পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যা জানতে চাইলেন কংগ্রেসম্যানরা
- Update Time : ০৭:২২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
- / 172
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের দুই সদস্য। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ইস্যু নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। এ সময় তাদের কী আলোচনা হয়েছে তা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চেয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা। নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সমঝোতার পথ আছে কি না সেটাও জানতে চেয়েছেন তারা।
রোববার (১৩ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান এড কেইস ও রিচার্ড ম্যাকরমিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসম্যানরা নির্বাচনের কথা বলেছে। আমরা বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন, আমরাও চাই।
মোমেন বলেন, কংগ্রেসম্যানরা বলেছে, তোমাদের কোনো সমঝোতার পথ আছে কি না ওদের (বিএনপি) সঙ্গে। আমরা বলেছি, তাদের যে দাবি, সরকারের পদত্যাগ, ওটাতে সমঝোতার কোনো স্কোপ নেই।
এ বিষয়ে কংগ্রেসম্যানদের কাছে প্রশ্ন করেন ড. মোমেন। তিনি তাদের বলেন, নির্বাচনের সময় তোমাদের দেশে (যুক্তরাষ্ট্র) কি সরকারের পতন হয়? নিশ্চয়ই না। এ রকম ডিমান্ড (বিএনপির যে চাওয়া) থাকলে তোমরা কি আলোচনায় বসবে?
নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে মোমেন বলেন, নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করুক, সেটাই আমরা চাই। কে জিতবে না জিতবে, সেটা জনগণের ওপর নির্ভর করবে। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা অনেক ভালো কাজ করেছি।
গত শনিবার (১২ আগস্ট) চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন এই দুই কংগ্রেসম্যান। বাংলাদেশে মার্কিন কর্মকর্তাদের একের পর এক সফরের মধ্যেই দেশে এলেন তারা।
এ সময় তারা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর মধ্যে আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দূতাবাস পর্যবেক্ষণে যান তারা। এরপর সেখান থেকে সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠক করেন দুই কংগ্রেসম্যান। এরপর বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের গুলশানের বাসায় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে চা-চক্রে বসার কথা রয়েছে তাদের।
এ ছাড়া আগামীকাল সোমবার তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে।