ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ কাল
- Update Time : ০৯:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩
- / 149
নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের প্রাথমিক খসড়া প্রকাশ করা হবে আগামীকাল বুধবার। এই তালিকার ওপর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দাবি-আপত্তি জানানো যাবে। সম্প্রতি মাঠপর্যায়ে পাঠানো ইসির এক নির্দেশনা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ হবে কাল। এদিন সারাদেশের জেলা প্রশাসন কার্যালয়, জেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এবং উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে একযোগে ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করা হবে।
মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ পর্যন্ত অনেক জেলায় ভোটকেন্দ্রের খসড়া চূড়ান্ত করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
কুমিল্লা, পিরোজপুর, বরিশালসহ অনেক জেলায় কাল ডিসির সভাপতিত্বে জেলা কমিটির বৈঠকে খসড়া তারিকা চূড়ান্ত করা হবে। এরপরই তা জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।
আরও জানা গেছে, সব জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে। ঢাকার ২০টি আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে তিন হাজার ৪৩টিতে; যা গত নির্বাচনে ছিল ২৯১৩টি।
অনেক জেলায় রাজনৈতিক বিবেচনায় কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন ও নতুন ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তবে কতটি কেন্দ্র পরিবর্তন হয়েছে ওই সংখ্যা পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি ইসি সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপনের যে নীতিমালা করেছে সেখানে জেলাপর্যায়ে ডিসিকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি, পুলিশ সুপার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। আর জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ। এই কমিটিতে উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা অনুযায়ী, যাতায়াতের সুবিধা, ভবনের আয়ুষ্কাল, ভোটার বৃদ্ধি, সরকারি ভবনকে প্রাধান্য দেওয়া, প্রভাব রয়েছে বা উন্মুক্ত নয় এমন স্থানে ভোটকেন্দ্র না করা, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তির নামে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র না করা, শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের কথা বিবেচনায় নিয়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন প্রভৃতি বিষয় আমলে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় হলে যেকোনো ভোটার দাবি-আপত্তি জানাতে পারবেন।