জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Update Time : ০৭:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • / 38

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সন্ত্রাস দমন আইনের-১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এখনও প্রক্রিয়াধীন। যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলার ঘরে ঘরে সরকারের পদত্যাগের ধ্বনি উঠেছে: সাকি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সুশীল সমাজের ডিমান্ড রয়েছে, ১৪ দলের ডিমান্ড রয়েছে এমনকি রাজনৈতিক ডিমান্ডও রয়েছে। অতিসম্প্রতি যেসব ঘটনাগুলো ঘটেছে, এগুলোর মধ্যে জামায়াত-শিবিরের যে সম্পর্ক রয়েছে এসব মিলেয়ে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের সবকিছুই মেনে যাওয়ার পরও আন্দোলন থামছে না উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সেই আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। ছাত্ররা কোনোদিন এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না যদি পরামর্শদাতারা পরামর্শ না দিতো। এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এতগুলো মানুষ হতাহত হলো, শুধু কি পুলিশের গুলিতে? আমরা প্রকাশ করবো কার গুলিতে কতজন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে। সবকিছু তো ছাত্ররা করেনি। তাদের সামনে রেখে পেছনে যারা থেকেছে, এতে জামায়াত-শিবির ও বিএনপিসহ অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলো সম্পৃক্ত ছিল বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। অনেকদিনের একটা চাহিদা ছিল জামায়াত-শিবিরকে ব্যান করার, সেই প্রক্রিয়াটি চলছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের বিষয়টি উঠে আসে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সভায় চলমান ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে দেশব্যাপী সংঘাত-সহিংসতায় সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হন নেতারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Update Time : ০৭:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সন্ত্রাস দমন আইনের-১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এখনও প্রক্রিয়াধীন। যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলার ঘরে ঘরে সরকারের পদত্যাগের ধ্বনি উঠেছে: সাকি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সুশীল সমাজের ডিমান্ড রয়েছে, ১৪ দলের ডিমান্ড রয়েছে এমনকি রাজনৈতিক ডিমান্ডও রয়েছে। অতিসম্প্রতি যেসব ঘটনাগুলো ঘটেছে, এগুলোর মধ্যে জামায়াত-শিবিরের যে সম্পর্ক রয়েছে এসব মিলেয়ে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের সবকিছুই মেনে যাওয়ার পরও আন্দোলন থামছে না উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সেই আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। ছাত্ররা কোনোদিন এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না যদি পরামর্শদাতারা পরামর্শ না দিতো। এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এতগুলো মানুষ হতাহত হলো, শুধু কি পুলিশের গুলিতে? আমরা প্রকাশ করবো কার গুলিতে কতজন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে। সবকিছু তো ছাত্ররা করেনি। তাদের সামনে রেখে পেছনে যারা থেকেছে, এতে জামায়াত-শিবির ও বিএনপিসহ অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলো সম্পৃক্ত ছিল বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। অনেকদিনের একটা চাহিদা ছিল জামায়াত-শিবিরকে ব্যান করার, সেই প্রক্রিয়াটি চলছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের বিষয়টি উঠে আসে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সভায় চলমান ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে দেশব্যাপী সংঘাত-সহিংসতায় সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হন নেতারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান।