কক্সবাজার প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ফসলি জমির বিলের মাঝে হাত-পায়ের রগ কাটানো মোহছেনা আক্তার (৩৭)
নামের এক মহিলার মরদেহ উদ্ধার করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ।

২৫ জানুয়ারী, মঙ্গলবার, সকাল ৯ টার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা নুইন্যামুইন্যা ব্রীজ সংলগ্ন বিল থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মহিলা কক্সবাজার সদরের খাজা মঞ্জিল এলাকার ছাবের আহমদের মেয়ে জানা গেছে।

তবে নিহত মোহছেনার ছেলের দাবী, টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে তার মাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তার সৎবাবা রিদুয়ান।

নিহত মহিলার ছেলে বলেন, আমার বাবা মালেয়শিয়ায় থাকত। সেখানে গত বছর মারা যান। বাবার সাথে মালেয়শিয়াতেই পরিচয় হয় চকরিয়া উপজেলা কোনাখালীর রিদুয়ানের। এরপর রিদুয়ান বাংলাদেশে আসলে আমাদের পরিবারের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত বছর মালেয়শিয়ায়তেই আমার বাবা মারা যায়। আর সাত আট মাস আগে রিদুয়ানের সাথে আমার মায়ের বিয়ে হয়।

তবে মা কখনো রিদুয়ানের বাড়িতে থাকেনি। রিদুয়ানই আমাদের সাথে শহরের খাজামঞ্জিল এলাকায় এসে মাঝেমধ্যে থাকত।

সেই আরো বলেন, সোমবার দুপুরে রিদুয়ান আমার মাকে ফোন করে টাকার জন্য যেতে বলে। পরে দুপুর ২ টার দিকে মা টাকার জন্য কোনখালীর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর বৃহস্পতিবার পুলিশের ফোনে জানতে পারি আমার মায়ের মৃতদেহ পেকুয়া সদরের নুইন্যামুইন্যা ব্রিজ সংলগ্ন বিল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বোরো চাষের জন্য জমিতে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করতে যায়। এ সময় বিলের মাঝে একটি রক্তাক্ত মহিলার লাশ দেখতে পায়।
পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। স্থানীয়দের ধারনা ওই মহিলাকে অন্য কোথাও খুন করে গভীররাতে বিলে ফেলে রেখে চলে যায় ঘাতকরা।

দেখা গেছে, বিলের মাঝে চিৎ হয়ে পড়ে আছে বোরকা ও নেকাব পরানো মহিলা। দুই পা ও বাম হাতের রগ কেটে দেয়া হয়েছে। বুকের মাঝখানে রক্তে ভিজে গেছে বোরকা। কাটা হাত থেকে রক্ত ঝরে পড়ছে মাটিতে। লাশের পাশে একটি ভ্যানেটি ব্যাগ। পায়ের জুতাগুলো ছিটিয়ে ছটিয়ে রয়েছে পাশে। লাশের বিশ হাত দুরে একটি দু’ধারা ছোরা মাটিতে পুঁতে রাখছে।

এইসময় আরো দেখা যায়, ব্যাগের ভেতর একটি মুঠোফোন, ভোটের স্মার্টকার্ড ও অল্পকিছু টাকা।

পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, সিআইডি ক্রাইমসীন তদন্ত করছে। পিবিআই টিমও কাজ করছে। নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। বাহিরে কোথাও খুন করে গভীররাতে হয়তো লাশ এখানে ফেলে চলে গেছে। তবে কি জন্য, কেন খুন করা হয়েছে তা অগ্রিম বলতে পারছিনা। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।