বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা কার হাতে জানা যাবে আজ
- Update Time : ০৯:৫৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
- / 29
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"source_ids":{},"source_ids_track":{},"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"border":1,"square_fit":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে আপিল বিভাগের দেয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ১ নম্বরে রাখা হয়েছে। এতে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা জানা যাবে আজ রোববার (২০ অক্টোবর)।
জানা যায়, বিচারপতিদের অপসারণ-সম্পর্কিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত (আপিল বিভাগ) যে রায় দিয়েছিলেন, তা রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিল বিগত সরকার-যার ওপরই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে আজ। এতে করে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হলে বিচারপতিদের অপসারণের জন্য এতদিন ধরে চলে আসা বিতর্কের চূড়ান্ত আইনি সমাধান হবে। সেই হিসেবে ভবিষ্যতে ২০২৪ সালের আজকের এই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধান ও বিচার বিভাগের ইতিহাসে হয়তো উল্লিখিত হবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাশ করে আওয়ামী লীগ সরকার। এ সংশোধনীর বিরুদ্ধে একই বছরের ৫ নভেম্বর নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। রায়টি বহাল থাকে আপিল বিভাগেও। এরপর বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফেরাতে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সম্প্রতি হাইকোর্ট বিভাগের বিতর্কিত বিচারপতিদের অপসারণের দাবি উঠলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হয়। ৭২ এর সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতেই ছিলো। ৭৫-এর পর সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে নেয়া হয়। জিয়াউর রহমানের সময় সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপরাসণের ক্ষমতা দেয়া হয় জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে।
এর আগে গত ১৫ আগস্ট আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৩৭ নম্বর ক্রমিকে থাকা আইটেমটি শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগে মেনশন করেন রিটকারী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আদালতকে বলেন, এটার বিষয়ে ইনস্ট্রাকশন দরকার। তাই সময় চাচ্ছি। এরপর সর্বোচ্চ আদালত বলেন, ‘ওয়ান উইক আফটার ভ্যাকেশন’ এটি শুনানির জন্য আসবে।
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরের মতে, বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদ নয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে থাকা উচিৎ। রোববার ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হলে বিচারপতিদের অপসারণের জন্য এতদিন ধরে চলে আসা বিতর্কের চূড়ান্ত আইনি সমাধান হবে।