সীতাকুণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ দিলেন নোয়াখালীর ছেলে আলাউদ্দিন

  • Update Time : ১১:২৩:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২
  • / 158

জেলা প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ফায়ার ফাইটার মো. আলাউদ্দিনের (৩৬) মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

রোববার দুপুরে নিহত আলাউদ্দিনের ভাই জহির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত আলাউদ্দিন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদের ছেলে।

সন্তান হারিয়ে নির্বাক বয়োবৃদ্ধ বাবা আবদুর রশিদ আর মা মমতাজ বেগম। “আমার বাপে কই গেলো। তারে আমার কাছে আইনা দেন। সে কোনো দিন কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করে নাই। আমার পোলারে আইনা দেন” এমন বিলাপে ভারি হয়ে উঠছে বাড়ির পরিবেশ।

স্বজন ও এলাকাবাসীরা মেনে নিতে পারছেন না এমন মৃত্যুর সংবাদ।

বড় ভাই জহির উদ্দিন বলেন, “আমরা ৬ ভাই ও ৪ বোন। আলাউদ্দিন আমার ছোট, আর ভাইদের মধ্যে পঞ্চম। প্রায় ১৫ বছর আগে সে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেয়। সর্বশেষ সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে কর্মরত ছিল। প্রথম ইউনিটের সদস্য হিসেবে আগুন নেভাতে যায় সে। এরপর বিস্ফোরণের সময় থেকে নিখোঁজ ছিল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার নিহতের খবর জানান হয়।”

তার ৬ বছরের একটা ছেলে আছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সীতাকুণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ দিলেন নোয়াখালীর ছেলে আলাউদ্দিন

Update Time : ১১:২৩:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২

জেলা প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ফায়ার ফাইটার মো. আলাউদ্দিনের (৩৬) মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

রোববার দুপুরে নিহত আলাউদ্দিনের ভাই জহির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত আলাউদ্দিন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদের ছেলে।

সন্তান হারিয়ে নির্বাক বয়োবৃদ্ধ বাবা আবদুর রশিদ আর মা মমতাজ বেগম। “আমার বাপে কই গেলো। তারে আমার কাছে আইনা দেন। সে কোনো দিন কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করে নাই। আমার পোলারে আইনা দেন” এমন বিলাপে ভারি হয়ে উঠছে বাড়ির পরিবেশ।

স্বজন ও এলাকাবাসীরা মেনে নিতে পারছেন না এমন মৃত্যুর সংবাদ।

বড় ভাই জহির উদ্দিন বলেন, “আমরা ৬ ভাই ও ৪ বোন। আলাউদ্দিন আমার ছোট, আর ভাইদের মধ্যে পঞ্চম। প্রায় ১৫ বছর আগে সে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেয়। সর্বশেষ সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে কর্মরত ছিল। প্রথম ইউনিটের সদস্য হিসেবে আগুন নেভাতে যায় সে। এরপর বিস্ফোরণের সময় থেকে নিখোঁজ ছিল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার নিহতের খবর জানান হয়।”

তার ৬ বছরের একটা ছেলে আছে।