আর্থিক সহায়তা পেলেন রাজশাহী নগরীর তিন ভিক্ষুক

  • Update Time : ১২:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
  • / 143

ইউসুফ আলী চৌধুরী,রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভিক্ষুক পুনর্বাসন তহবিল থেকে ৩ ভিক্ষুককে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

সোমবার (২৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভিক্ষুক পুনর্বাসন তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।

সহায়তা প্রাপ্তরা হলেন, নগরীর মতিহার থানার মৌলভী বুধপাড়া এলাকার আলিম মন্ডল এর ছেলে মো. সিদ্দিক আলীকে ৩০ হাজার, নগরীর বুধপাড়া এলাকার সোহরাব সরকারের মেয়ে রুমি বেগমকে ৩০ হাজার ও অপর একজনকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

নগরীর বুধপাড়া এলাকার মো. সিদ্দিক আলী জানান, আমি একজন হতদরিদ্র মানুষ। নিজের বাড়ি ভিটা ছাড়া আমার কোনো জমি নাই। বর্তমানে বয়সের কারণে কায়িক পরিশ্রম করতে পারি না। এছাড়াও চোখের শিরা-উপশিরার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে আমি অন্ধ হওয়ার উপক্রম। আমার চোখে জরুরি অপারেশন না করালে আমি চিরতরে অন্ধ হয়ে যাবো।

তিনি আরও জানান, আমার আর্থিক অসচ্ছলতার বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা প্রশাসক মহোদয় ৩০ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য দিয়েছেন। সে জন্য আমি স্যারের জন্য দোয়া করি, তিনি যেন এভাবে আমাদের মতো হতদরিদ্র মানুষকে সাহায্য করতে পারেন। এছাড়াও আমি জেলা প্রশাসক স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media


আর্থিক সহায়তা পেলেন রাজশাহী নগরীর তিন ভিক্ষুক

Update Time : ১২:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

ইউসুফ আলী চৌধুরী,রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভিক্ষুক পুনর্বাসন তহবিল থেকে ৩ ভিক্ষুককে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

সোমবার (২৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভিক্ষুক পুনর্বাসন তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।

সহায়তা প্রাপ্তরা হলেন, নগরীর মতিহার থানার মৌলভী বুধপাড়া এলাকার আলিম মন্ডল এর ছেলে মো. সিদ্দিক আলীকে ৩০ হাজার, নগরীর বুধপাড়া এলাকার সোহরাব সরকারের মেয়ে রুমি বেগমকে ৩০ হাজার ও অপর একজনকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

নগরীর বুধপাড়া এলাকার মো. সিদ্দিক আলী জানান, আমি একজন হতদরিদ্র মানুষ। নিজের বাড়ি ভিটা ছাড়া আমার কোনো জমি নাই। বর্তমানে বয়সের কারণে কায়িক পরিশ্রম করতে পারি না। এছাড়াও চোখের শিরা-উপশিরার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে আমি অন্ধ হওয়ার উপক্রম। আমার চোখে জরুরি অপারেশন না করালে আমি চিরতরে অন্ধ হয়ে যাবো।

তিনি আরও জানান, আমার আর্থিক অসচ্ছলতার বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা প্রশাসক মহোদয় ৩০ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য দিয়েছেন। সে জন্য আমি স্যারের জন্য দোয়া করি, তিনি যেন এভাবে আমাদের মতো হতদরিদ্র মানুষকে সাহায্য করতে পারেন। এছাড়াও আমি জেলা প্রশাসক স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।