চার বিষয়ে গিনেস বুকে বিশ্ব রেকর্ড নীলফামারীর অন্তু

  • Update Time : ০৯:৫২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২
  • / 170

মশিয়ার রহমান ,নীলফামারী প্রতিনিধি: 

গিনেস বুকে রেকর্ডকারী অন্তু জানায়, করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় ২০২১ সালে দুটি গিনেস রেকর্ড গড়তে সক্ষম হই। প্রথমটা স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে শিকল তৈরি করে এবং মাত্র ৭.১৬ সেকেন্ডে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান করে। এছাড়াও হাতের স্পর্শ ছাড়াই কলা খাওয়ার রেকর্ড গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে রেকর্ডস গড়েন।

এবার এক মিনিটে হাতের পিঠে ১০০ এবং ৩০ সেকেন্ডে ৬৫টি পেন্সিল রেখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখালো নীলফামারীর অন্ত। সে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নীলকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে। তার পুরো নাম নাফিস ইসতে তওফিক অন্ত।
জানা যায়, এর আগে হাতে পেন্সিল রেখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম। তিনি ২০১৯-২০ সেশনের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ৩০ সেকেন্ডে হাতের পিঠে সর্বোচ্চ ৫০টি পেন্সিল ব্যালান্স করে এই রেকর্ডের মালিক হয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ল নীলফামারীর অন্তু। সে এক মিনিটে হাতের পিঠে ১০০ এবং ৩০ সেকেন্ডে ৬৫টি পেন্সিল রেখে গিনেস বুকে নাম লেখালো।

সে বলেন, এবার বিশ্বের অনেক রেকর্ডগুলোর মধ্য থেকে আমি বেছে নিই এক মিনিট ও ৩০ সেকেন্ডে সর্বোচ্চ পেন্সিল হাতের ওপর রাখার রেকর্ডটি। এই রেকর্ড দুটি ব্রেক করার জন্য আমি কিছু দিন ধরে প্রস্তুতি নেওয়ার পর সেটি আমার আয়ত্বে চলে আসে। তখন আমি রেকর্ড দুটি ব্রেক করার জন্য গিনেস বুকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ বছরের ১২ ফেব্রয়ারি আবেদন করি। ৫ মার্চ গিনেস বুক আমার আবেদন গ্রহণ করে অনুমতি দেয়।

তাদের নির্দেশনা মতে আমার রেকর্ড দুটির ভিডিও বার্তা পাঠানোর জন্য বলা হয়। সে অনুযায়ী, ভিডিও পাঠাই আমি। গিনেস কর্তৃপক্ষ গত ৩০ জুন ই-মেইলের মাধ্যমে জানায়, আমার রেকর্ড দুটি সফল হয়েছে। আমি এবার এই ক্যাটাগরিতে বিশ্ব রেকর্ড হোল্ডার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গিনেস বুকের রেকর্ড ব্রেক করার স্বীকৃতিপত্র পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অন্তু বলে, আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে চারটি রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছি। তবে সহপাঠীদের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া লক্ষ্যে পৌঁছাতে কষ্ট হয়ে যেত। সবার দোয়া ছিল বলে আমার ইচ্ছেটা পূরণ করতে পেরেছি।
অন্তুর মা নাসমুন নাহার বলেন, আমার ছেলে ছোট থেকেই বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। একটু সময় পেলেই যন্ত্রপাতি নিয়ে বসে। প্রতিনিয়তই তার নতুন কিছু আবিষ্কারের চিন্তা থাকে। সে পরপর চারটি বিশ্ব রেকর্ড করেছে। এতে আমরা গর্বিত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চার বিষয়ে গিনেস বুকে বিশ্ব রেকর্ড নীলফামারীর অন্তু

Update Time : ০৯:৫২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২

মশিয়ার রহমান ,নীলফামারী প্রতিনিধি: 

গিনেস বুকে রেকর্ডকারী অন্তু জানায়, করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় ২০২১ সালে দুটি গিনেস রেকর্ড গড়তে সক্ষম হই। প্রথমটা স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে শিকল তৈরি করে এবং মাত্র ৭.১৬ সেকেন্ডে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান করে। এছাড়াও হাতের স্পর্শ ছাড়াই কলা খাওয়ার রেকর্ড গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে রেকর্ডস গড়েন।

এবার এক মিনিটে হাতের পিঠে ১০০ এবং ৩০ সেকেন্ডে ৬৫টি পেন্সিল রেখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখালো নীলফামারীর অন্ত। সে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নীলকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে। তার পুরো নাম নাফিস ইসতে তওফিক অন্ত।
জানা যায়, এর আগে হাতে পেন্সিল রেখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম। তিনি ২০১৯-২০ সেশনের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ৩০ সেকেন্ডে হাতের পিঠে সর্বোচ্চ ৫০টি পেন্সিল ব্যালান্স করে এই রেকর্ডের মালিক হয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ল নীলফামারীর অন্তু। সে এক মিনিটে হাতের পিঠে ১০০ এবং ৩০ সেকেন্ডে ৬৫টি পেন্সিল রেখে গিনেস বুকে নাম লেখালো।

সে বলেন, এবার বিশ্বের অনেক রেকর্ডগুলোর মধ্য থেকে আমি বেছে নিই এক মিনিট ও ৩০ সেকেন্ডে সর্বোচ্চ পেন্সিল হাতের ওপর রাখার রেকর্ডটি। এই রেকর্ড দুটি ব্রেক করার জন্য আমি কিছু দিন ধরে প্রস্তুতি নেওয়ার পর সেটি আমার আয়ত্বে চলে আসে। তখন আমি রেকর্ড দুটি ব্রেক করার জন্য গিনেস বুকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ বছরের ১২ ফেব্রয়ারি আবেদন করি। ৫ মার্চ গিনেস বুক আমার আবেদন গ্রহণ করে অনুমতি দেয়।

তাদের নির্দেশনা মতে আমার রেকর্ড দুটির ভিডিও বার্তা পাঠানোর জন্য বলা হয়। সে অনুযায়ী, ভিডিও পাঠাই আমি। গিনেস কর্তৃপক্ষ গত ৩০ জুন ই-মেইলের মাধ্যমে জানায়, আমার রেকর্ড দুটি সফল হয়েছে। আমি এবার এই ক্যাটাগরিতে বিশ্ব রেকর্ড হোল্ডার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গিনেস বুকের রেকর্ড ব্রেক করার স্বীকৃতিপত্র পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অন্তু বলে, আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে চারটি রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছি। তবে সহপাঠীদের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া লক্ষ্যে পৌঁছাতে কষ্ট হয়ে যেত। সবার দোয়া ছিল বলে আমার ইচ্ছেটা পূরণ করতে পেরেছি।
অন্তুর মা নাসমুন নাহার বলেন, আমার ছেলে ছোট থেকেই বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। একটু সময় পেলেই যন্ত্রপাতি নিয়ে বসে। প্রতিনিয়তই তার নতুন কিছু আবিষ্কারের চিন্তা থাকে। সে পরপর চারটি বিশ্ব রেকর্ড করেছে। এতে আমরা গর্বিত।