নিখোঁজের ১৩ দিন পর বেনাপোল থেকে চাঁদপুরের ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- Update Time : ০৯:১২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
- / 156
শাওন পাটওয়ারী:
শ্বশুড় বাড়ি যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হান্নান মৃধা (৩৭) নামের ব্যবসায়ীর সন্ধান মিলেছে ১৩ দিন পর। তবে জীবিত নয় মৃতবস্থায়। মুক্তিপণের টাকা দিয়েও হান্নান কে জীবিত পেল না তার বৃদ্ধ পিতা মাতা।
হান্নান মৃধা চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুদী মৃধা বাড়ি এলাকার আবুল হোসেন মৃধার ছেলে। বিষ্ণুদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে তার একটি মুদি দোকান রয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, আজ রোববার ১৩ মার্চ সকাল ৯ টায় যশোরের শার্শা থানা পুলিশ খবর পেয়ে একটি গাছে হান্নানের মরদেহ মাটিতে পা লাগানো ঝুলন্তবস্থায় উদ্ধার করেছে। পরে তারা চাঁদপুরে হান্নানের বাড়িতে খবর দিলে দুপুর ১টায় হান্নানের লাশ আনতে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
পরিবারের সদস্যরা আরোও জানায়, গত ১ মার্চ দুপুর ১টার দিকে হান্নান দোকান বন্ধ করে তার শ্বশুড় বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের প্রধানিয়া বাড়িতে শিশু পুত্র সন্তানকে দেখতে যায়। শ্বশুড় বাড়ি থেকে ফেরার পথে সে নিখোঁজ হয়।
জানা যায়, ৭ মার্চ রাত ৩ টা থেকে বেনাপোল থেকে অচেনা ব্যাক্তিরা মোবাইলে কল দিয়ে নিখোঁজ হান্নান তাদের কাছে বলে জানায়। তাকে ফিরে পেতে মুক্তিপণ ১ লাখ টাকা চাওয়া হয়। হান্নানের ভাই ও আত্মীয় স্বজনরা তাদের কথা বিশ্বাস করে নিখোঁজ হান্নানকে তাদের সাথে কথা বলতে বললে হান্নান কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেছিল ভাই আমাকে বাঁচান। তারপর তারা চাঁদপুর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করেন। তবে ৫০ হাজার টাকা পরিবাবের পক্ষ থেকে বিকাশ করা হয় বলে জানা যায়।
বোনের জামাই রুবেল, আমার শ্যালককে আটকে রেখে ১ লাখ টাকা মোবাইলে মুক্তিপন দাবী করেছে। তারা মোবাইলে বিকাশে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। আরো ৫০ হাজার টাকা দেইনি বলে আমার শ্যালককে হত্যা করেছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে তার শশুড় বাড়ী জড়িত রয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি নাসিম উদ্দিন জানান,১ তারীখে নিখোজ ডায়রী হয়েছে। মডেল থানা পুলিশ পরিবারের স্বজনের সাথে লাশ আনতে ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
হান্নান অপহরণ ও হত্যার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।