নির্বাহী আদেশে আজ নিষিদ্ধ হতে পারে জামায়াত-শিবির

  • Update Time : ১০:২১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • / 31

নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। প্রায় এক দশক আগে নিবন্ধন হারানো এ দলটিকে আজই নিষিদ্ধ করতে চায় সরকার। আজ বুধবার (৩১ জুলাই) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বুধবারের মধ্যেই জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হচ্ছে। কোন আইনি প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ হবে তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসব।

আনিসুল হক বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকারের বক্তব্য শুনেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন আগামীকালের (বুধবার) মধ্যে একটা ব্যবস্থা নেয়ার। আমি কিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে বসব এবং সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কোন আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে সেটা যখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব তখন হবে।

এই মুহূর্তে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হলে সরকার পরবর্তী সময়ে কোনো ঝামেলায় পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, গত ১৬ জুলাই থেকে দেশে যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা চালানো হয়েছে; যারা কোটা আন্দোলন করেছে, তারা কিন্তু বলেছে এই সহিংসতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সেই ক্ষেত্রে আমাদের কাছে তথ্য উপাত্ত আছে। জামায়াত-শিবির-বিএনপি-ছাত্রদল যারা জঙ্গি তারাই এটা করেছে। এই দলটাকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে।

আনিসুল হক আরও বলেন, কোনো দলকে যখন নিষিদ্ধ করা হয় তখন সেটা নির্বাহী আদেশেই হয়। সেটা কোনো বিচার বিভাগীয় আদেশে হয় না। যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার করা এক কথা এবং জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আরেক কথা।

এর আগে গত সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠকের পর জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

এদিকে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রক্রিয়ার কথা জেনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল বা জোট অন্য একটি রাজনৈতিক দলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বাংলাদেশের আইন ও সংবিধান কাউকে এ এখতিয়ার দেয়নি।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে দাবি করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘নিজেদের অপকর্মের দায় এড়াতে সরকার শুরু থেকেই মিথ্যাচার করছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জামায়াত ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর দোষারোপ করে বক্তব্য দিচ্ছে সরকার।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নির্বাহী আদেশে আজ নিষিদ্ধ হতে পারে জামায়াত-শিবির

Update Time : ১০:২১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। প্রায় এক দশক আগে নিবন্ধন হারানো এ দলটিকে আজই নিষিদ্ধ করতে চায় সরকার। আজ বুধবার (৩১ জুলাই) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বুধবারের মধ্যেই জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হচ্ছে। কোন আইনি প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ হবে তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসব।

আনিসুল হক বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকারের বক্তব্য শুনেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন আগামীকালের (বুধবার) মধ্যে একটা ব্যবস্থা নেয়ার। আমি কিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে বসব এবং সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কোন আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে সেটা যখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব তখন হবে।

এই মুহূর্তে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হলে সরকার পরবর্তী সময়ে কোনো ঝামেলায় পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, গত ১৬ জুলাই থেকে দেশে যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা চালানো হয়েছে; যারা কোটা আন্দোলন করেছে, তারা কিন্তু বলেছে এই সহিংসতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সেই ক্ষেত্রে আমাদের কাছে তথ্য উপাত্ত আছে। জামায়াত-শিবির-বিএনপি-ছাত্রদল যারা জঙ্গি তারাই এটা করেছে। এই দলটাকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে।

আনিসুল হক আরও বলেন, কোনো দলকে যখন নিষিদ্ধ করা হয় তখন সেটা নির্বাহী আদেশেই হয়। সেটা কোনো বিচার বিভাগীয় আদেশে হয় না। যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার করা এক কথা এবং জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আরেক কথা।

এর আগে গত সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠকের পর জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

এদিকে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রক্রিয়ার কথা জেনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল বা জোট অন্য একটি রাজনৈতিক দলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বাংলাদেশের আইন ও সংবিধান কাউকে এ এখতিয়ার দেয়নি।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে দাবি করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘নিজেদের অপকর্মের দায় এড়াতে সরকার শুরু থেকেই মিথ্যাচার করছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জামায়াত ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর দোষারোপ করে বক্তব্য দিচ্ছে সরকার।’