ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে হাসিনা-পুতিন

  • Update Time : ০৪:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
  • / 142

নিজস্ব প্রতিবেদক

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর মধ্য দিয়ে ৩৩তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যুক্ত হলো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্লাবে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ৩টা ৫২ মিনিটের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি।

প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক এই গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা, উচ্চ পর্যায়ের রুশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এবং বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত আছেন।

২০২৪ সালের মার্চে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে। আর দ্বিতীয় ইউনিটেও ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সমপরিমাণ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটির উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে। এর ফলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে উল্লেখযোগ্য রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে পৌঁছায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তা রূপপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (১২০০ মেগাওয়াট) চালু করার জন্য ৭৫ টন ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হবে। একবার জ্বালানি দেওয়ার পর ১৮ মাস নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এরপর এক-তৃতীয়াংশ ইউরেনিয়াম অর্থাৎ ২৫ টন নিউক্লিয়ার বর্জ্য তুলে নিয়ে সেখানে নতুন ইউরেনিয়াম দিতে হবে। এরপর চলবে আরও ১৮ মাস। এভাবে ১৮ মাস পরপর আংশিক জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে হাসিনা-পুতিন

Update Time : ০৪:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর মধ্য দিয়ে ৩৩তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যুক্ত হলো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্লাবে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ৩টা ৫২ মিনিটের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি।

প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক এই গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা, উচ্চ পর্যায়ের রুশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এবং বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত আছেন।

২০২৪ সালের মার্চে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে। আর দ্বিতীয় ইউনিটেও ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সমপরিমাণ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটির উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে। এর ফলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে উল্লেখযোগ্য রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে পৌঁছায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তা রূপপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (১২০০ মেগাওয়াট) চালু করার জন্য ৭৫ টন ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হবে। একবার জ্বালানি দেওয়ার পর ১৮ মাস নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এরপর এক-তৃতীয়াংশ ইউরেনিয়াম অর্থাৎ ২৫ টন নিউক্লিয়ার বর্জ্য তুলে নিয়ে সেখানে নতুন ইউরেনিয়াম দিতে হবে। এরপর চলবে আরও ১৮ মাস। এভাবে ১৮ মাস পরপর আংশিক জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে।