মুরাদনগরে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর বিশাল মটর শো-ডাউন

- Update Time : ১১:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
- / 149
কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের নেতৃত্বে বিশাল মটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুরাদনগরের আল্লাহু নাম চত্বর থেকে মটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে শো-ডাউন শুরু হয়ে উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় হাতপাখার মটর শোভাযাত্রা দেখার জন্য রাস্তার দু’পাশে নারী, পুরুষ ও শিশুরা ভীড় জমায় এবং হাতপাখার প্রার্থীকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।
উল্লেখ্য গত ২১ মে বাঙ্গরাবাজার থানার স্বল্পা আলীপুরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত এক ইসলামী মহাসম্মেলনে দলের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন এবং জনতার সামনে পরিচয় করিয়ে দেন।
এ সময় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুরাদনগর উপজেলা সভাপতি মাস্টার মফিজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হোসাইন মোল্লা, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সেক্রেটারী হাজী আব্দুল করীম, জয়েন্ট সেক্রেটারী শেখ মো. সাইফুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মুফতী ওমর ফারুক রশিদী, মাওলানা নোমান আহমদ, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, হাফেজ বেলাল হোসেন পাহাড়পুরী, মুহাম্মদ কামাল হোসেন, যুব আন্দোলন সভাপতি মাওলানা শুআইব হুসাইন, ডা. সাইফুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মারজান, মো. আবুল কালাম, উজ্জল আহমদ, ছাত্রনেতা মূসা হায়দার, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আবু ইউসুফ, শ্রমিকনেতা সোহেল মিয়া।
এর আগে আরটিভি, এনটিভি ও স্থানীয় মিডিয়া সাক্ষাৎকারে মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের মাঝে একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জনগণ আর পুর্বের ধ্বাংসাত্মক ও প্রতিহিংসার রাজনীতি, জুলুম-চাঁদাবাজির রাজনীতি এবং ভোট ডাকাতির রাজনীতিতে ফিরে যেতে চায় না। তারা পরিবর্তন চায়। এ জন্য রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। বর্তমান বিপ্লবী সরকারও ৩টি দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। সংবিধান সংষ্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিকল্প নেই। এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলো পেশীশক্তি ও কালো টাকামুক্ত নির্বাচন সম্ভব। আগে স্থানীয়, পরে জাতীয় নির্বাচন চায় ইসলামী আন্দোলন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা যাচাইয়ে স্থানীয় নির্বাচন আগে প্রয়োজন।
দলের সহকারী মহাসচিব বলেন, মানুষ ইসলামীপন্থী দলগুলোর প্ল্যাটফর্ম প্রত্যাশা করে। ইসলামপন্থী দলগুলো আগামী নির্বাচনে একবাক্স নিয়ে ময়দানে হাজির হবে ইনশাআল্লাহ।