মিরসরাইয়ে সূর্যমুখী ফুলের চাষে কৃষকের হাসি

  • Update Time : ০১:৪৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
  • / 151

কমল পাটোয়ারী, মিরসরাইঃ

সূর্যমুখী ফুলের চাষে ঝুকছে মিরসরাইয়ে কিছু কৃষক। কৃষকের নতুন এই ফলনে অনেকের মুখে হাসি ফুটেছে। আমনের ধান তোলার পর অন্য চাষ থেকে সূর্যমুখী চাষে লাভবান হবে বলে মনে করেন তারা।

উপজেলার পশ্চিম জোয়ার,হিঙ্গুলীর জামালপুর গ্রামে, দূর্গাপুরের মুরারিপুরে সূর্যমুখীর চাষ হচ্ছে।

উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে মুরারিপুর গ্রামের কৃষক গৌরচাঁন দে তার ১৮ শতাংশ জমিতে নতুন করে সূর্যমুখী চাষ শুরু করে গাছে ফলন ৮০ শতাংশের মত,সব গাছে ফুল এসেগেছে। আমি আগামী মৌসুমে ফলন বাড়াবো।
প্রতি শতাংশে ৮-১০ কেজি বীজ সংগ্রহ করতে পারবে বলে মনে করেন।

দূর্গাপুর এলাকায় নিযুক্ত উপ সহকারী কৃষি অফিসার নিজাম উদ্দিন বলেন,আমরা নতুন করে সূর্যমুখী ফুল আবাদের জন্য কৃষকদের ৩ দিনের ট্রেনিং দিয়েছি,বীজ ও ৬০ কেজি সার প্রদান করেছি যাতে কৃষকরা উৎসাহী হয়।
উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নে জামালপুর গ্রামের কৃষক নুরুল আবছার বলেন আমি প্রথমবারে ফলনে অনেক খুশি। ফুল দেখে মনে আনন্দ আসে।ফুল দেখতে বিভিন্ন জায়গায় থেকে দর্শনার্থী ভীর করে।আমার ফলনও ভালো হবে আশা করি।

সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। প্রতি ৩ কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে ১ লিটার তৈল উপাদন সম্ভব। বীজগুলো যদি সরিষার সাথে মাড়াই করে তাহলে ভালো হয়।বাজারে সূর্যমুখী তেলের দাম বেশী গুণাগুণও অনেক।তবে মিরসরাইয়ে তেল মাড়ায় করার ঘানি না থাকায় কিছুটা দুঃচিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে তেল ঘানি করতে পারবে বলে জানান

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বিডি সমাচারকে বলেন, মিরসরাইয়ে চলতি মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হচ্ছে। আমার সরকারি ভাবে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার প্রদান করছি যাতে কৃষকরা সূর্যমুখী চাষে লাভবান হয়।আগামী মৌসুমে সূর্যমুখী আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মিরসরাইয়ে সূর্যমুখী ফুলের চাষে কৃষকের হাসি

Update Time : ০১:৪৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২

কমল পাটোয়ারী, মিরসরাইঃ

সূর্যমুখী ফুলের চাষে ঝুকছে মিরসরাইয়ে কিছু কৃষক। কৃষকের নতুন এই ফলনে অনেকের মুখে হাসি ফুটেছে। আমনের ধান তোলার পর অন্য চাষ থেকে সূর্যমুখী চাষে লাভবান হবে বলে মনে করেন তারা।

উপজেলার পশ্চিম জোয়ার,হিঙ্গুলীর জামালপুর গ্রামে, দূর্গাপুরের মুরারিপুরে সূর্যমুখীর চাষ হচ্ছে।

উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে মুরারিপুর গ্রামের কৃষক গৌরচাঁন দে তার ১৮ শতাংশ জমিতে নতুন করে সূর্যমুখী চাষ শুরু করে গাছে ফলন ৮০ শতাংশের মত,সব গাছে ফুল এসেগেছে। আমি আগামী মৌসুমে ফলন বাড়াবো।
প্রতি শতাংশে ৮-১০ কেজি বীজ সংগ্রহ করতে পারবে বলে মনে করেন।

দূর্গাপুর এলাকায় নিযুক্ত উপ সহকারী কৃষি অফিসার নিজাম উদ্দিন বলেন,আমরা নতুন করে সূর্যমুখী ফুল আবাদের জন্য কৃষকদের ৩ দিনের ট্রেনিং দিয়েছি,বীজ ও ৬০ কেজি সার প্রদান করেছি যাতে কৃষকরা উৎসাহী হয়।
উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নে জামালপুর গ্রামের কৃষক নুরুল আবছার বলেন আমি প্রথমবারে ফলনে অনেক খুশি। ফুল দেখে মনে আনন্দ আসে।ফুল দেখতে বিভিন্ন জায়গায় থেকে দর্শনার্থী ভীর করে।আমার ফলনও ভালো হবে আশা করি।

সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। প্রতি ৩ কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে ১ লিটার তৈল উপাদন সম্ভব। বীজগুলো যদি সরিষার সাথে মাড়াই করে তাহলে ভালো হয়।বাজারে সূর্যমুখী তেলের দাম বেশী গুণাগুণও অনেক।তবে মিরসরাইয়ে তেল মাড়ায় করার ঘানি না থাকায় কিছুটা দুঃচিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে তেল ঘানি করতে পারবে বলে জানান

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বিডি সমাচারকে বলেন, মিরসরাইয়ে চলতি মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হচ্ছে। আমার সরকারি ভাবে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার প্রদান করছি যাতে কৃষকরা সূর্যমুখী চাষে লাভবান হয়।আগামী মৌসুমে সূর্যমুখী আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।