দুদকের জালে ধরা পরলো টিকিট কালোবাজারি বুকিং সহকারী রাশেদ

  • Update Time : ০৭:০৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
  • / 181

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি:

দুদকের জালে ধরা পরলো টিকিট কালোবাজারির সাথে সম্পৃক্ত ডোমার রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী রাশেদসহ বেশ কয়েকজন। দুদক রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের একটি টিম তদন্তে এসে এমনি দুর্নীতির তথ্য পেয়েছে।

এক যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে নীলফামারীর ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে তদন্তে এসে উক্ত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দূদক রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরিফ বিডিসমাচার২৪.কমকে বলেন, ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে টিকিটের অনিয়ম ধরতে অভিযানে আসেন তাঁরা। এসময় অভিযান পরিচালনা করে তারা প্রমান পেয়েছেন বুকিং সহকারী রাশেদ টিকিট কালোবাজারির সাথে সম্পৃক্ত এবং সে কালোবাজারির মূলহোতা।

দুদক রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরিফ এর নেতৃত্বাধীন ০৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় স্টেশনের বুকিং অফিসে টিকেট কাউন্টারের রেজিস্ট্রার খাতা তল্লাশী করেন। রেজিস্টার খাতা তল্লাশি করতে গিয়ে তারা দেখতে পান বুকিং সহকারী রাশেদ টিকিট কালোবাজারি করতে বিচারপতি, উপজেলা আ”লীগের সভাপতি সহ এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামে একাধীক টিকিট বুকিং করে রাখে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই নামের ব্যক্তিরা কেউ টিকিট বুকিং করেনি। এভাবে কেঁচো খুরতে গিয়ে সাপ বেড়িয়ে আসে।

এলাকাবাসী জানায়,দীর্ঘদিন ধরে রাশেদ এভাবেই টিকিট কালোবাজারি করে আসছে। আমরা প্রয়োজনের খাতিরে যদি কখনো টিকিট নিতে আসি, তখন বুকিং সহকারী রাশেদ বলে টিকিট শেষ হয়েছে এবং আজ থেকে আরও ৫দিন আগেরও কোন টিকিট নেই। তিনি নিজ এলাকায় চাকুরী করে বলে কাউকে তোয়াক্কা না করে টিকিট কালোবাজারি করতে করতে তার জিহবা বড় হয়ে গেছে।

তদন্ত কমিটির কাছে এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা বুকিং সহকারী রাশেদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এসময় ডোমার পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুবেল ইসলাম, সাংবাদিক রবিউল হক রতন, এবাদত হোসেন চঞ্চল, রাশেদুল ইসলাম আপেলসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

টিকিটের কালোবাজারির বিষয়ে দুদকের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক হোসাইন শরিফ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমরা সকাল থেকে ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবেশে অভিযান পরিচালনা করে আসছি। সাধারন যাত্রীবেশে আমরা রেল স্টেশন এলাকার টিকিট কালোবাজারি, লাকড়ি ব্যবসায়ী লিটনের কাছে নীলফামারী থেকে ঢাকার ৩টা টিকিট কিনেছি। লিটন ও মতিসহ আরও অনেকেই রেলের টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছিলো স্টেশনে টিকিট কালোবাজারি হয় এবং সাধারন যাত্রী কারো সুপারিশ ব্যতিত টিকিট পায় না। সরেজমিনে আমরা উক্ত অভিযোগের সত্যতা এবং বুকিং সহকারী রাশেদ এসব কাজের সাথে সম্পৃক্ততা থাকার সত্যতা পেয়েছি।

এবিষয়ে ডোমার রেলস্টেশনের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত স্টেশন মাস্টার আশরাফুল ইসলাম বলেন, অপরাধী যেই হোক আমি চাই তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দুদকের জালে ধরা পরলো টিকিট কালোবাজারি বুকিং সহকারী রাশেদ

Update Time : ০৭:০৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি:

দুদকের জালে ধরা পরলো টিকিট কালোবাজারির সাথে সম্পৃক্ত ডোমার রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী রাশেদসহ বেশ কয়েকজন। দুদক রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের একটি টিম তদন্তে এসে এমনি দুর্নীতির তথ্য পেয়েছে।

এক যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে নীলফামারীর ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে তদন্তে এসে উক্ত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দূদক রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরিফ বিডিসমাচার২৪.কমকে বলেন, ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে টিকিটের অনিয়ম ধরতে অভিযানে আসেন তাঁরা। এসময় অভিযান পরিচালনা করে তারা প্রমান পেয়েছেন বুকিং সহকারী রাশেদ টিকিট কালোবাজারির সাথে সম্পৃক্ত এবং সে কালোবাজারির মূলহোতা।

দুদক রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরিফ এর নেতৃত্বাধীন ০৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় স্টেশনের বুকিং অফিসে টিকেট কাউন্টারের রেজিস্ট্রার খাতা তল্লাশী করেন। রেজিস্টার খাতা তল্লাশি করতে গিয়ে তারা দেখতে পান বুকিং সহকারী রাশেদ টিকিট কালোবাজারি করতে বিচারপতি, উপজেলা আ”লীগের সভাপতি সহ এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামে একাধীক টিকিট বুকিং করে রাখে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই নামের ব্যক্তিরা কেউ টিকিট বুকিং করেনি। এভাবে কেঁচো খুরতে গিয়ে সাপ বেড়িয়ে আসে।

এলাকাবাসী জানায়,দীর্ঘদিন ধরে রাশেদ এভাবেই টিকিট কালোবাজারি করে আসছে। আমরা প্রয়োজনের খাতিরে যদি কখনো টিকিট নিতে আসি, তখন বুকিং সহকারী রাশেদ বলে টিকিট শেষ হয়েছে এবং আজ থেকে আরও ৫দিন আগেরও কোন টিকিট নেই। তিনি নিজ এলাকায় চাকুরী করে বলে কাউকে তোয়াক্কা না করে টিকিট কালোবাজারি করতে করতে তার জিহবা বড় হয়ে গেছে।

তদন্ত কমিটির কাছে এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা বুকিং সহকারী রাশেদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এসময় ডোমার পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুবেল ইসলাম, সাংবাদিক রবিউল হক রতন, এবাদত হোসেন চঞ্চল, রাশেদুল ইসলাম আপেলসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

টিকিটের কালোবাজারির বিষয়ে দুদকের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক হোসাইন শরিফ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমরা সকাল থেকে ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবেশে অভিযান পরিচালনা করে আসছি। সাধারন যাত্রীবেশে আমরা রেল স্টেশন এলাকার টিকিট কালোবাজারি, লাকড়ি ব্যবসায়ী লিটনের কাছে নীলফামারী থেকে ঢাকার ৩টা টিকিট কিনেছি। লিটন ও মতিসহ আরও অনেকেই রেলের টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছিলো স্টেশনে টিকিট কালোবাজারি হয় এবং সাধারন যাত্রী কারো সুপারিশ ব্যতিত টিকিট পায় না। সরেজমিনে আমরা উক্ত অভিযোগের সত্যতা এবং বুকিং সহকারী রাশেদ এসব কাজের সাথে সম্পৃক্ততা থাকার সত্যতা পেয়েছি।

এবিষয়ে ডোমার রেলস্টেশনের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত স্টেশন মাস্টার আশরাফুল ইসলাম বলেন, অপরাধী যেই হোক আমি চাই তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক।