পঞ্চগড়ে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখম, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
- Update Time : ০৭:২০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
- / 213
রাশেদুল ইসলাম,পঞ্চগড়:
পঞ্চগড়ে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখম করায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (৩০-নভেম্বর) বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ নোমান হাসান এর নেতৃত্বে পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শের-ই-বাংলা পার্ক চৌরঙ্গি মোরে অবস্থান নেয় এবং প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করে।
উল্লেখ্য, জেলার সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নে গত (২৭- নভেম্বর) ২০২১ ইং নৌকা মার্কার নির্বাচনী প্রচারণাকালে ২নং হাফিজাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী মোঃ আসাদুল্লাহ্ আল সাগর ও মোঃ লায়ন ইসলাম এর উপর সন্ত্রাসীদের পূর্ব পরিকল্পিত হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের ও ঘটনার কুশীলবদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মোঃ জাহিদ হাসান জনি, মো. রানা ইসলাম ,মো.তানভির হসেন জয়সহ জেলা,উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একজন আহত ছাত্রলীগ নেতার পিতাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে ছেলের উপর নির্মম হামলার বিচার দাবি করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভোটের আগের দিন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এলাকায় জামাত ,বিএনপি সহ একটি চক্র সুপরিকল্পিত ভাবে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে এই নির্মম কাজটি করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন নৌকার সমর্থকরা আতঙ্কে ভোটের মাঠে আসেনি । ফলে সহজেই বিপুল ভোটে লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়।
বক্তারা আরো বলেন, পঞ্চগড়ের মানুষ শান্তিপ্রিয়। এখানে সুপরিকল্পিত ভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী অঙ্গ সংগঠন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এর অবদান অনেক । যেহেতু আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছে তাই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ছাত্রলীগ মাঠে কাজ করবে এটা স্বাভাবিক।
ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ লায়ন ইসলাম ও মোঃ আসাদুল্লাহ্ আল সাগরসহ তিনজন নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার পথে ধারালো অস্ত্র সহ অতর্কিত ভাবে তাদের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা ।
এ সময় পুলিশ একজনকে আটক করলেও বাকি আসামীদের আটক করছে না। সমাবেশে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দেন। এ সময়ের মধ্যে বাকি আসামীদের আইনের আওতায় আনা না হলে বৃহৎ কর্মসূচির কথা উল্লখ করেন।