী,আংটি ও আমার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এই বিষয়ে আমি কোতয়ালী মডেল থানায় জিডি করেছি।প্রশাসন এখন ব্যবস্থা গ্রহন করলে হয়তো ছিনতাইকারীকে সনাক্ত করে আটক করা যাবে।তাছাড়া তাৎক্ষণিক সুফল পাওয়া যায় না বলে অনেক ভুক্তভোগীরা বেশিরভাগই আইনের আশ্রয় নেন না।

সূত্রমতে, ছিনতাইয়ের আরও একটি বড় কারণ, নগরের বিভিন্ন স্থানের ভাসমান মাদকসেবী। মাদকের টাকা জোগাতে তারা পথচারীদের কাছ থেকে টাকা, ফোন ছিনতাই করছে।

নাগরিক জীবনের স্বাভাবিকতা ও স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনতে ছিনতাই, দস্যুতা ও মলম পার্টির উৎপাত অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এজন্য পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি জোরদার করতে চিহ্নিত স্পটগুলোতে এলাকাভিত্তিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হোক এমনটাই দাবি জানাচ্ছেন নগরবাসী। এতে ছিনতাইকারী শনাক্ত করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া সহজ হবে বলে মনে করেন তারা।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি সহিদুল ইসলাম বলেন,দেখা যায়, ছিনতাইয়ের কবলে পড়েও অনেকেই পুলিশের সহযোগিতা নেয় না, এমনকি অবহিতও করে না। এতে অপরাধের সঠিক পরিসংখ্যান অজানা থেকে যায়, যা প্রতিরোধে সমস্যা তৈরি করে।আর ছিনতাইকারীদের ধরতে প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান চলছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুমিল্লায় প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে চলছে ছিনতাই

Update Time : ০৮:৫৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার নাগরিক জীবনে অন্তহীন সমস্যার মধ্যে ছিনতাই-দস্যুতার উপদ্রবে ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে।নগরীতে অনেক এলাকায় সন্ধ্যা নামলে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। কমবেশি প্রতিদিনই কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও উপকণ্ঠে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন মানুষ। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর অনিরাপদ হয়ে পড়ছে কুমিল্লা শহরের অলিগলি।

আবার দেখা যায়,ছিনতাইকারীর হাতে কেউ মারা গেলে কিংবা লুট হয়ে যাওয়া টাকার পরিমাণ বেশি হলেই শুধু এসব ঘটনা আলোচনায় আসে। ‘ছোটখাটো’ ছিনতাই-দস্যুতা হয়ে পড়ে গুরুত্বহীন। এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাও স্বীকার করছেন,কুমিল্লায় ছিনতাই বেড়ে গেছে। বলা হচ্ছে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর মানুষের চলাচল ও অর্থনৈতিক কর্মকা- বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।সূত্রমতে, কম হলেও কুমিল্লা শহরে চিহ্নিত প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি ছিনতাইয়ের স্পট আছে। যেখানে প্রতিনিয়ত তৎপরতা চালাচ্ছে ছিনতাইকারী চক্র।

ভুক্তভোগী এক শিক্ষিকা তামান্না আক্তার তানিয়া বলেন, রাস্তায় যেভাবেই যাতায়াত করুন না কেন, যথেষ্ট সচেতন থাকার পরেও অনেক মানুষকে নিয়মিত এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।আমি বুধবার কান্দিরপাড় রামঘাটলাস্থলে আমার চাকুরীর প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে রাস্তায় আমাকে এক ছিনতাইকারী ছুরি ধরে আমার গলায় থাকা স্বর্নের চেইন,হাতের চুরী,আংটি ও আমার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এই বিষয়ে আমি কোতয়ালী মডেল থানায় জিডি করেছি।প্রশাসন এখন ব্যবস্থা গ্রহন করলে হয়তো ছিনতাইকারীকে সনাক্ত করে আটক করা যাবে।তাছাড়া তাৎক্ষণিক সুফল পাওয়া যায় না বলে অনেক ভুক্তভোগীরা বেশিরভাগই আইনের আশ্রয় নেন না।

সূত্রমতে, ছিনতাইয়ের আরও একটি বড় কারণ, নগরের বিভিন্ন স্থানের ভাসমান মাদকসেবী। মাদকের টাকা জোগাতে তারা পথচারীদের কাছ থেকে টাকা, ফোন ছিনতাই করছে।

নাগরিক জীবনের স্বাভাবিকতা ও স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনতে ছিনতাই, দস্যুতা ও মলম পার্টির উৎপাত অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এজন্য পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি জোরদার করতে চিহ্নিত স্পটগুলোতে এলাকাভিত্তিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হোক এমনটাই দাবি জানাচ্ছেন নগরবাসী। এতে ছিনতাইকারী শনাক্ত করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া সহজ হবে বলে মনে করেন তারা।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি সহিদুল ইসলাম বলেন,দেখা যায়, ছিনতাইয়ের কবলে পড়েও অনেকেই পুলিশের সহযোগিতা নেয় না, এমনকি অবহিতও করে না। এতে অপরাধের সঠিক পরিসংখ্যান অজানা থেকে যায়, যা প্রতিরোধে সমস্যা তৈরি করে।আর ছিনতাইকারীদের ধরতে প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান চলছে।