সুন্দরগঞ্জে ইজারাদার নিজ অর্থায়নে ছাউনি দিলেন :স্বস্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা

  • Update Time : ০৪:১৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২
  • / 251

এনামুল হক,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী নগর কাঠগড়া হাটে তীব্র রোদ থেকে বাঁচতে ইজারদার নিজ অর্থায়নে গরু-ছাগলের হাটিতে ছাউনি করে দিয়েছেন। ফলে হাটে আসা গরু-ছাগলের ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

জানা যায়, উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত নগর কাঠগড়া হাটটি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার অন্যতম একটি হাট। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলায় হাটটি দিন দিন তার ঐতিহ্য হারাচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটেশনের নেই কোন উন্নত মানের ব্যবস্থা। ফলে চরম ভোগান্তিতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাগণ। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য হাটের ইজারাদার আজাদুল ইসলাম তার নিজস্ব অর্থায়নে গরু ছাগলের হাটিতে ছাউনি দিয়েছেন। এখন গরু ছাগল বাজারের পুরো জায়গাটি ছায়াযুক্ত হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতারা খুশি। আগে ছাউনি না থাকায় রোদের কারণে হাটে দাঁড়াতে পারতো না। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে হাটে পানি জমে থাকার কারণে হাট করা সম্ভব হয়নি। এখন ছাউনি দেওয়ার ফলে রোদ কিংবা বৃষ্টিতে হাটে গরু ছাগল বেচা-কেনা করা সহজ হবে।

ব্যবসায়ীরা জানায়, নগর কাঠগড়া হাটের অব্যবস্থাপনার কারণে অলিগলি ময়লা আর আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। এছাড়াও সবজি পট্টি থেকে মাছ পট্টিসহ সর্বত্র কাদাপানিতে নাকাল হয়ে থাকে। আর বৃষ্টি হলেতো কোন কথাই নেই। সর্বত্র পানি জমে যায়। এই পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলে তা একেবারে খারাপ অবস্থা। আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের পাশাপাশি সাধারণ পথচারীদের চালাচলেও বিপত্তি দেখা দেয়।

আতোয়ার, আসাদুল প্রামানিকসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ময়লা-অবর্জনা হাটের অলিগলির মধ্যেই ফেলতে হয়। ময়লা আবর্জনা রাখার নির্ধারিত কোনো জায়গা নাই। আর বৃষ্টি নামলে হাটের বেচা-কেনা বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, হাটে কাদাপানি জমে থাকায় চলাফেরা করা যায় না। তাই ক্রেতা কমে যায়। ব্যবসায়ীদের কপালে হাত পরে।

ইজারাদার আজাদুল ইসলামের এমন মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সিরাজ নামের এক ব্যবসায়ীসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এসব অব্যবস্থাপনা ও রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ইজারাদার আজাদুল ইসলাম গরু-ছাগলের হাটিতে ছাউনির ব্যবস্থা করেছেন। ফলে সবাই এর উপকার ভোগ করছে। পুরো হাটটিতে এমন ছাউনির ব্যবস্থা করা দরকার। তাহলে ক্রেতা-বিক্রেতা ভালোভাবে বেচা-কেনা করতে পারবে।

হাট ইজারাদার আজাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হাটে সুশৃঙ্খল পরিবেশে হাট পরিচালনা হয়। তবে আমাদের হাটে সাইট দিয়ে গভীর ড্রেনের ব্যবস্থা করলে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিসহ সকল ধরনের ময়লা আবর্জনা যাওয়াটা সহজ হবে। এছাড়াও হাটের টয়লেট সংস্কার করা জরুরী ও হাটের মানুষের সেবার জন্য আরোও কয়েকটা নলকূপ প্রয়োজন তাই এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সুন্দরগঞ্জে ইজারাদার নিজ অর্থায়নে ছাউনি দিলেন :স্বস্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা

Update Time : ০৪:১৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

এনামুল হক,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী নগর কাঠগড়া হাটে তীব্র রোদ থেকে বাঁচতে ইজারদার নিজ অর্থায়নে গরু-ছাগলের হাটিতে ছাউনি করে দিয়েছেন। ফলে হাটে আসা গরু-ছাগলের ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

জানা যায়, উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত নগর কাঠগড়া হাটটি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার অন্যতম একটি হাট। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলায় হাটটি দিন দিন তার ঐতিহ্য হারাচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটেশনের নেই কোন উন্নত মানের ব্যবস্থা। ফলে চরম ভোগান্তিতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাগণ। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য হাটের ইজারাদার আজাদুল ইসলাম তার নিজস্ব অর্থায়নে গরু ছাগলের হাটিতে ছাউনি দিয়েছেন। এখন গরু ছাগল বাজারের পুরো জায়গাটি ছায়াযুক্ত হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতারা খুশি। আগে ছাউনি না থাকায় রোদের কারণে হাটে দাঁড়াতে পারতো না। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে হাটে পানি জমে থাকার কারণে হাট করা সম্ভব হয়নি। এখন ছাউনি দেওয়ার ফলে রোদ কিংবা বৃষ্টিতে হাটে গরু ছাগল বেচা-কেনা করা সহজ হবে।

ব্যবসায়ীরা জানায়, নগর কাঠগড়া হাটের অব্যবস্থাপনার কারণে অলিগলি ময়লা আর আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। এছাড়াও সবজি পট্টি থেকে মাছ পট্টিসহ সর্বত্র কাদাপানিতে নাকাল হয়ে থাকে। আর বৃষ্টি হলেতো কোন কথাই নেই। সর্বত্র পানি জমে যায়। এই পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলে তা একেবারে খারাপ অবস্থা। আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের পাশাপাশি সাধারণ পথচারীদের চালাচলেও বিপত্তি দেখা দেয়।

আতোয়ার, আসাদুল প্রামানিকসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ময়লা-অবর্জনা হাটের অলিগলির মধ্যেই ফেলতে হয়। ময়লা আবর্জনা রাখার নির্ধারিত কোনো জায়গা নাই। আর বৃষ্টি নামলে হাটের বেচা-কেনা বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, হাটে কাদাপানি জমে থাকায় চলাফেরা করা যায় না। তাই ক্রেতা কমে যায়। ব্যবসায়ীদের কপালে হাত পরে।

ইজারাদার আজাদুল ইসলামের এমন মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সিরাজ নামের এক ব্যবসায়ীসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এসব অব্যবস্থাপনা ও রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ইজারাদার আজাদুল ইসলাম গরু-ছাগলের হাটিতে ছাউনির ব্যবস্থা করেছেন। ফলে সবাই এর উপকার ভোগ করছে। পুরো হাটটিতে এমন ছাউনির ব্যবস্থা করা দরকার। তাহলে ক্রেতা-বিক্রেতা ভালোভাবে বেচা-কেনা করতে পারবে।

হাট ইজারাদার আজাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হাটে সুশৃঙ্খল পরিবেশে হাট পরিচালনা হয়। তবে আমাদের হাটে সাইট দিয়ে গভীর ড্রেনের ব্যবস্থা করলে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিসহ সকল ধরনের ময়লা আবর্জনা যাওয়াটা সহজ হবে। এছাড়াও হাটের টয়লেট সংস্কার করা জরুরী ও হাটের মানুষের সেবার জন্য আরোও কয়েকটা নলকূপ প্রয়োজন তাই এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।