খালেদা জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না: শেখ হাসিনা

  • Update Time : ০৭:৩৭:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / 176

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। সে পাকিস্তানের ধারাবাহিকতা নিয়ে চলতে চেয়েছিল। শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর কাওলায় আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীকে ভোট চুরি করে পার্লামেন্টে বসিয়েছিল। আর আলবদর, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, যারা এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে, মা বোনকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে দিয়েছে, তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল। জিয়াও বসিয়েছিল, এরশাদও, খালেদা জিয়াও।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে জিয়া বা খালেদা জিয়ার কোনো অবদান নেই। বরং তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করেছে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে যে দেশের উন্নতি হয়, এটা আজকে আমরা প্রমাণ করেছি। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা দেশের মানুষের জন্য কী করেছে? কিছুই করেনি। যা করেছে আওয়ামী লীগই করেছে।

জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা আর স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় বসানোর কাজ করেছে। সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। এদের জন্ম হয়েছে হত্যার মধ্য দিয়ে। ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে। আমার বাবার সঙ্গে দায়িত্বরত অফিসারদেরও হত্যা করেছে। জিয়া ও এরশাদের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। ওই অবৈধ দখলদারদের দোসর বিএনপি-জামায়াত আজ বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের উন্নতি সহ্য করে না।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মাত্র দেড় মাসে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার করেছি। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলেও ক্ষমতায় যেতে পারিনি। সে নির্বাচনে খালেদা জিয়া গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছিল। আমাকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তখন আমি বলেছিলাম- আমি শেখ মুজিবের মেয়ে। ক্ষমতার লোভ করি না, জনগণের স্বপ্ন বেচি না।

আওয়ামী লীগ অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে একটা দেশের যে উন্নতি হয়, যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে তারা ক্ষমতায় থাকলে যে দেশের জন্য উন্নতি হয়, আজ আমরা সেটা প্রমাণ করেছি।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতই অসুস্থ, তিনি নাকি মারা যাবেন। হ্যাঁ বয়স হয়েছে, আবার অসুস্থও বটে। কিন্তু তিনি এত অসুস্থ হলে তার ছেলে তাকে দেখতে আসে না কেন? এটা কেমন ছেলে?

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা তার (খালেদা জিয়া) বিদেশে চিকিৎসার দাবি নিয়ে অনশন করে। তারা কয়টা থেকে অনশন শুরু করেছে? বাসা থেকে কী দিয়ে নাস্তা করে এসেছে, কী দিয়ে দুপুরে গিয়ে খাবে? কয় ঘণ্টার অনশন? নাটক করার-তো একটা সীমা থাকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


খালেদা জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না: শেখ হাসিনা

Update Time : ০৭:৩৭:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। সে পাকিস্তানের ধারাবাহিকতা নিয়ে চলতে চেয়েছিল। শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর কাওলায় আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীকে ভোট চুরি করে পার্লামেন্টে বসিয়েছিল। আর আলবদর, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, যারা এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে, মা বোনকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে দিয়েছে, তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল। জিয়াও বসিয়েছিল, এরশাদও, খালেদা জিয়াও।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে জিয়া বা খালেদা জিয়ার কোনো অবদান নেই। বরং তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করেছে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে যে দেশের উন্নতি হয়, এটা আজকে আমরা প্রমাণ করেছি। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা দেশের মানুষের জন্য কী করেছে? কিছুই করেনি। যা করেছে আওয়ামী লীগই করেছে।

জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা আর স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় বসানোর কাজ করেছে। সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। এদের জন্ম হয়েছে হত্যার মধ্য দিয়ে। ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে। আমার বাবার সঙ্গে দায়িত্বরত অফিসারদেরও হত্যা করেছে। জিয়া ও এরশাদের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। ওই অবৈধ দখলদারদের দোসর বিএনপি-জামায়াত আজ বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের উন্নতি সহ্য করে না।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মাত্র দেড় মাসে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার করেছি। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলেও ক্ষমতায় যেতে পারিনি। সে নির্বাচনে খালেদা জিয়া গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছিল। আমাকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তখন আমি বলেছিলাম- আমি শেখ মুজিবের মেয়ে। ক্ষমতার লোভ করি না, জনগণের স্বপ্ন বেচি না।

আওয়ামী লীগ অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে একটা দেশের যে উন্নতি হয়, যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে তারা ক্ষমতায় থাকলে যে দেশের জন্য উন্নতি হয়, আজ আমরা সেটা প্রমাণ করেছি।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতই অসুস্থ, তিনি নাকি মারা যাবেন। হ্যাঁ বয়স হয়েছে, আবার অসুস্থও বটে। কিন্তু তিনি এত অসুস্থ হলে তার ছেলে তাকে দেখতে আসে না কেন? এটা কেমন ছেলে?

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা তার (খালেদা জিয়া) বিদেশে চিকিৎসার দাবি নিয়ে অনশন করে। তারা কয়টা থেকে অনশন শুরু করেছে? বাসা থেকে কী দিয়ে নাস্তা করে এসেছে, কী দিয়ে দুপুরে গিয়ে খাবে? কয় ঘণ্টার অনশন? নাটক করার-তো একটা সীমা থাকে।